ভিন্ন চোখে বইমেলা: পাঠকদের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে

কাশফিয়া আলম ঝিলিক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ১২
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ২৮

স্বাধীন বাংলাদেশের বয়সের সমান্তরালে বেড়েছে বইমেলার বয়স। গত ৫২ বছরে এর রূপ, জায়গা আর পরিসর বদলেছে অনেকবার। দেখতে দেখতে এটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। শীতের শেষ আর বসন্তের শুরু জুড়ে বাঙালির মনে ফেব্রুয়ারি মানেই বইমেলা। এখানে পাঠক, লেখক আর প্রকাশকদের পাশাপাশি বড় একটা অংশজুড়ে থাকেন বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা। কেমন দেখেন তাঁরা বইমেলাকে? তাঁদের কথা তুলে ধরেছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক

হাবিবা বিনতে রহমান খড়িমাটি প্রকাশনীতে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। একজন বিক্রয়কর্মী হিসেবে বইমেলায় তাঁর যাত্রা শুরু হয় যখন তিনি স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে হাবিবা গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খড়িমাটি প্রকাশনীতে কাজ করছেন। হাবিবা জানিয়েছেন, বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে এবং বইয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগের জন্য এই কাজে অংশগ্রহণ করেছি।

বইমেলায় বইপ্রেমীদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ে এবং খুদে বইপ্রেমীদের সঙ্গে পরিচয় হয়, যা তিনি উপভোগ করেন। পরপর দুবার কাজ করে হাবিবার এখানে একটা ভালো লাগার জায়গা তৈরি হয়েছে।

হাবিবা মনে করেন, প্রতিটি বইমেলায় নতুন নতুন গল্প তৈরি হয়। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া দুই শিশুর এ পি জে আবদুল কালামের বই চাওয়া আনন্দিত করেছিল তাঁকে। পাঠকদের বই নির্বাচন ও কেনার আগ্রহ লক্ষ করেন হাবিবা। তিনি বলেন, ‘বইমেলায় আগত পাঠকদের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।’ তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে পাঠকদের ভালো বই পড়ার মানসিকতা কমে যাওয়ায় কষ্ট পান তিনি। বিক্রয়কর্মীদের মধ্য লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্য আছে বলে মনে করেন না হাবিবা।

তিনি বলেন, ‘নারী বিক্রয়কর্মীর কাজ পুরুষ বিক্রয়কর্মীর থেকে আলাদা নয়। বিক্রয়কর্মী হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি।’ তবে নারী বিক্রয়কর্মীদের ক্ষেত্রে কাজের পরিবেশটা কেমন, তাঁরা কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন কি না, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত বলে মনে করেন হাবিবা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত