Ajker Patrika

বিচিত্র /বিখ্যাত ব্র্যান্ডের এক পায়ের জিনস, দাম মাত্র ৫৩ হাজার টাকা!

কোপার্নির তৈরি সেই এক পায়ের জিনস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কোপার্নির তৈরি সেই এক পায়ের জিনস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ফ্যাশন জগৎ সব সময়ই নতুনত্বের খোঁজে থাকে। কখনো ক্ল্যাসিক, কখনো আবার উদ্ভট—ফ্যাশনের এই বিবর্তন যেন থামেই না কখনো। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু ট্রেন্ড সামনে আসে, যা দেখে চোখ কপালে ওঠে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক পায়ের জিনস। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন—এক পায়ের জিনস!

এই জিনসটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফরাসি বিলাসপণ্য প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড কোপার্নি। এই উদ্ভট ডিজাইনের জিনসের দাম মার্কিন ডলারে মাত্র ৪৪০, তবে বাংলাদেশি টাকায় এর দাম দাঁড়ায় মাত্র ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ট্রেন্ড কি আদৌ মূলধারায় জায়গা করে নিতে পারবে, নাকি এটি কেবলই এক বিতর্কিত ফ্যাশন স্টান্ট?

কোপার্নির এই এক পায়ের জিনসের ডিজাইনটি বেশ অস্বাভাবিক। হাই ওয়েস্ট (যেসব প্যান্ট কোমর থেকে একটু ওপরে পরতে হয়, এমনকি কখনো কখনো তা নাভি পর্যন্ত উঠে যায়) এই প্যান্টটি একদিকে বিচ শর্টসের মতো দেখতে, অন্যদিকে এক পায়ের বুটকাট সিলুয়েট। ব্র্যান্ডটির মতে, এটি ক্ল্যাসিক ডেনিম স্টাইলকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। তবে এই র‍্যাডিক্যাল ডিজাইন অনেকের কাছেই হজম করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে।

ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ক্রিস্টি সারাহ তাঁর ইনস্টাগ্রামে এই জিনসটি পরিধান করে তাঁর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। তিনি একে ‘সম্ভবত ইন্টারনেটে সবচেয়ে বিতর্কিত জিনস’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর স্বামী ডেসমন্ড জিনসটি দেখেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এটির এক পা কোথায়?’ এবং মন্তব্য করেছেন, ‘কেউ এটি পরবে না।’

তবে ক্রিস্টি প্রথমে কিছুটা সন্দিহান থাকলেও পরে বলেছেন, ডিজাইনটি যদিও অস্বাভাবিক, তবুও তিনি একেবারে বিরোধী নন। তাঁর মতে, জিনসটি একটু ছোট এবং তাঁর পছন্দের সাইজটি বড় হলে ভালো হতো।

অ্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী স্টাইলিস্ট কারসন ক্রেসলি, যিনি ‘রুপল’স ড্র্যাগ রেস’ এবং ‘কিউয়ার আই ফর দ্য স্ট্রেইট গাই’—এর জন্য পরিচিত তিনি এই ট্রেন্ড নিয়ে মজা করে বলেছেন, ‘আশা করি এই ট্রেন্ডটি ব্যর্থ হবে এবং এর কোনো ভিত্তি থাকবে না। আমি আশা করি এগুলো সব সময় ৫০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হবে!’ তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, ফ্যাশন এক্সপার্টরাও এই উদ্ভট ডিজাইনের প্রতি বিশেষ আস্থা রাখছেন না।

ক্রিস্টির ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই এক পায়ের জিনস নিয়ে তাদের মতামত দিতে ছাড়েননি। এক ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি আমার দেখা সবচেয়ে বোকামিপূর্ণ বস্তু।’

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ডিজাইনাররা হতাশ হয়ে পড়ছে। আমি ভেবেছিলাম ইলেকট্রিক্যাল টেপের পোশাকই সবচেয়ে খারাপ।’ আবার কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, ‘এগুলো হয়তো কোনো অঙ্গহানি হওয়া কাপড়চোপড়ের বাজারে বিক্রি হবে।’

তবে কোপার্নিই একমাত্র ব্র্যান্ড নয়, যারা এ ধরনের ডিজাইন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। গত শরতে বোটেগা ভেনেটা এবং লুই ভিতোঁও একই ধরনের স্টাইল চালু করেছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা সত্ত্বেও, কোপার্নির এক পায়ের জিনসটি বেশ হিট হয়েছে এবং এর স্টক ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।

ফ্যাশন সব সময়ই বিতর্কের জন্ম দেয়। কখনো তা গ্রহণযোগ্য হয়, কখনো বা নয়। এক পায়ের জিনস নিয়ে বিতর্কও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। এটি কি ফ্যাশনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, নাকি শুধুই একটি উদ্ভট ট্রেন্ড হিসেবেই থেকে যাবে—তা সময়ই বলবে। তবে এ কথা নিশ্চিত, ফ্যাশন জগৎ সব সময়ই আমাদের চমকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত