নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভাদ্র মাস বিদায় নিয়েছে। আশ্বিনও পার করে ফেলেছে পাঁচ দিন। শরতের এই সময়ে তাপমাত্রা কমার কথা; কিন্তু ঘটছে তার উল্টো। সারা দেশে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই এতটা গরম যে মনে হচ্ছে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লোডশেডিং যুক্ত হয়ে ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গরমের এই অস্বস্তি আরও তিন দিন থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে গরম কমতে পারে। হতে পারে বৃষ্টিও। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি বা তার বেশি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হঠাৎ এমন তাপপ্রবাহে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারছেন। তবে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকাল শুরু হতেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে। রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাসচালক খালেক হোসেন বলেন, ‘হুট করে দুই দিন থেকে অনেক গরম। এর আগে রোজার সময় এমন ছিল। বাইরে তো গরম আছেই, গাড়ির ভেতরে ইঞ্জিনের গরম।’
একই এলাকার চা-দোকানদার মো. কবির বলেন, গরমে দিনে চা বিক্রি কমে গেছে। কে এমন গরমে চা খেতে আসবে?
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও আশুগঞ্জে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। শুধু বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে ৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন তাপমাত্রা যেমন আছে তা অ্যালার্মিং। কক্সবাজার আর রাঙামাটি ছাড়া দেশের সব জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। গরম কেন? এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই সময়ে বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা বাড়ে। কিছুদিন আগেই একটা নিম্নচাপ ছিল। এটা চলে যাওয়ায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এতে করে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। বাতাসে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প রয়েছে।
বজলুর রশীদ আরও বলেন, এখন তাপপ্রবাহের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আগেও এমন হতো, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটা বর্ষাকালেও দেখা যাচ্ছে। এমন তাপমাত্রা আরও দুই দিন থাকবে। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর একটা লঘুচাপ হতে পারে। তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি কমবেশি থাকবে। এরপর মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (থ্রিসিএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর। তবে চলতি বছরের শুরুতে নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, জলবায়ুর প্যাটার্ন এল নিনো আবারও ফিরে আসায় ২০২৪ সাল বিগত বছরের চেয়েও বেশি উষ্ণ হতে যাচ্ছে।
ভাদ্র মাস বিদায় নিয়েছে। আশ্বিনও পার করে ফেলেছে পাঁচ দিন। শরতের এই সময়ে তাপমাত্রা কমার কথা; কিন্তু ঘটছে তার উল্টো। সারা দেশে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই এতটা গরম যে মনে হচ্ছে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লোডশেডিং যুক্ত হয়ে ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গরমের এই অস্বস্তি আরও তিন দিন থাকবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে গরম কমতে পারে। হতে পারে বৃষ্টিও। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি বা তার বেশি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হঠাৎ এমন তাপপ্রবাহে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে বাইরের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারছেন। তবে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকাল শুরু হতেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে। রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাসচালক খালেক হোসেন বলেন, ‘হুট করে দুই দিন থেকে অনেক গরম। এর আগে রোজার সময় এমন ছিল। বাইরে তো গরম আছেই, গাড়ির ভেতরে ইঞ্জিনের গরম।’
একই এলাকার চা-দোকানদার মো. কবির বলেন, গরমে দিনে চা বিক্রি কমে গেছে। কে এমন গরমে চা খেতে আসবে?
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও আশুগঞ্জে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। শুধু বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে ৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন তাপমাত্রা যেমন আছে তা অ্যালার্মিং। কক্সবাজার আর রাঙামাটি ছাড়া দেশের সব জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। গরম কেন? এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই সময়ে বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা বাড়ে। কিছুদিন আগেই একটা নিম্নচাপ ছিল। এটা চলে যাওয়ায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এতে করে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। বাতাসে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প রয়েছে।
বজলুর রশীদ আরও বলেন, এখন তাপপ্রবাহের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আগেও এমন হতো, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটা বর্ষাকালেও দেখা যাচ্ছে। এমন তাপমাত্রা আরও দুই দিন থাকবে। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর একটা লঘুচাপ হতে পারে। তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি কমবেশি থাকবে। এরপর মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (থ্রিসিএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর। তবে চলতি বছরের শুরুতে নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, জলবায়ুর প্যাটার্ন এল নিনো আবারও ফিরে আসায় ২০২৪ সাল বিগত বছরের চেয়েও বেশি উষ্ণ হতে যাচ্ছে।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৫ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৭ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে