গনেশ দাস, বগুড়া
একে একে সবাই ছেড়ে গেছেন তাঁকে। ১৯৯৭ সালে বিয়ের পর সংসারে অভাব-অনটনের কারণে চাকরি নেন ব্র্যাকের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে। তিন কিলোমিটার দূরে হাপুনিয়া গ্রামের সেই শিক্ষাকেন্দ্রে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াতেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় মারা যান স্বামী। পরে আর বিয়ে করেননি। শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয়েই থেকে যান। তারপর ছয় বছরের মধ্যে একে একে মারা যান শ্বশুর-শাশুড়ি। ২০১৯ সালে স্কুলটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এত কিছুর পরেও ঘরে বসে না থেকে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পড়ানো শুরু করেন গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।
বগুড়া শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এরুলিয়া ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ি গ্রামে বসবাস করেন এই নারী। তাঁর নাম রত্না দেবনাথ।
২০১৯ সালে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন ধরনের কুটিরশিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন রত্না। কিন্তু শিশুদের লেখাপড়া বন্ধের বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিতে শুরু করে।
এ জন্য কারও সহযোগিতার তোয়াক্কা না করে শিশুদের পড়ানো শুরু করেন রত্না। হাপুনিয়া গ্রামে ব্র্যাকের যে স্কুলটিতে পড়াতেন, সেটি বন্ধ হয়ে গেলে সেখানেই সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে তাঁর পড়ানোর পালা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংগ্রহ করে নিজের স্কুলে নিয়ে আসেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে বাদ সাধেন ঘরের মালিক। পরে গ্রামের লোকজনের অনুরোধে সজল প্রামাণিক নামের একজন মাসিক তিন শ টাকায় নিজের ঘর ভাড়া দেন।
রত্না দেবনাথের স্কুলে বর্তমানে ২২ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে আরও ১০ জন শিক্ষার্থী।
রত্না জানান, তাঁর স্বামীর চারজন বড় ভাই থাকলেও তাঁরা পৃথক। এ কারণে তিনি ব্র্যাক স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। একই এলাকায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করায় এলাকার লোকজনেরও প্রিয় ছিলেন তিনি।
এ কারণে স্কুলটি বন্ধ হলেও এলাকাবাসী চাচ্ছিলেন, তিনি সেখানেই ছেলেমেয়েদের শিক্ষার দায়িত্বটা নিন। যে কারণে গ্রামবাসী তাঁকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।
অভিভাবক লাকী বেগম বলেন, রত্না শুধু যে বর্ণপরিচয় শেখান, তা নয়। কীভাবে কথা বলতে হয়; কীভাবে নিজের পরিচয় দিতে হয়—সবই শেখান তিনি। এ কারণে গ্রামের সব মানুষই তাঁর ওপর
সন্তুষ্ট। তিনি এই গ্রামের মানুষ নন। কিন্তু সবাই তাঁকে নিজের মানুষ মনে করে।
বগুড়া জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক এ এইচ এম রবিউল করিম বলেন, শিশুদের প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষা দেওয়া কষ্টকর। অথচ তিনি নিরলসভাবে সেই কাজ করছেন বিনা পারিশ্রমিকে। ভবিষ্যতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্পের কোনো কেন্দ্র চালু করা হলে তাঁকে সেখানে সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
একে একে সবাই ছেড়ে গেছেন তাঁকে। ১৯৯৭ সালে বিয়ের পর সংসারে অভাব-অনটনের কারণে চাকরি নেন ব্র্যাকের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে। তিন কিলোমিটার দূরে হাপুনিয়া গ্রামের সেই শিক্ষাকেন্দ্রে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াতেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় মারা যান স্বামী। পরে আর বিয়ে করেননি। শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয়েই থেকে যান। তারপর ছয় বছরের মধ্যে একে একে মারা যান শ্বশুর-শাশুড়ি। ২০১৯ সালে স্কুলটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এত কিছুর পরেও ঘরে বসে না থেকে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পড়ানো শুরু করেন গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের।
বগুড়া শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এরুলিয়া ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ি গ্রামে বসবাস করেন এই নারী। তাঁর নাম রত্না দেবনাথ।
২০১৯ সালে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে বাড়িতেই বিভিন্ন ধরনের কুটিরশিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন রত্না। কিন্তু শিশুদের লেখাপড়া বন্ধের বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিতে শুরু করে।
এ জন্য কারও সহযোগিতার তোয়াক্কা না করে শিশুদের পড়ানো শুরু করেন রত্না। হাপুনিয়া গ্রামে ব্র্যাকের যে স্কুলটিতে পড়াতেন, সেটি বন্ধ হয়ে গেলে সেখানেই সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে তাঁর পড়ানোর পালা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংগ্রহ করে নিজের স্কুলে নিয়ে আসেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে বাদ সাধেন ঘরের মালিক। পরে গ্রামের লোকজনের অনুরোধে সজল প্রামাণিক নামের একজন মাসিক তিন শ টাকায় নিজের ঘর ভাড়া দেন।
রত্না দেবনাথের স্কুলে বর্তমানে ২২ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে আরও ১০ জন শিক্ষার্থী।
রত্না জানান, তাঁর স্বামীর চারজন বড় ভাই থাকলেও তাঁরা পৃথক। এ কারণে তিনি ব্র্যাক স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। একই এলাকায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করায় এলাকার লোকজনেরও প্রিয় ছিলেন তিনি।
এ কারণে স্কুলটি বন্ধ হলেও এলাকাবাসী চাচ্ছিলেন, তিনি সেখানেই ছেলেমেয়েদের শিক্ষার দায়িত্বটা নিন। যে কারণে গ্রামবাসী তাঁকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।
অভিভাবক লাকী বেগম বলেন, রত্না শুধু যে বর্ণপরিচয় শেখান, তা নয়। কীভাবে কথা বলতে হয়; কীভাবে নিজের পরিচয় দিতে হয়—সবই শেখান তিনি। এ কারণে গ্রামের সব মানুষই তাঁর ওপর
সন্তুষ্ট। তিনি এই গ্রামের মানুষ নন। কিন্তু সবাই তাঁকে নিজের মানুষ মনে করে।
বগুড়া জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক এ এইচ এম রবিউল করিম বলেন, শিশুদের প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষা দেওয়া কষ্টকর। অথচ তিনি নিরলসভাবে সেই কাজ করছেন বিনা পারিশ্রমিকে। ভবিষ্যতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্পের কোনো কেন্দ্র চালু করা হলে তাঁকে সেখানে সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
৪ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
৪ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
৪ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
৪ দিন আগে