ইশতিয়াক হাসান
নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের সবচেয়ে দক্ষিণের এলাকা হলো স্লোপ পয়েন্ট। আর সেখানে গেলেই ভাববেন এ কোথায় চলে এলাম। গাছগুলো সব এভাবে এক দিকে বেঁকে আছে কেন। মনে হয় কেউ জোর করে এদের এভাবে নুইয়ে দিয়েছে।
গাছ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাউথ পয়েন্টের যে অল্প কিছু গাছ আছে তার সবগুলোই এক দিকে বেঁকে আছে। এখানকার গাছগুলোর এমন বাঁকা হওয়ার পুরো বিষয়টিই কিন্তু প্রাকৃতিক। এটাই খোলাসা করছি এখন।
দক্ষিণ মেরু আর বিষুব রেখার মোটামুটি মাঝামাঝি স্লোপ পয়েন্টের অবস্থান। দক্ষিণ মেরু থেকে এর দূরত্ব ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার (২ হাজার ৯৮২ মাইল) আর বিষুবরেখা থেকে ৫ হাজার ১০০ কিলোমিটার (৩ হাজার ১৬৮ মাইল)। কাজেই এখানকার আবহাওয়াকে মোটেই অন্যান্য জায়গার সঙ্গে মেলানো যাবে না। বিশেষ করে অ্যান্টার্কটিকার ঝোড়ো বাতাস এখানে প্রবলভাবে প্রভাব বিস্তার করে। বলা যায় বছরজুড়েই এই বাতাস শাসন করে জায়গাটিকে। দক্ষিণ সাগরের ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে ছুটে আসার কারণে এই বাতাসের গতিও থাকে প্রবল।
আর দক্ষিণের এই তীব্র বাতাসে টিকে থাকতে গিয়েই এখানকার গাছগুলো উল্টোদিকে মানে উত্তর দিকে বেঁকে যায়। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এই ঝোড়ো বাতাসের এলাকায় গাছগুলো লাগালইবা কে?
ঘটনা হলো, ঠিক এই জায়গাটিতে সে অর্থে মানুষের বসবাস নেই। তবে আশপাশে কিছু মানুষের বসতি আছে। এরা ভেড়া পোষেন। ভেড়াগুলো এখানে খোলা জায়গায় ঝোড়ো বাতাসে বিপাকে পড়তে পারে চিন্তা করে এদের কিছুটা নিরাপত্তা দিতে গিয়েই গাছগুলো লাগান তাঁরা। বৈরী পরিবেশে টিকে থাকতে পারে এমন কিছু গাছই লাগিয়েছিলেন। তবে এই প্রচণ্ড বাতাসে টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। তাই গাছগুলোও বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের কাছে আত্মসমর্পণ করে উত্তর দিকে ঝুঁকে পড়ে।
স্লোপ পয়েন্ট এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই খুব বেশি মানুষের আনাগোনা নেই। এমন বৈরী আবহাওয়ায় সেধে খুব বেশি মানুষ আসতে চাওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। তারপরও রোমাঞ্চপ্রেমী কেউ কেউ হাজির হয়ে যান। তাঁদের অবশ্য মানুষের সঙ্গে দেখা মেলে কমই। বরং বিস্তৃত জায়গাটার এখানে-সেখানে চড়ে বেড়ানো ভেড়ার দেখা পান। আর দেখেন সেইসব অদ্ভুত গাছ, মূলত যেগুলোকে দেখতেই তাঁদের এখানে আসা।
খুব বেশি গাছ আছে এখানে তাও নয়। আর এগুলোর দেখা মেলে মূলত স্লোপ পয়েন্টের মূল পার্কিং লটের পাশে। তবে সবচেয়ে দক্ষিণের জায়গাটি সেখান থেকে আরও বিশ মিনিটের পায়ে হাঁটা দূরত্বে, ওটার নাম টি ওয়াইপউনামু।
সব মিলিয়ে সাউথ পয়েন্ট জায়গাটি নির্জন হলেও নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে একটিবার চক্কর দিতেই পারেন। সাউথ পয়েন্টে পৌঁছালে হলুদ একটি প্ল্যাকার্ড নজর কাড়বে আপনার। সেখানে স্লোপ পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ মেরু ও বিষুবরেখার দূরত্ব উল্লেখ করা আছে। হাইকিং যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের কেউ কেউ কালেভদ্রে আসেন এলাকাটিতে। এদের কাউকে হয়তো সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যাবেন। এখানকার পাথুরে পাহাড়গুলোও আপনাকে মুগ্ধ করবে, যেগুলো খাড়া নেমে গেছে সাগরে।
তবে আপনি নিশ্চয় যাবেন ওখানকার আশ্চর্য গাছগুলো দেখতেই। দিন ভালো থাকলে সূর্যের মৃদু তাপে ওমও নিতে পারবেন। তবে ঝোড়ো বাতাস থাকবেই। এর সঙ্গে যুঝতে যুঝতে বেঁকে যাওয়া ওই গাছগুলো দেখবেন, আর ভাববেন পৃথিবীতে কত বিচিত্র কিছুই না আছে!
সূত্র: বোরড পান্ডা, আর্থ অ্যাডভেনচারিস্ট ডট কম, কিওরোসিটাস ডট কম, এক্সপ্লেন্ডারস ডট কম
নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের সবচেয়ে দক্ষিণের এলাকা হলো স্লোপ পয়েন্ট। আর সেখানে গেলেই ভাববেন এ কোথায় চলে এলাম। গাছগুলো সব এভাবে এক দিকে বেঁকে আছে কেন। মনে হয় কেউ জোর করে এদের এভাবে নুইয়ে দিয়েছে।
গাছ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাউথ পয়েন্টের যে অল্প কিছু গাছ আছে তার সবগুলোই এক দিকে বেঁকে আছে। এখানকার গাছগুলোর এমন বাঁকা হওয়ার পুরো বিষয়টিই কিন্তু প্রাকৃতিক। এটাই খোলাসা করছি এখন।
দক্ষিণ মেরু আর বিষুব রেখার মোটামুটি মাঝামাঝি স্লোপ পয়েন্টের অবস্থান। দক্ষিণ মেরু থেকে এর দূরত্ব ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার (২ হাজার ৯৮২ মাইল) আর বিষুবরেখা থেকে ৫ হাজার ১০০ কিলোমিটার (৩ হাজার ১৬৮ মাইল)। কাজেই এখানকার আবহাওয়াকে মোটেই অন্যান্য জায়গার সঙ্গে মেলানো যাবে না। বিশেষ করে অ্যান্টার্কটিকার ঝোড়ো বাতাস এখানে প্রবলভাবে প্রভাব বিস্তার করে। বলা যায় বছরজুড়েই এই বাতাস শাসন করে জায়গাটিকে। দক্ষিণ সাগরের ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে ছুটে আসার কারণে এই বাতাসের গতিও থাকে প্রবল।
আর দক্ষিণের এই তীব্র বাতাসে টিকে থাকতে গিয়েই এখানকার গাছগুলো উল্টোদিকে মানে উত্তর দিকে বেঁকে যায়। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এই ঝোড়ো বাতাসের এলাকায় গাছগুলো লাগালইবা কে?
ঘটনা হলো, ঠিক এই জায়গাটিতে সে অর্থে মানুষের বসবাস নেই। তবে আশপাশে কিছু মানুষের বসতি আছে। এরা ভেড়া পোষেন। ভেড়াগুলো এখানে খোলা জায়গায় ঝোড়ো বাতাসে বিপাকে পড়তে পারে চিন্তা করে এদের কিছুটা নিরাপত্তা দিতে গিয়েই গাছগুলো লাগান তাঁরা। বৈরী পরিবেশে টিকে থাকতে পারে এমন কিছু গাছই লাগিয়েছিলেন। তবে এই প্রচণ্ড বাতাসে টিকে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। তাই গাছগুলোও বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের কাছে আত্মসমর্পণ করে উত্তর দিকে ঝুঁকে পড়ে।
স্লোপ পয়েন্ট এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই খুব বেশি মানুষের আনাগোনা নেই। এমন বৈরী আবহাওয়ায় সেধে খুব বেশি মানুষ আসতে চাওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। তারপরও রোমাঞ্চপ্রেমী কেউ কেউ হাজির হয়ে যান। তাঁদের অবশ্য মানুষের সঙ্গে দেখা মেলে কমই। বরং বিস্তৃত জায়গাটার এখানে-সেখানে চড়ে বেড়ানো ভেড়ার দেখা পান। আর দেখেন সেইসব অদ্ভুত গাছ, মূলত যেগুলোকে দেখতেই তাঁদের এখানে আসা।
খুব বেশি গাছ আছে এখানে তাও নয়। আর এগুলোর দেখা মেলে মূলত স্লোপ পয়েন্টের মূল পার্কিং লটের পাশে। তবে সবচেয়ে দক্ষিণের জায়গাটি সেখান থেকে আরও বিশ মিনিটের পায়ে হাঁটা দূরত্বে, ওটার নাম টি ওয়াইপউনামু।
সব মিলিয়ে সাউথ পয়েন্ট জায়গাটি নির্জন হলেও নিউজিল্যান্ড সফরে গেলে একটিবার চক্কর দিতেই পারেন। সাউথ পয়েন্টে পৌঁছালে হলুদ একটি প্ল্যাকার্ড নজর কাড়বে আপনার। সেখানে স্লোপ পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ মেরু ও বিষুবরেখার দূরত্ব উল্লেখ করা আছে। হাইকিং যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের কেউ কেউ কালেভদ্রে আসেন এলাকাটিতে। এদের কাউকে হয়তো সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যাবেন। এখানকার পাথুরে পাহাড়গুলোও আপনাকে মুগ্ধ করবে, যেগুলো খাড়া নেমে গেছে সাগরে।
তবে আপনি নিশ্চয় যাবেন ওখানকার আশ্চর্য গাছগুলো দেখতেই। দিন ভালো থাকলে সূর্যের মৃদু তাপে ওমও নিতে পারবেন। তবে ঝোড়ো বাতাস থাকবেই। এর সঙ্গে যুঝতে যুঝতে বেঁকে যাওয়া ওই গাছগুলো দেখবেন, আর ভাববেন পৃথিবীতে কত বিচিত্র কিছুই না আছে!
সূত্র: বোরড পান্ডা, আর্থ অ্যাডভেনচারিস্ট ডট কম, কিওরোসিটাস ডট কম, এক্সপ্লেন্ডারস ডট কম
নেই অফিসে যাওয়ার ঝক্কি। তবে, আছে অফিসের কাজ। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ধারণা এই ‘হোম অফিস’। যুক্তরাষ্ট্রে আজ ‘অর্গানাইজ ইওর হোম অফিস ডে’, অর্থাৎ নিজের কাজের জায়গা ও পরিবেশকে সুশৃঙ্খল করার দিন এটি।
১২ ঘণ্টা আগেফ্যাশন জগৎ সব সময়ই নতুনত্বের খোঁজে থাকে। কখনো ক্ল্যাসিক, কখনো আবার উদ্ভট—ফ্যাশনের এই বিবর্তন যেন থামেই না কখনো। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু ট্রেন্ড সামনে আসে, যা দেখে চোখ কপালে ওঠে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক পায়ের জিনস। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন—এক পায়ের জিনস!
৩ দিন আগেএক টুকরো টোস্টে যিশুর অবয়ব দেখার কথা হয়তো শুনেছেন, কিন্তু একটি চিটো বা চিপস যদি দেখতে হয় জনপ্রিয় কার্টুন পোকেমন চরিত্রের মতো? সম্প্রতি চারিজার্ডের আকৃতির একটি ফ্লেমিন হট চিটো নিলামে ৮৭ হাজার ৮৪০ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা সংগ্রহশালার দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে।
৩ দিন আগেএক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪ দশমিক ৯৫ ডলার; যা ২০২৪–এর ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ না করে ডিমের জোগান ঠিক রাখতে মুরগি পালনের দিকে ঝুঁকছেন অনেক মার্কিন।
৮ দিন আগে