অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কাঙ্ক্ষিত কিছু কুরিয়ার বা ডাকের মাধ্যমে খুব দ্রুতই পৌঁছে যায় ঠিকানায়। তবে ওয়েলসের সোয়ানসি শহরে যে কাণ্ডটা হলো তা এক কথায় অভাবনীয়। সেখানকার একটি সংস্থার কর্মীরা এমন একটি পোস্টকার্ড পেয়েছেন, যেটা পাঠানো হয়েছিল ১২১ বছর আগে।
ধারণা করা হচ্ছে, কার্ডটি ১৯০৩ সালের। আর সম্প্রতি এটি পৌঁছেছে ক্র্যাডক স্ট্রিটের সোয়ানসি বিল্ডিং সোসাইটির কর্মীর হাতে। পোস্টকার্ডটিতে বিশ শতকের চিত্রকর এডউইন হেনরি লেন্ডসিরের দ্য চ্যালেঞ্জ শিরোনামের একটি ছবি স্থান পেয়েছে। এতে জলাশয়ের তীরে বরফের মধ্যে একটি হরিণ দাঁড়িয়ে আছে, দূরে দেখা যাচ্ছে একটি পর্বতমালা।
লিডিয়া ডেভিস নামের আনুমানিক ১৬ বছরের এক কিশোরীর উদ্দেশে এটি পাঠানো হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এক শতাব্দীরও বেশি আগে এই এলাকায় বাস করতেন তিনি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
বিল্ডিং সোসাইটির বিপণন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা হেনরি ডার্বি বলেন, কীভাবে পোস্টকার্ডটি তার অফিসে এল, তা একটি রহস্যই রয়ে গেছে। তবে তিনি আশা করছেন, প্রাপক ডেভিস বা ইওয়ার্ট নামে যিনি এটি পাঠিয়েছেন, তাঁদের কোনো বংশধরকে খুঁজে পাবেন।
‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছোট্ট কিন্তু সুন্দর পোস্ট করতে পারি। দেখতে পারি মিস লিডিয়া সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন কি না, কিংবা ১২১ বছর আগে ক্র্যাডক স্ট্রিটের জীবন কেমন ছিল সে সম্পর্কে কোনো ধারণা মেলে কি না।’ পিএ মিডিয়াকে বলেন ডার্বি।
ডার্বি এই আবিষ্কারে অবাক হয়েছিলেন, কারণ পোস্টকার্ডটি ১৬ আগস্ট একটি আলাদা খামে আসেনি। ‘আপনি যখন কাজে আসবেন, তখন এমন একটা কিছু ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারবেন না। এটি অবশ্যই আমার সপ্তাহটি বদলে দিয়েছে।’ বলেন তিনি।
পোস্টকার্ডটির লেখাগুলো কালো রঙে কালিতে। এতে সবুজ একটি হাফ পেনির স্ট্যাম্প সাঁটা রয়েছে, যাতে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের ছবি শোভা যাচ্ছে। তিনি ১৯০১-১৯১০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন।
ডার্বি জানান, ১৯০১ সালের জনশুমারি তথ্য অনুসারে এই স্ট্রিটে মা-বাবা ও পাঁচ ভাই-বোনসহ বাস করতেন ডেভিস। তিনি বলেন, ডেভিসের একজন বংশধর খুঁজে পাওয়া মুশকিল হতে পারে, কারণ উপাধিটি ওই সময় ওয়েলসে প্রচলিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, আদমশুমারি থেকে জানা গেছে যে ডেভিস লন্ডনের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন, যার পলমলে একটি হোটেল ছিল। তাই লিডিয়ার পরিবার সোয়ানসিতে পরে আর না-ও থাকতে পারে। পোস্টকার্ডটি বেশ দূর থেকেই হয়তো এসেছে।
ডার্বি জানান, বিল্ডিং সোসাইটির কর্মীদের ধারণা নেই কীভাবে এটি এখানে এল।
“কেউ বলতে এগিয়ে আসেনি, ‘হ্যাঁ, আমি এটি একটি অ্যান্টিকের দোকানে পেয়েছি’ বা ‘আমি এটি একটি বইয়ে পেয়েছি’, ‘আমি এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পেয়েছি এবং ডাকবাক্সে রেখেছি’, তিনি বলেছিলেন, ‘এটি যেন একটা ভূতুড়ে জিনিস, যে আমরা এখনো নিশ্চিত নই কীভাবে এখানে অর্থাৎ ১১ ক্র্যাডক স্ট্রিটে এল।’
ইউওয়ার্ট কার্ড লেখেন, ‘আমি আশা করছি বাড়িতে সময় ভালো কাটছে তোমার’। তারপর জানান, তাঁর কাছে কেবল ১০ শিলিং আছে। ট্রেনের ভাড়া জোগাড়ের চেষ্টা করছেন এখন।
রয়েল মেইলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সম্ভবত এই পোস্টকার্ড এক শতাব্দীরও বেশি সময় পরে আমাদের সিস্টেমে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যখন একটা কিছু আমাদের সিস্টেমে থাকে, তখন এটিকে সঠিক ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়াটাই আমাদের কাজ।’
পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কাঙ্ক্ষিত কিছু কুরিয়ার বা ডাকের মাধ্যমে খুব দ্রুতই পৌঁছে যায় ঠিকানায়। তবে ওয়েলসের সোয়ানসি শহরে যে কাণ্ডটা হলো তা এক কথায় অভাবনীয়। সেখানকার একটি সংস্থার কর্মীরা এমন একটি পোস্টকার্ড পেয়েছেন, যেটা পাঠানো হয়েছিল ১২১ বছর আগে।
ধারণা করা হচ্ছে, কার্ডটি ১৯০৩ সালের। আর সম্প্রতি এটি পৌঁছেছে ক্র্যাডক স্ট্রিটের সোয়ানসি বিল্ডিং সোসাইটির কর্মীর হাতে। পোস্টকার্ডটিতে বিশ শতকের চিত্রকর এডউইন হেনরি লেন্ডসিরের দ্য চ্যালেঞ্জ শিরোনামের একটি ছবি স্থান পেয়েছে। এতে জলাশয়ের তীরে বরফের মধ্যে একটি হরিণ দাঁড়িয়ে আছে, দূরে দেখা যাচ্ছে একটি পর্বতমালা।
লিডিয়া ডেভিস নামের আনুমানিক ১৬ বছরের এক কিশোরীর উদ্দেশে এটি পাঠানো হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এক শতাব্দীরও বেশি আগে এই এলাকায় বাস করতেন তিনি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
বিল্ডিং সোসাইটির বিপণন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা হেনরি ডার্বি বলেন, কীভাবে পোস্টকার্ডটি তার অফিসে এল, তা একটি রহস্যই রয়ে গেছে। তবে তিনি আশা করছেন, প্রাপক ডেভিস বা ইওয়ার্ট নামে যিনি এটি পাঠিয়েছেন, তাঁদের কোনো বংশধরকে খুঁজে পাবেন।
‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছোট্ট কিন্তু সুন্দর পোস্ট করতে পারি। দেখতে পারি মিস লিডিয়া সম্পর্কে কেউ কিছু জানেন কি না, কিংবা ১২১ বছর আগে ক্র্যাডক স্ট্রিটের জীবন কেমন ছিল সে সম্পর্কে কোনো ধারণা মেলে কি না।’ পিএ মিডিয়াকে বলেন ডার্বি।
ডার্বি এই আবিষ্কারে অবাক হয়েছিলেন, কারণ পোস্টকার্ডটি ১৬ আগস্ট একটি আলাদা খামে আসেনি। ‘আপনি যখন কাজে আসবেন, তখন এমন একটা কিছু ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারবেন না। এটি অবশ্যই আমার সপ্তাহটি বদলে দিয়েছে।’ বলেন তিনি।
পোস্টকার্ডটির লেখাগুলো কালো রঙে কালিতে। এতে সবুজ একটি হাফ পেনির স্ট্যাম্প সাঁটা রয়েছে, যাতে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের ছবি শোভা যাচ্ছে। তিনি ১৯০১-১৯১০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন।
ডার্বি জানান, ১৯০১ সালের জনশুমারি তথ্য অনুসারে এই স্ট্রিটে মা-বাবা ও পাঁচ ভাই-বোনসহ বাস করতেন ডেভিস। তিনি বলেন, ডেভিসের একজন বংশধর খুঁজে পাওয়া মুশকিল হতে পারে, কারণ উপাধিটি ওই সময় ওয়েলসে প্রচলিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, আদমশুমারি থেকে জানা গেছে যে ডেভিস লন্ডনের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন, যার পলমলে একটি হোটেল ছিল। তাই লিডিয়ার পরিবার সোয়ানসিতে পরে আর না-ও থাকতে পারে। পোস্টকার্ডটি বেশ দূর থেকেই হয়তো এসেছে।
ডার্বি জানান, বিল্ডিং সোসাইটির কর্মীদের ধারণা নেই কীভাবে এটি এখানে এল।
“কেউ বলতে এগিয়ে আসেনি, ‘হ্যাঁ, আমি এটি একটি অ্যান্টিকের দোকানে পেয়েছি’ বা ‘আমি এটি একটি বইয়ে পেয়েছি’, ‘আমি এটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পেয়েছি এবং ডাকবাক্সে রেখেছি’, তিনি বলেছিলেন, ‘এটি যেন একটা ভূতুড়ে জিনিস, যে আমরা এখনো নিশ্চিত নই কীভাবে এখানে অর্থাৎ ১১ ক্র্যাডক স্ট্রিটে এল।’
ইউওয়ার্ট কার্ড লেখেন, ‘আমি আশা করছি বাড়িতে সময় ভালো কাটছে তোমার’। তারপর জানান, তাঁর কাছে কেবল ১০ শিলিং আছে। ট্রেনের ভাড়া জোগাড়ের চেষ্টা করছেন এখন।
রয়েল মেইলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সম্ভবত এই পোস্টকার্ড এক শতাব্দীরও বেশি সময় পরে আমাদের সিস্টেমে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যখন একটা কিছু আমাদের সিস্টেমে থাকে, তখন এটিকে সঠিক ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়াটাই আমাদের কাজ।’
দক্ষিণ আফ্রিকান একটি নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বিপৎসংকেত বা সতর্কতামূলক অ্যালার্ম পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেরি না করে সেখানে একটি দল পাঠায়। তখনই ফাঁস হয় রহস্য। এই অ্যালার্ম বাজিয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দারা নয়, বরং একটি বানর।
৫ দিন আগেমাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ভরসা। ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগল ২ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাঁর বিল এসেছে ৩২১ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১৯৭ টাকা)। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চার গুণ!
১২ দিন আগেএকটি ডিমের দাম কত হতে পারে? আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু সত্যি ১৫০ পাউন্ড বা ৩০ হাজার টাকায় বিকিয়েছে একটি ডিম। কিন্তু কেন?
১৪ দিন আগেএক দিনে ১০১ জন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় সময় কাটিয়েছেন ওনলি ফ্যানস সেলিব্রেটি লিলি ফিলিপস। এই কাণ্ডের পর তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে এক দিনে ১ হাজার পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরবর্তী বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেলিব্রেটি, তরুণী, নারী, পুরুষ, বিশ্ব রেকর্ড, ডকুমেন্টারি, ঘোষণা
১৭ দিন আগে