অনলাইন ডেস্ক
ছোটবেলায় রাজা-রানির গল্পে প্রাসাদের গোপন কুঠুরির খোঁজ পেলে সেখানে লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে জাগেনি এমন খুব কম মানুষই আছে। আবার কখনো মনে হতো, কোনো সুড়ঙ্গ পথের দেখা পেলে সেখান দিয়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়া যেত যদি! তেমনই এক পথের খোঁজ মিলেছে স্কটল্যান্ডে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই পুরোনো শহরের পথের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল লাইব্রেরির নিচতলায় একটি দরজার খোঁজ পাওয়া মিলেছে, যার পেছনে দীর্ঘকাল ধরে লুকিয়ে ছিল প্রাচীন এক শহর। দরজা খুলে দেখা গেল, শতাব্দী পুরোনো এডিনবরা শহরের এক দৃশ্য। নব্বইয়ের দশকে লাইব্রেরির ফাইল রাখার আলমারির পেছনের দেয়ালে একটি ছোট ফাঁকা জায়গা দেখা যায়। সেখানে পরীক্ষা করে এই পথের দেখা পান লাইব্রেরি কর্মকর্তারা।
তাঁরা ওই জায়গাটি ভেঙে ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করে দুই পাশ থেকে খোলা যায় এমন দরজা দেখেন। দরজা দিয়ে ঢুকে একটা খোলা জায়গায় হাজির হন তাঁরা। জায়গাটি কয়েকশ ফুট দীর্ঘ এবং ঢালু। সেখানে সামনে এগিয়ে কিছু ছোট কামরা দেখতে পান। সেগুলো দেখতে সেতুতে বানানো সংরক্ষণাগারের মতো। পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন প্যাসেজটি জর্জ চতুর্থের সময়কার।
১৮৩০-এর দশকে চতুর্থ জর্জের সময়কার সেতুটি নির্মাণ করতে পুরোনো শহরের কেন্দ্রস্থলের লিবার্টন’স উইন্ড সড়ক ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সেতুর দেয়াল লাগোয়া ন্যাশনাল লাইব্রেরি ভবন। ব্রিজ তৈরি করতে ভেঙে ফেলা একটি ভবনের ভিত্তির ওপর লাইব্রেরিটি নির্মিত। এর ঠিক মাঝখানে দেখা মেলে ওই গোপন দরজার, যা নিয়ে যায় পুরোনো দিনের এডিনবরায়।
লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক বিল জ্যাকসন বিবিসিকে জানান, তিনি ভেতরে পচা পুরোনো আসবাবপত্র, খাতা, জুতা এবং শত বছরেরও বেশি পুরোনো স্লেট পাথরের একটি মূত্রত্যাগের আসন দেখতে পান। তবে এসব পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
জ্যাকসন বলেন, ‘ভেতরে এত অন্ধকার ছিল যে টর্চের আলোতেও তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কিছুটা ভয়েরও ছিল। আমি দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। তবে এটা ছিল রোমাঞ্চকর।’
বিল জ্যাকসন সেখানে আলোর ব্যবস্থা করেছেন। অন্য প্রান্তে দরজা লাগিয়েছেন। প্রবেশপথটি প্রশস্ত করে সেখানেও নতুন দরজা লাগানো হয়েছে। প্যাসেজের কিছু কক্ষ এখন লাইব্রেরির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার পানি ট্যাংক সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
লাইব্রেরির রেফারেন্স অ্যাসিস্ট্যান্ট রবি মিচেল বলেন, প্যাসেজের ভেতরে লাইব্রেরি ভবনের নিচতলার ইট এবং ব্রিজের পাথরের কাজ দেখতে পাওয়া যায়। মেরি কিংস ক্লোজের মতো না হলেও, এটি আমাদের এডিনবরার শতাব্দী পুরোনো এক রূপ দেখায়।
এডিনবরার মেরি কিংস ক্লোজ ১৬শ ও ১৭শ শতকে শহরের একটি ব্যস্ত ও জনাকীর্ণ এলাকা। ‘ক্লোজ’ শব্দটি দুই পাশে বাড়ি দিয়ে ঘেরা সংকীর্ণ গলি বা প্যাসেজকে বোঝায়। একসময়ের ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকা মেরি কিংস ক্লোজ এখন ভূতুড়ে, রহস্যময় এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা বিজড়িত পর্যটন স্থান।
রবি মিচেল আরও বলেন, লাইব্রেরির সংগ্রহে থাকা পুরোনো শহরের কয়েকটি মানচিত্র এবং তথ্য বিবরণী থেকে এ এলাকার একটি চিত্র পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে জর্জ চতুর্থ ব্রিজ এবং লাইব্রেরি দাঁড়িয়ে আছে, সে জায়গাটি আগে দেখতে কেমন ছিল—তা জানা গেছে।
মিচেল বলেন, সেখানে রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী, নাপিত, জুতার কারিগর, মুদি দোকান, শুল্কঘর, মদ বিক্রেতা, কর্ক কাটার, রূপা ঘুরানো, মোজা বিক্রেতা ও কাচের কারিগররা বসতেন। এটি সেসময়কার একটি খুব ব্যস্ত রাস্তা ছিল। এখানে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়ার মঞ্চও ছিল। এ ছাড়াও শহরের অন্যতম পরিচিত সরাইখানাও এখানে ছিল।
হঠাৎ আবিষ্কৃত এই শহরের অংশটুকুকে ‘দ্য ভয়েড’ অর্থাৎ শূন্যতা নাম দিয়েছিলেন লাইব্রেরি কর্মীরা। স্থানীয় ইতিহাসবিদ জেমি কোরস্টোরফাইন বলেছিলেন, দ্য ভয়েডে প্রবেশ করা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি।
তবে রূপকথার গল্পের গোপন কুঠুরি বা সুড়ঙ্গ পথের মতো এই পথটিও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।
ছোটবেলায় রাজা-রানির গল্পে প্রাসাদের গোপন কুঠুরির খোঁজ পেলে সেখানে লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে জাগেনি এমন খুব কম মানুষই আছে। আবার কখনো মনে হতো, কোনো সুড়ঙ্গ পথের দেখা পেলে সেখান দিয়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়া যেত যদি! তেমনই এক পথের খোঁজ মিলেছে স্কটল্যান্ডে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই পুরোনো শহরের পথের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের ন্যাশনাল লাইব্রেরির নিচতলায় একটি দরজার খোঁজ পাওয়া মিলেছে, যার পেছনে দীর্ঘকাল ধরে লুকিয়ে ছিল প্রাচীন এক শহর। দরজা খুলে দেখা গেল, শতাব্দী পুরোনো এডিনবরা শহরের এক দৃশ্য। নব্বইয়ের দশকে লাইব্রেরির ফাইল রাখার আলমারির পেছনের দেয়ালে একটি ছোট ফাঁকা জায়গা দেখা যায়। সেখানে পরীক্ষা করে এই পথের দেখা পান লাইব্রেরি কর্মকর্তারা।
তাঁরা ওই জায়গাটি ভেঙে ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করে দুই পাশ থেকে খোলা যায় এমন দরজা দেখেন। দরজা দিয়ে ঢুকে একটা খোলা জায়গায় হাজির হন তাঁরা। জায়গাটি কয়েকশ ফুট দীর্ঘ এবং ঢালু। সেখানে সামনে এগিয়ে কিছু ছোট কামরা দেখতে পান। সেগুলো দেখতে সেতুতে বানানো সংরক্ষণাগারের মতো। পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন প্যাসেজটি জর্জ চতুর্থের সময়কার।
১৮৩০-এর দশকে চতুর্থ জর্জের সময়কার সেতুটি নির্মাণ করতে পুরোনো শহরের কেন্দ্রস্থলের লিবার্টন’স উইন্ড সড়ক ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সেতুর দেয়াল লাগোয়া ন্যাশনাল লাইব্রেরি ভবন। ব্রিজ তৈরি করতে ভেঙে ফেলা একটি ভবনের ভিত্তির ওপর লাইব্রেরিটি নির্মিত। এর ঠিক মাঝখানে দেখা মেলে ওই গোপন দরজার, যা নিয়ে যায় পুরোনো দিনের এডিনবরায়।
লাইব্রেরির সাবেক পরিচালক বিল জ্যাকসন বিবিসিকে জানান, তিনি ভেতরে পচা পুরোনো আসবাবপত্র, খাতা, জুতা এবং শত বছরেরও বেশি পুরোনো স্লেট পাথরের একটি মূত্রত্যাগের আসন দেখতে পান। তবে এসব পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
জ্যাকসন বলেন, ‘ভেতরে এত অন্ধকার ছিল যে টর্চের আলোতেও তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কিছুটা ভয়েরও ছিল। আমি দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। তবে এটা ছিল রোমাঞ্চকর।’
বিল জ্যাকসন সেখানে আলোর ব্যবস্থা করেছেন। অন্য প্রান্তে দরজা লাগিয়েছেন। প্রবেশপথটি প্রশস্ত করে সেখানেও নতুন দরজা লাগানো হয়েছে। প্যাসেজের কিছু কক্ষ এখন লাইব্রেরির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার পানি ট্যাংক সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
লাইব্রেরির রেফারেন্স অ্যাসিস্ট্যান্ট রবি মিচেল বলেন, প্যাসেজের ভেতরে লাইব্রেরি ভবনের নিচতলার ইট এবং ব্রিজের পাথরের কাজ দেখতে পাওয়া যায়। মেরি কিংস ক্লোজের মতো না হলেও, এটি আমাদের এডিনবরার শতাব্দী পুরোনো এক রূপ দেখায়।
এডিনবরার মেরি কিংস ক্লোজ ১৬শ ও ১৭শ শতকে শহরের একটি ব্যস্ত ও জনাকীর্ণ এলাকা। ‘ক্লোজ’ শব্দটি দুই পাশে বাড়ি দিয়ে ঘেরা সংকীর্ণ গলি বা প্যাসেজকে বোঝায়। একসময়ের ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকা মেরি কিংস ক্লোজ এখন ভূতুড়ে, রহস্যময় এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা বিজড়িত পর্যটন স্থান।
রবি মিচেল আরও বলেন, লাইব্রেরির সংগ্রহে থাকা পুরোনো শহরের কয়েকটি মানচিত্র এবং তথ্য বিবরণী থেকে এ এলাকার একটি চিত্র পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে জর্জ চতুর্থ ব্রিজ এবং লাইব্রেরি দাঁড়িয়ে আছে, সে জায়গাটি আগে দেখতে কেমন ছিল—তা জানা গেছে।
মিচেল বলেন, সেখানে রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী, নাপিত, জুতার কারিগর, মুদি দোকান, শুল্কঘর, মদ বিক্রেতা, কর্ক কাটার, রূপা ঘুরানো, মোজা বিক্রেতা ও কাচের কারিগররা বসতেন। এটি সেসময়কার একটি খুব ব্যস্ত রাস্তা ছিল। এখানে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়ার মঞ্চও ছিল। এ ছাড়াও শহরের অন্যতম পরিচিত সরাইখানাও এখানে ছিল।
হঠাৎ আবিষ্কৃত এই শহরের অংশটুকুকে ‘দ্য ভয়েড’ অর্থাৎ শূন্যতা নাম দিয়েছিলেন লাইব্রেরি কর্মীরা। স্থানীয় ইতিহাসবিদ জেমি কোরস্টোরফাইন বলেছিলেন, দ্য ভয়েডে প্রবেশ করা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতাগুলোর একটি।
তবে রূপকথার গল্পের গোপন কুঠুরি বা সুড়ঙ্গ পথের মতো এই পথটিও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।
এক দিনে ১০১ জন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় সময় কাটিয়েছেন ওনলি ফ্যানস সেলিব্রেটি লিলি ফিলিপস। এই কাণ্ডের পর তিনি ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে এক দিনে ১ হাজার পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরবর্তী বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেলিব্রেটি, তরুণী, নারী, পুরুষ, বিশ্ব রেকর্ড, ডকুমেন্টারি, ঘোষণা
১২ ঘণ্টা আগেশিরোনামটি পড়েই নিশ্চয় ভ্রু কুঁচকে গেছে। এক জোড়া জুতার দাম আবার ৩৩৫ কোটি টাকা হয় কীভাবে! কিন্তু ঘটনা সত্যি। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক নিলামে এক জোড়া জুতো বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার সমান। অবশ্য এই জুতো মোটেই সাধারণ কিছু নয়।
১০ দিন আগেশতবর্ষী কারও বিয়ে হওয়াটাই বেশ অস্বাভাবিক। সেখানে বর ও কনে দুজনেই যদি শতবর্ষী হন, তাহলে তো কথাই নেই—একেবারে সোনায় সোহাগা। যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা।
১২ দিন আগেআইসল্যান্ডের উত্তরের উপকূল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের দুর্গম এক দ্বীপ গ্রিমসে। ছোট্ট দ্বীপটি ইউরোপের দুর্গমতম বসতিগুলোর একটি হিসেবে আলাদা নাম আছে। তেমনি নানা প্রজাতির সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল হিসেবেও বিখ্যাত গ্রিমসে।
১৪ দিন আগে