অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছোট্ট এক শহরের বাসচালকের মেয়ে সানা আলী। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে শেষ করেছেন লেখাপড়া। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাঁর স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সানা নিযুক্ত হয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) সহকারী কারিগরি প্রকৌশলী হিসেবে।
অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপাতি জেলার শ্রিহরিকোটায় অবস্থিত ইসরোর সতিশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে বিজ্ঞানী হিসেবে সানার ভূমিকা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন সংগ্রাম জয়ের প্রতীক। তাঁর এ অর্জন পরিবারের জন্যও অনেক আবেগের।
কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতি স্থিরচিত্ত সানাকে সুযোগ অর্জনে সহায়তা করেছে। বাবার সীমিত উপার্জন ও অপর্যাপ্ত সম্পদ তাঁর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বাধা হতে পারেনি। সানা মধ্যপ্রদেশের বিদিশার সম্রাট অশোক টেকনিকাল ইনস্টিটিউট থেকে প্রযুক্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।
সানার পড়ালেখা চালিয়ে নিতে তাঁর বাবা সৈয়দ সাজিদ আলীকে ঋণ নিতে হয়েছিল, আজীবনের শখের গয়নাও বন্ধক রেখেছিলেন মা।
সানার সংগ্রাম কেবল আর্থিক অনটন মোকাবিলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল না; চারপাশ থেকে ছিল নানা সামাজিক চাপ। আত্মীয়দের পরামর্শ ছিল মেয়েকে আর লেখাপড়া না করিয়ে জলদি বিয়ে দিয়ে দেওয়ার।
তবে সে কথা কানে না তুলে মেয়ের পড়ালেখাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন সানার মা-বাবা। পড়ালেখার খরচ সামলাতে টিউশন পড়াতেন সানা। প্রকৌশলের ডিগ্রি নেওয়ার পরই ২০২২ সালে বিয়ে করেন গোয়ালিয়রের প্রকৌশলী আকরামকে। এই সফলতায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অবদানও অনেক বলে জানান সানা।
সানা ইসরোতে কাজ করার সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি সব নারীকে বলতে চাই: যেভাবেই হোক পড়ালেখা করুন। আপনার জীবনের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা পূরণের জন্য সব চেষ্টা করুন। পথে আসা সব ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
মানুষের উচিৎ তাঁদের কন্যা সন্তানকে সুশিক্ষিত করা ও তাদের স্বপ্নগুলোকে ডানা মেলতে দেওয়া—যোগ করেন সানা।
ইসরোর সতিশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রতে কারিগরি সহকারী হিসেবে সম্প্রতি মনোনীত হওয়ায় সানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে শিবরাজ বলেন, ‘আপনার মতো নারীরা মধ্যপ্রদেশের গর্ব। এ অঞ্চলের নারীরা কতটা সম্ভাবনাময় তা আপনাদের দেখে বোঝা যায়। আমি আপনাদের সুখী, সফল ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছোট্ট এক শহরের বাসচালকের মেয়ে সানা আলী। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে শেষ করেছেন লেখাপড়া। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাঁর স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সানা নিযুক্ত হয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) সহকারী কারিগরি প্রকৌশলী হিসেবে।
অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপাতি জেলার শ্রিহরিকোটায় অবস্থিত ইসরোর সতিশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রে বিজ্ঞানী হিসেবে সানার ভূমিকা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন সংগ্রাম জয়ের প্রতীক। তাঁর এ অর্জন পরিবারের জন্যও অনেক আবেগের।
কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতি স্থিরচিত্ত সানাকে সুযোগ অর্জনে সহায়তা করেছে। বাবার সীমিত উপার্জন ও অপর্যাপ্ত সম্পদ তাঁর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বাধা হতে পারেনি। সানা মধ্যপ্রদেশের বিদিশার সম্রাট অশোক টেকনিকাল ইনস্টিটিউট থেকে প্রযুক্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।
সানার পড়ালেখা চালিয়ে নিতে তাঁর বাবা সৈয়দ সাজিদ আলীকে ঋণ নিতে হয়েছিল, আজীবনের শখের গয়নাও বন্ধক রেখেছিলেন মা।
সানার সংগ্রাম কেবল আর্থিক অনটন মোকাবিলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল না; চারপাশ থেকে ছিল নানা সামাজিক চাপ। আত্মীয়দের পরামর্শ ছিল মেয়েকে আর লেখাপড়া না করিয়ে জলদি বিয়ে দিয়ে দেওয়ার।
তবে সে কথা কানে না তুলে মেয়ের পড়ালেখাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন সানার মা-বাবা। পড়ালেখার খরচ সামলাতে টিউশন পড়াতেন সানা। প্রকৌশলের ডিগ্রি নেওয়ার পরই ২০২২ সালে বিয়ে করেন গোয়ালিয়রের প্রকৌশলী আকরামকে। এই সফলতায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অবদানও অনেক বলে জানান সানা।
সানা ইসরোতে কাজ করার সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি সব নারীকে বলতে চাই: যেভাবেই হোক পড়ালেখা করুন। আপনার জীবনের জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা পূরণের জন্য সব চেষ্টা করুন। পথে আসা সব ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
মানুষের উচিৎ তাঁদের কন্যা সন্তানকে সুশিক্ষিত করা ও তাদের স্বপ্নগুলোকে ডানা মেলতে দেওয়া—যোগ করেন সানা।
ইসরোর সতিশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রতে কারিগরি সহকারী হিসেবে সম্প্রতি মনোনীত হওয়ায় সানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে শিবরাজ বলেন, ‘আপনার মতো নারীরা মধ্যপ্রদেশের গর্ব। এ অঞ্চলের নারীরা কতটা সম্ভাবনাময় তা আপনাদের দেখে বোঝা যায়। আমি আপনাদের সুখী, সফল ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে