বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
শাহীন প্রদীপ্ত শিখা মশালের মতো পথ দেখাবে
শাহীন রেজা নূর আজ প্রয়াত একটি মানুষের নাম। এক বছর হলো সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কী বলে আমার সাথে তার সম্পর্ক চিহ্নিত করব, আমি নিজেই ভাষা খুঁজে পাই না। সন্তানপ্রতিম বললেও যেন কথাটা বলা হয় না। কিছু যেন অব্যক্ত, কিছু যেন অপূর্ণ থেকে যায়।
চিরকিশোর এক রঙিন প্রজাপতি
সেই দুনিয়ায় ঢোকার টিকিটের দাম উৎসাহীদের হাতের নাগালেই থাকত। সেখানে অন্তত ছিল না ধনী-গরিবের ভেদাভেদ। প্রজাপতি তার রঙিন পাখা দেখাত যৎসামান্য দর্শনীর বিনিময়ে। পাঁচ দশকের বেশি সময় গড়ালেও জাদুকর তাঁর প্রজাপতির দর্শনী কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আকাশে চড়াননি। সেই জাদুকর ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া দুই অদেখা মানুষ
বিশ্বসাহিত্যের কতশত অনুবাদ যে হাতে এসেছে শুধু সেবার কল্যাণে। আর ‘কুয়াশা’, ‘মাসুদ রানা’, ‘তিন গোয়েন্দা’ তো আছেই। এসবের প্রতি আকর্ষণ যখন কমে এসেছে, তখনো সামনে হাজির ‘কিশোর ক্ল্যাসিক’ সিরিজ, যেখানে ছিল বিশ্বখ্যাত সব লেখকের সঙ্গে পরিচয়ের হাতছানি। কত কত নাম বলা যাবে? এরিক মারিয়া রেমার্ক, আলেক্সান্ডার দ্য
রাসেল ও’নীল:...ফের দেখা হবে?
ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে
মোহাম্মদ সুলতান: অকুতোভয় এক যোদ্ধা
ভাষা আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। একজন অসাধারণ সংগঠক হিসেবে বন্ধুদের শ্রদ্ধা-আস্থাও অর্জন করেছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মোহাম্মদ সুলতানের কীর্তির যে সন্ধান পেয়েছি, তা অনন্য। প্রগতিশীল এই মানুষকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ অনিবার্য হয়ে পড়ে।
একটু সময় হবে?
সকাল থেকে রাত; ছুটছি, কেবল ছুটছি। ব্যস্ততা। কাল কী হবে, সেই চিন্তায় পালস বেড়ে যায়। কত শত নোটস! ডায়েরি ভরে থাকে পরিকল্পনার কাটাকুটিতে। জীবন যেন এক বুলেট ট্রেন। এক সেকেন্ড এদিক-ওদিক হওয়ার নেই।
‘ইলিয়টগঞ্জ দিয়ে ঢুকবেন, ৩০ কিলো রাস্তা কমে যাবে’
যে ছেলে নিজে ঘুমালে দিন-রাতের হুঁশ থাকে না, বাইক কোথাও রেখে গেলে চাবি নিতে মনে থাকে না, রাস্তার ওপর বাইক পার্ক করে বাসায় চলে আসার পরও মনে পড়ে না যে, বাইক তো আনিনি; সেই ছেলেকে যদি স্নো-পাউডার দিয়ে সাজিয়ে পাত্র হিসেবে উপস্থিত করা হয়, তাহলে কার না হাসি আসে!
স্মৃতির বারান্দায়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিষ্ঠান। বাঁশখালী থেকে এসে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত কখনো ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা। ছাত্র-শিক্ষক পরিচয় পর্বে শিক্ষকেরা তাঁদের সাবেক ‘আলমা ম্যাটারের’ কথা বলায় মনে মনে স্বপ্ন বুনতে থাকি আমিও একদিন বিশ্ববিদ
অতীত মনে পড়ে, মন পুড়েও
বয়স বাড়লে নাকি মানুষ সামনে তাকানোর চেয়ে পেছন ফিরে স্মৃতি রোমন্থনে সুখ অনুভব করে বেশি। আজকাল আমারও পেছনের কথা, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও বন্ধুদের কথা খুবই মনে পড়ে। তাহলে কি বুড়ো হয়ে গেলাম? সকালে হাঁটতে যাই রমনা পার্কে।
পৃথিবীর রং আবার বদলাবে?
ঢাকার পুরানা পল্টনের দুটি নম্বর, দুটি ঠিকানা, দুটি বাড়ি আমাকে, আমার মতো আরও অনেককে খুব টানত। ১০ পুরানা পল্টনে ছিল ছাত্র ইউনিয়ন অফিস। আর ২১/১ পুরানা পল্টনে কমিউনিস্ট পার্টির অফিস। কত দিন, কত ঘণ্টা যে আমরা অনেকে ওই দুই অফিসে কাটিয়েছি, তার হিসাব নেই। কবিতা লেখা, আর প্রেমে পড়া নাকি বাঙালি তরুণদের সহজাত।
পাঁচ পতাকার নাগরিক ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক
ব্যারিস্টার রফিক উল হক ছিলেন আইন কানুনের চলন্ত বিশ্বকোষ। তাঁর পরিচালিত প্রায় ৫০০ মামলা ল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো মামলায় তিনি ব্যাপক পড়ালেখা করে, প্রস্তুতি নিয়ে আসতেন। তিনি ভারতের রামজিত মালানীর মতো কোনো মামলায় হারেননি। আমরা মাঝেমধ্যে জেনেছি যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের খসড়া ছিল তাঁর। সবার
জেনারেল নাসিমের ব্যর্থ অভ্যুত্থান এবং একটি লেখা ছাপার পূর্বাপর
একজন এবার একটু রূঢ়ভাবেই বললেন, ‘বিভু বাবু কাজটি আপনি ভালো করেননি। সেনাবাহিনীর কোনো কিছু লেখার আগে আপনার উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া।’ আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরেকজন বললেন, ‘দেশে এখন গণতান্ত্রিক শাসন না থাকলে আপনার অবস্থা কী হতো, আপনি কি তা অনুমান করতে পারেন?’
‘আওয়ামী লীগের যেটায় লাভ সেটা বিএনপি করতে যাবে কেন?’
এবার ড্রয়ার থেকে তিনি মেহরাব আলীর লেখা একটি বই বের করলেন। দিনাজপুরের সাংবাদিকদের নাম-পরিচয় নিয়ে লেখা বই। ওই বইয়ে আমার নাম না থাকায় মির্জা সাহেব অখুশি হলেন। বললেন, ‘মেহরাব কাজটি ভালো করেনি। দিনাজপুরের সাংবাদিকতার ওপর বই, আর তাতে তোমার নাম নেই!
‘নো চিন্তা, ডু ফুর্তি’
সুলতান ভাইয়ের মনে হলো ছবির নায়িকাকে গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে আসি! যাহা ভাবা, তাহা কাজ। অত রাতে ছোটা হলো অলিভিয়ার বাসায়। পাগল আর কাকে বলে! তাঁর পাগলামির সহযাত্রী আমি। দারোয়ান গেট খুলবে না। সুলতান ভাই বললেন, ‘যাও ম্যাডামকে বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুলতান এসেছে
জোঁকের মুখে নুনের ছিটা
তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। মকবুল সাহেব ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচিত দাপুটে এমপি। তাঁকে নিন্দামন্দ করেই সেই প্রতিবেদন। চলতিপত্র বাজারে যাওয়ার পর মনে হলো একটি প্রচণ্ড বোমা ফাটল, বিশেষ করে মোহাম্মদপুর এলাকায়।
সেই সব দিনগুলি
ফকির আলমগীর মারা গেলে আমরা বহুদূরের এক জগতে চলে যাই। সে জগতে ছায়ার মতো দুলতে থাকে পাঁচটি মূর্তি। বাস্তবে ফিরে এলে দেখি, একা ফেরদৌস ওয়াহিদ পাহারা দিচ্ছেন সেই সময়কে। বাকি চারজন—আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, আর ফকির আলমগীর ছায়া হয়েই থেকে যান আমাদের কতিপয় হৃদয়ে। এবং সেখানেই...
ভয় করলেই ভয়
স্কুল জীবনের বন্ধুদের মধ্যে যারা এখনো জীবিত, তাঁরা আমার ভয়ের নানা ভয়ংকর গল্প এখনো মনে করতে পারবেন। কত কিছু নিয়ে যে আমি ভয় পেতাম! বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দূরে কোথাও যেতাম না; যদি হারিয়ে যাই! পানিতে নেমে গোসল করতাম না, যদি ডুবে যাই। সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতাম না, যদি ‘ছলাকলা’ করে আমাকে ‘নষ্ট’ কর