ইশতিয়াক হাসান
বিশাল এক খামারের কথা চিন্তা করুন। ব্যস্ত এক সড়কের মাঝখানে যার অবস্থান। কিংবা আরও পরিষ্কারভাবে বললে একে জায়গা করে দিতে রাস্তাটাই দুই ভাগ হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা কোনো গাড়ি থেকে খামারের পশু কিংবা কর্মীদের বাঁচানোর জন্য রাস্তা ও খামারের মধ্যে রয়েছে কেবল শক্তিশালী তারের বেড়া।
ইংল্যান্ডের এম৬২ নামের মোটরওয়ে বা চওড়া রাস্তাটি লিভারপুলের সঙ্গে হালকে সংযুক্ত করেছে। এমনিতে রাস্তাটি অন্য চওড়া সড়কগুলোর মতোই, তবে কেলডারডেল নামক জায়গাটিতে এসে সবকিছু বদলে গেছে, সেখানে রাস্তার মাঝখানে পাবেন বেশ বড়সড় এক ফার্ম বা খামার।
এমন এক ব্যস্ত সড়কের মাঝখানে একটি খামারের উপস্থিতি নিয়ে নানান গল্পগাথা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটি হলো, যে সময় রাস্তাটি তৈরি হয়, তখন খামারের মালিক ছিলেন কেন ও বেথ ওয়াইল্ড। তাঁরা খামারটি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়ইনাকি রাস্তাটিকে দুই টুকরো হয়ে যেতে হলো। তবে এটি কিংবা অন্য গল্পগুলো শেষ পর্যন্ত গল্পই। তবে তথ্য-প্রমাণ বলছে, আশ্চর্য এই ঘটনার জন্ম মানে রাস্তার মাঝখানে একটা খামার থাকার মূল রহস্যটি একেবারেই আলাদা।
সড়কটি তৈরির প্রায় ২০ বছর পর মানে ১৯৮৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট একটি তথ্যচিত্র তৈরি কর খামারটি নিয়ে। সেটা থেকেই ফাঁস হয় রাস্তার মাঝখানে খামার থাকার রহস্য। স্কট হল ফার্মের মালিকদের আদপে নাকি কখনো জমি বিক্রি করার জন্য বলাই হয়নি।
১৯৬০-এর দশকে এম৬২ সড়ক তৈরির সময় প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেন ওয়াইল্ডদের জমিতে ভূতাত্ত্বিক ত্রুটি আছে। আর তাই খামারটিকে এড়িয়ে এর দুপাশে রাস্তা তৈরি করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই খামারমালিকদের ঘাঁটালেন না তাঁরা, মানে খামারটি যেখানে আছে সেখানেই থাকতে দিলেন।
রাস্তার মাঝে একটি খামার থাকাটা কেমন? আপনার মনে হতে পারে, রাস্তায় হওয়া শব্দ আর দূষণের কারণে এখানে থাকাটা দুঃস্বপ্নের মতো। তবে যারা এই খামারে থাকেন কিংবা থাকতেন, তাঁদের দাবি একেবারেই ভিন্ন। তিন স্তরের কাচের জানালার কারণে এখানকার ঘরগুলোয় শব্দ প্রবেশ করতে পারে কমই। বাতাসও আশ্চর্যরকম পরিষ্কার।
বাড়িটির বর্তমান মালিক জিল ফ্রাংকিহাম থর্প, তাঁর স্বামী পল ও ছেলে জন উইলিয়ামস বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দা। থর্পরা বাড়িটিতে আছেন ২০১১ সাল থেকে। তাঁরা জানান, রাস্তার মাঝখানে হওয়ার পরও অপ্রত্যাশিত রকম কম দূষণ জায়গাটিতে।
তবে আশপাশে বসতি না থাকায় বেশ নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। গাড়িতে অন্তত আধা ঘণ্টা লাগে সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির বাড়িতে পৌঁছাতে। এক হিসাবে এটি বেশ অবাক করা ব্যাপারই, কারণ আপনার বাড়ির পাশ দিয়ে প্রতিদিন যাচ্ছে হাজারো মানুষ, কিন্তু আপনি নিঃসঙ্গতায় ভুগবেন।
খামারের মূল বাড়িটা অনেক পুরোনো। হবে নাই বা কেন, এই খামার প্রতিষ্ঠিত হয় সেই আঠারো শতকে। তবে ২০০৮ সালে জিল ও তাঁর স্বামী এখানে আস্তানা গাড়ার পর এর সংস্কার করে নেন। জিল সব সময়ই বলেছেন,এখানে থাকাটা অন্য জায়গার থেকে খুব আলাদা কিছু নয়। ‘গাড়ি খুব কাছ দিয়ে যায় এখানে,’ ম্যানচেস্টার ইভেনিং নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি, ‘তবে সব সময় বাতাস থাকে এখানে। যা দূষণকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। ইউনিভার্সিটি অব হাডারসফিল্ডের শিক্ষার্থীরা এখানকার মাটি ও বায়ু পরীক্ষা করে দেখেছেন, দূষণ এখানে একেবারেই কম।
অনবরত গাড়ির শব্দ থাকে এখানে, তবে এটাও সহনশীল পর্যায়ে বলে মনে করে পরিবারটি। আর এখানে থাকাটাই তাঁদের পছন্দ।
কাজেই পাঠক আগামী ইংল্যান্ড সফরে এমন আশ্চর্য এক জায়গায় কিছুটা সময় কাটানো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। অতিথির দেখা পেলে খামারের মালিক কিংবা কর্মীরাও খুশিই হবেন।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, মিরর
বিশাল এক খামারের কথা চিন্তা করুন। ব্যস্ত এক সড়কের মাঝখানে যার অবস্থান। কিংবা আরও পরিষ্কারভাবে বললে একে জায়গা করে দিতে রাস্তাটাই দুই ভাগ হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা কোনো গাড়ি থেকে খামারের পশু কিংবা কর্মীদের বাঁচানোর জন্য রাস্তা ও খামারের মধ্যে রয়েছে কেবল শক্তিশালী তারের বেড়া।
ইংল্যান্ডের এম৬২ নামের মোটরওয়ে বা চওড়া রাস্তাটি লিভারপুলের সঙ্গে হালকে সংযুক্ত করেছে। এমনিতে রাস্তাটি অন্য চওড়া সড়কগুলোর মতোই, তবে কেলডারডেল নামক জায়গাটিতে এসে সবকিছু বদলে গেছে, সেখানে রাস্তার মাঝখানে পাবেন বেশ বড়সড় এক ফার্ম বা খামার।
এমন এক ব্যস্ত সড়কের মাঝখানে একটি খামারের উপস্থিতি নিয়ে নানান গল্পগাথা প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটি হলো, যে সময় রাস্তাটি তৈরি হয়, তখন খামারের মালিক ছিলেন কেন ও বেথ ওয়াইল্ড। তাঁরা খামারটি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়ইনাকি রাস্তাটিকে দুই টুকরো হয়ে যেতে হলো। তবে এটি কিংবা অন্য গল্পগুলো শেষ পর্যন্ত গল্পই। তবে তথ্য-প্রমাণ বলছে, আশ্চর্য এই ঘটনার জন্ম মানে রাস্তার মাঝখানে একটা খামার থাকার মূল রহস্যটি একেবারেই আলাদা।
সড়কটি তৈরির প্রায় ২০ বছর পর মানে ১৯৮৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট একটি তথ্যচিত্র তৈরি কর খামারটি নিয়ে। সেটা থেকেই ফাঁস হয় রাস্তার মাঝখানে খামার থাকার রহস্য। স্কট হল ফার্মের মালিকদের আদপে নাকি কখনো জমি বিক্রি করার জন্য বলাই হয়নি।
১৯৬০-এর দশকে এম৬২ সড়ক তৈরির সময় প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেন ওয়াইল্ডদের জমিতে ভূতাত্ত্বিক ত্রুটি আছে। আর তাই খামারটিকে এড়িয়ে এর দুপাশে রাস্তা তৈরি করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই খামারমালিকদের ঘাঁটালেন না তাঁরা, মানে খামারটি যেখানে আছে সেখানেই থাকতে দিলেন।
রাস্তার মাঝে একটি খামার থাকাটা কেমন? আপনার মনে হতে পারে, রাস্তায় হওয়া শব্দ আর দূষণের কারণে এখানে থাকাটা দুঃস্বপ্নের মতো। তবে যারা এই খামারে থাকেন কিংবা থাকতেন, তাঁদের দাবি একেবারেই ভিন্ন। তিন স্তরের কাচের জানালার কারণে এখানকার ঘরগুলোয় শব্দ প্রবেশ করতে পারে কমই। বাতাসও আশ্চর্যরকম পরিষ্কার।
বাড়িটির বর্তমান মালিক জিল ফ্রাংকিহাম থর্প, তাঁর স্বামী পল ও ছেলে জন উইলিয়ামস বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দা। থর্পরা বাড়িটিতে আছেন ২০১১ সাল থেকে। তাঁরা জানান, রাস্তার মাঝখানে হওয়ার পরও অপ্রত্যাশিত রকম কম দূষণ জায়গাটিতে।
তবে আশপাশে বসতি না থাকায় বেশ নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। গাড়িতে অন্তত আধা ঘণ্টা লাগে সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির বাড়িতে পৌঁছাতে। এক হিসাবে এটি বেশ অবাক করা ব্যাপারই, কারণ আপনার বাড়ির পাশ দিয়ে প্রতিদিন যাচ্ছে হাজারো মানুষ, কিন্তু আপনি নিঃসঙ্গতায় ভুগবেন।
খামারের মূল বাড়িটা অনেক পুরোনো। হবে নাই বা কেন, এই খামার প্রতিষ্ঠিত হয় সেই আঠারো শতকে। তবে ২০০৮ সালে জিল ও তাঁর স্বামী এখানে আস্তানা গাড়ার পর এর সংস্কার করে নেন। জিল সব সময়ই বলেছেন,এখানে থাকাটা অন্য জায়গার থেকে খুব আলাদা কিছু নয়। ‘গাড়ি খুব কাছ দিয়ে যায় এখানে,’ ম্যানচেস্টার ইভেনিং নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি, ‘তবে সব সময় বাতাস থাকে এখানে। যা দূষণকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। ইউনিভার্সিটি অব হাডারসফিল্ডের শিক্ষার্থীরা এখানকার মাটি ও বায়ু পরীক্ষা করে দেখেছেন, দূষণ এখানে একেবারেই কম।
অনবরত গাড়ির শব্দ থাকে এখানে, তবে এটাও সহনশীল পর্যায়ে বলে মনে করে পরিবারটি। আর এখানে থাকাটাই তাঁদের পছন্দ।
কাজেই পাঠক আগামী ইংল্যান্ড সফরে এমন আশ্চর্য এক জায়গায় কিছুটা সময় কাটানো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। অতিথির দেখা পেলে খামারের মালিক কিংবা কর্মীরাও খুশিই হবেন।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, মিরর
এক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪ দশমিক ৯৫ ডলার; যা ২০২৪–এর ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ না করে ডিমের জোগান ঠিক রাখতে মুরগি পালনের দিকে ঝুঁকছেন অনেক মার্কিন।
১৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য জিনকে (কিম সক-জিন) জনসমক্ষে চুম্বন করে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়েছেন এক জাপানি নারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুনে সিউলে একটি ফ্যান ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে জিন বিটিএসের ১ হাজার ভক্তকে আলিঙ্গন করেন। তবে ওই জাপানি..
৪ দিন আগেইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের ব্লেনহেইম প্যালেস। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই প্রাসাদটিতে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের জন্ম হয়েছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রাসাদে ইতালির শিল্পী মরিজিও কাত্তেলানের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। এই প্রদর্শনীতে দেখানোর জন্য কাত্তেলানের তৈরি ১৮...
৮ দিন আগেচুরি করা এটিএম কার্ড নিয়ে লটারির টিকিট কেনেন দুই চোর। স্ক্র্যাচ-অফ লটারি টিকিটটিতে তাঁরা পেয়ে যান ৫ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা)। টাকা খুশি হলেও সেই টাকা তোলা নিয়েই বিপদ তাদের। এদিকে এটিএম কার্ডের মালিক খুঁজছেন তাঁদের। চাইছেন টাকার ভাগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে।
১০ দিন আগে