আধা পাকা টিনের বাড়ির উঠানে কোমরপানি। রান্নাঘর, শোবারঘর, গোয়ালঘরও ময়লাযুক্ত পানির নিচে। উঠানের কালচে পানিতে ভাসছে ডিঙিনৌকা। ঘরের বারান্দা থেকে শৌচাগার কিংবা রাস্তায় উঠতে একমাত্র ভরসা এই নৌকাই
জামালপুর পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও বর্ষা মৌসুমে ৬ মাস পানিবন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে ফুলবাড়িয়া ও জঙ্গলপাড়ার প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এলাকার সবগুলো রাস্তা ও বাড়িঘর।
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হওয়ায় কংস ও নেতাই নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্যার পঞ্চম দিনে নতুন করে তিন উপজেলায় অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানি
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও অন্তত ৫০টির মতো গ্রাম। এ নিয়ে তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে ওই সব জেলার। সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। রাস্তাঘাট ডুবে এবং ভেঙে বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহে জেলার সিমাস্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বন্যায় নোয়াখালীর আটটি উপজেলার পানিবন্দী হয়ে পড়েছিলেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। তাঁরা আশ্রয় নেন ১ হাজার ২২৯টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন ধরে বিপুলসংখ্যক মানুষের থাকা-খাওয়ার জন্য ব্যবহারে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসবাবসহ নানা ক্ষতি হয়। ফলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যব
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে সদর উপজেলায়। জেলায় নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার এক মাস পার হলেও ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী।
রাতভর বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আবারও বেড়েছে পানি। এতে দীর্ঘ হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। জেলায় এখনো পানিবন্দী প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। এদিকে গতকাল সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
বন্যার কবলে লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় পানিবন্দী বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগের প্রকোপ। এতে হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে রোগীর চাপ। শয্যা সংকটে মেঝেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন অনেক রোগী। আক্রান্তদের মধ্য
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দী মানুষের সুরক্ষায় ভুলুয়া নদী দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় সৃষ্টি হওয়া বন্যায় প্রায় ৩০০ পরিবার এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে অন্তত এক হাজার পরিবার। মূলত চেঙ্গী নদীর দুই কূল উপচে এই ঘর-বাড়িগুলো প্লাবিত হয়।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৮টি উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা। জীবন বাঁচাতে জেলার প্রায় ১৩৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ নিজের বসত
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪। সেই সঙ্গে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার। আজ শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়...
লক্ষ্মীপুরে গত দুই দিন ধরে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ধীরগতিতে পানি নামায় পরিস্থিতির তেমন উন্নতি নেই। এখনো পানিবন্দী ১০ লাখ মানুষ। বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নামলেও বাসাবাড়ি তলিয়ে রয়েছে। সুপেয় পানি ও খাবারের সংকটে রয়েছেন বানবাসীরা।
লক্ষ্মীপুরে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ধীরগতিতে পানি কমায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি খুব একটা। বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নামলেও এখনো বাড়ি-ঘর তলিয়ে রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। জেলায় এখনো পানিবন্দী ১০ লাখ মানুষ।
কুমিল্লার বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলার মধ্যে বেশ কিছু উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে দুটিতে। অপরিবর্তিত রয়েছে আরও দুটি উপজেলা। তবে গোমতি নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হওয়ায় স্বস্তিতে আছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।