কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
কৈশোরেই গাড়ির প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। ১৮০ বা ২০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা গাড়ি আকর্ষণ করত তাঁকে। হয়তো এই গতির আকর্ষণই একদিন তাঁকে টেনে এনেছিল রেসিং ট্র্যাকে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন দেশের প্রথম নারী রেসার। তাঁর নাম কাশফিয়া আরফা।
সদ্য কৈশোর পেরিয়েছেন। গতির ময়দানে নেমে করেছেন বাজিমাত। এমন সংবাদে আগ্রহী না হয়ে উপায় ছিল না। একদিন কথা হলো তাঁর সঙ্গে। জানতে চাইলাম গতি এবং ট্র্যাকের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প। কার রেসিংয়ের জন্য দরকার চূড়ান্ত মনোযোগ ও মানসিক স্থিরতা। এ দুটিকে রেসিং ট্র্যাকে সফলতার মূলমন্ত্র মেনে এসেছেন বাঘা বাঘা রেসার। অভিজ্ঞতার ফলে এসব গুণ রপ্ত করে নিয়েছেন কাশফিয়া। তাঁর কাছে গাড়ির গতি হয়ে উঠেছে রোমাঞ্চকর।
ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড
কাশফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ব্যস্ততার কথা। স্বপ্নের পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার প্রথম ধাপে থাকা কাশফিয়ার ব্যস্ততা ছিল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড প্রতিযোগিতা নিয়ে। এটি অনুষ্ঠিত হয় ১৭ থেকে ২১ অক্টোবর। অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হয়ে এ রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন কাশফিয়া। ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড প্রতিযোগিতায় কাশফিয়া নারী একক নকআউটে গোল্ড পি ওয়ান নিয়ে ফিরেছেন। এ ছাড়া মিশ্র বিভাগে তিনি ও আরহাম রহমান পি ওয়ান লাভ করেছেন। তাঁরা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক রেস ইভেন্টে রেস লাইসেন্সের অধীনে এটি শেষ করেছেন।
মোটর স্পোর্টস গেম
স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠেয় এফআইএ মোটর স্পোর্টস গেমে অংশ নেওয়ার জন্য ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন কাশফিয়া। বলা চলে তিনি মরিয়া। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। এফআইএ ন্যাশনাল রেসিং লাইসেন্স পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি। এ লাইসেন্স পেতে তাঁকে অনেক ইভেন্টে অংশ নিয়ে ভালো ফল করতে হয়েছে। এফআইএ ন্যাশনাল রেসিং লাইসেন্স পাওয়ার পরই তিনি স্পেনে অনুষ্ঠেয় মোটর স্পোর্টস গেমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। ফলে এ ইভেন্টে ভালো করতে অনেক পরিশ্রম করছেন তিনি।
প্রিয় রেসার
ঢাকায় বেড়ে ওঠা কাশফিয়ার প্রিয় রেসার অভিক আনোয়ার। তবে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা। ছোটবেলায় বাবা মারা যান কাশফিয়ার। এর পর থেকে মা একাই বড় করেছেন কাশফিয়া ও তাঁর বোনকে। মায়ের ত্যাগ, ভালোবাসা ও সাহস প্রতিনিয়ত তাঁকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। শুধু রেসিংয়ে নয়, হ্যান্ডবলেও পারদর্শী কাশফিয়া। ভবিষ্যতে ইন্টারন্যাশনাল র্যালিক্রস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। সেই চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পতাকা উড়ুক, সেটি দেখতে চান তিনি।
সুযোগ-সুবিধা
কার রেসিংয়ের কী সুযোগ-সুবিধা আছে এ দেশে? কাশফিয়া জানান, দেশে রেসিং ট্র্যাকের অপর্যাপ্ততার কারণে বিদেশের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে তাঁকে। অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানিয়েছেন, দেশের প্রেক্ষাপটে কার রেসিং কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মানের রেসিং ট্র্যাক, গাড়ি কিংবা প্রযুক্তির সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে এ দেশে। বর্তমানে কিছু প্রতিষ্ঠান দেশের রেসারদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সহায়তা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান নারীদের রেসিংয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখছে। সব মিলিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও দেশের রেসিং নিয়ে আশাবাদী কাশফিয়া। ছোট উদ্যোগ থেকেই বাংলাদেশে কার রেসিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলে মনে করেন তিনি।
শখ যখন পেশা
ছোটবেলার শখ থেকে কাশফিয়া আজ বিশ্বদরবারে। কিন্তু এ পথ এত মসৃণ ছিল না। কাশফিয়া জানান, একজন নারী হিসেবে রেসিংয়ের মতো খেলা বেছে নেওয়া সমাজের কিছু অংশ ঠিকভাবে গ্রহণ করেনি। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিজের কাজ করে গেছেন তিনি। এখন সাফল্য তাঁকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে ভালো কিছু করার, বড় কিছু করার।
রেসিং ট্র্যাকে এ দেশের আরও অনেক নারীকে দেখতে চান কাশফিয়া। আর সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন, যেন তাঁকে দেখে ট্র্যাকের সাফল্য ছুঁতে অন্য নারীরা এগিয়ে আসেন। কাশফিয়া বললেন, ‘আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক কিছু করতে পারে; শুধু তাদের একটু সুযোগ আর সাহস লাগবে।’
কৈশোরেই গাড়ির প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। ১৮০ বা ২০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলা গাড়ি আকর্ষণ করত তাঁকে। হয়তো এই গতির আকর্ষণই একদিন তাঁকে টেনে এনেছিল রেসিং ট্র্যাকে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন দেশের প্রথম নারী রেসার। তাঁর নাম কাশফিয়া আরফা।
সদ্য কৈশোর পেরিয়েছেন। গতির ময়দানে নেমে করেছেন বাজিমাত। এমন সংবাদে আগ্রহী না হয়ে উপায় ছিল না। একদিন কথা হলো তাঁর সঙ্গে। জানতে চাইলাম গতি এবং ট্র্যাকের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প। কার রেসিংয়ের জন্য দরকার চূড়ান্ত মনোযোগ ও মানসিক স্থিরতা। এ দুটিকে রেসিং ট্র্যাকে সফলতার মূলমন্ত্র মেনে এসেছেন বাঘা বাঘা রেসার। অভিজ্ঞতার ফলে এসব গুণ রপ্ত করে নিয়েছেন কাশফিয়া। তাঁর কাছে গাড়ির গতি হয়ে উঠেছে রোমাঞ্চকর।
ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড
কাশফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ব্যস্ততার কথা। স্বপ্নের পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার প্রথম ধাপে থাকা কাশফিয়ার ব্যস্ততা ছিল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড প্রতিযোগিতা নিয়ে। এটি অনুষ্ঠিত হয় ১৭ থেকে ২১ অক্টোবর। অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হয়ে এ রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন কাশফিয়া। ফেস্টিভ্যাল অব স্পিড প্রতিযোগিতায় কাশফিয়া নারী একক নকআউটে গোল্ড পি ওয়ান নিয়ে ফিরেছেন। এ ছাড়া মিশ্র বিভাগে তিনি ও আরহাম রহমান পি ওয়ান লাভ করেছেন। তাঁরা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক রেস ইভেন্টে রেস লাইসেন্সের অধীনে এটি শেষ করেছেন।
মোটর স্পোর্টস গেম
স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠেয় এফআইএ মোটর স্পোর্টস গেমে অংশ নেওয়ার জন্য ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন কাশফিয়া। বলা চলে তিনি মরিয়া। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। এফআইএ ন্যাশনাল রেসিং লাইসেন্স পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি। এ লাইসেন্স পেতে তাঁকে অনেক ইভেন্টে অংশ নিয়ে ভালো ফল করতে হয়েছে। এফআইএ ন্যাশনাল রেসিং লাইসেন্স পাওয়ার পরই তিনি স্পেনে অনুষ্ঠেয় মোটর স্পোর্টস গেমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। ফলে এ ইভেন্টে ভালো করতে অনেক পরিশ্রম করছেন তিনি।
প্রিয় রেসার
ঢাকায় বেড়ে ওঠা কাশফিয়ার প্রিয় রেসার অভিক আনোয়ার। তবে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা। ছোটবেলায় বাবা মারা যান কাশফিয়ার। এর পর থেকে মা একাই বড় করেছেন কাশফিয়া ও তাঁর বোনকে। মায়ের ত্যাগ, ভালোবাসা ও সাহস প্রতিনিয়ত তাঁকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। শুধু রেসিংয়ে নয়, হ্যান্ডবলেও পারদর্শী কাশফিয়া। ভবিষ্যতে ইন্টারন্যাশনাল র্যালিক্রস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। সেই চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পতাকা উড়ুক, সেটি দেখতে চান তিনি।
সুযোগ-সুবিধা
কার রেসিংয়ের কী সুযোগ-সুবিধা আছে এ দেশে? কাশফিয়া জানান, দেশে রেসিং ট্র্যাকের অপর্যাপ্ততার কারণে বিদেশের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে তাঁকে। অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানিয়েছেন, দেশের প্রেক্ষাপটে কার রেসিং কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মানের রেসিং ট্র্যাক, গাড়ি কিংবা প্রযুক্তির সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে এ দেশে। বর্তমানে কিছু প্রতিষ্ঠান দেশের রেসারদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সহায়তা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান নারীদের রেসিংয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখছে। সব মিলিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও দেশের রেসিং নিয়ে আশাবাদী কাশফিয়া। ছোট উদ্যোগ থেকেই বাংলাদেশে কার রেসিংয়ের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলে মনে করেন তিনি।
শখ যখন পেশা
ছোটবেলার শখ থেকে কাশফিয়া আজ বিশ্বদরবারে। কিন্তু এ পথ এত মসৃণ ছিল না। কাশফিয়া জানান, একজন নারী হিসেবে রেসিংয়ের মতো খেলা বেছে নেওয়া সমাজের কিছু অংশ ঠিকভাবে গ্রহণ করেনি। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিজের কাজ করে গেছেন তিনি। এখন সাফল্য তাঁকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে ভালো কিছু করার, বড় কিছু করার।
রেসিং ট্র্যাকে এ দেশের আরও অনেক নারীকে দেখতে চান কাশফিয়া। আর সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন, যেন তাঁকে দেখে ট্র্যাকের সাফল্য ছুঁতে অন্য নারীরা এগিয়ে আসেন। কাশফিয়া বললেন, ‘আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক কিছু করতে পারে; শুধু তাদের একটু সুযোগ আর সাহস লাগবে।’
নড়াইল শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠের দক্ষিণ দিকে রাস্তার পাশে চারতলা ভবন। নাম ‘অন্তি কটেজ’। এ ভবনের ৩ হাজার বর্গফুট ছাদজুড়ে তনিমা আফরিনের বাগান। তিনতলায় স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া তনিমা।
৮ ঘণ্টা আগেঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ৮টা ৫০ মিনিট। শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ছে না। কিন্তু এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছেন তিনি। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি।
৯ ঘণ্টা আগেদিন যত যাচ্ছে, গৃহকর্মী নির্যাতন যেন বাড়ছেই। বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২৫ লাখ গৃহকর্মী কাজ করে। আর বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ গৃহকর্মী নারী।
৯ ঘণ্টা আগেহতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা।
৯ ঘণ্টা আগে