কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বাড্ডার এক গলিতে হাঁটতে হাঁটতে খুঁজছিলাম একজন নারীর বাড়ির রাস্তা। আমাকে তিনি মোবাইল ফোনে নানান উপায়ে রাস্তা চেনাতে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ নিজেই নেমে এলেন বাড়ির নিচে। তারপর লিফট দিয়ে দোতলায় উঠে বইয়ের তাক আর ফ্রেম করা ছবিতে ভর্তি ড্রয়িংরুমে বসালেন। সোফায় বসে বিনা অনুমতিতেই বই ওলটাতে থাকলাম। একটু পরেই ফিরে এলেন তিনি। বোঝা যাচ্ছে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে পড়লেন আমার সামনের সোফায়। হাতে থাকা মগ আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাহলে শুরু করি।’ এভাবেই জান্নাতুল ফেরদৌস আইভির সঙ্গে কথাবার্তার শুরু। ২১ নভেম্বরের পর দেশের শুধু নয়, পৃথিবীর অনেকেই জেনে গেছেন তাঁর কথা।
জান্নাতুল একজন মানবাধিকারকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক। কিন্তু তিনি কী হতে চেয়েছিলেন? প্রশ্ন শুনে জান্নাতুল হেসে ফেললেন। বললেন, ‘আমি কিন্তু ইন্টারমিডিয়েটে ফেল করেছিলাম। পরেরবার পাস করতে পারলেও ভালো নম্বর পাইনি। এ জন্য বুয়েটে আর্কিটেকচারে পড়া হয়নি। আর্কিটেক্ট হতে চেয়েও পারিনি।’ একটা ক্রেস্ট হাতে নিয়ে বললেন, ‘মজার বিষয় হলো, নারীদের অধিকার নিয়ে একটা শর্টফিল্মের জন্য বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের একটা গ্রুপ আমাকে একবার সম্মানিত করেছিল।
ওই দিন ক্রেস্টটা হাতে নিয়ে বলেছিলাম, একদিন আমি এখানেই পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু পড়া হয়নি। আজ আপনারা আমাকে সম্মানিত করছেন, এটা গর্বের।’
কিন্তু জান্নাতুল কাজ করছেন বিভিন্নভাবে পুড়ে যাওয়া মানুষদের অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে। জানালেন, নিজের তৈরি সংগঠন ভয়েস অ্যান্ড ভিউজ নিয়ে তিনি তিনটি জেলায় ক্যাম্পেইন করতে পেরেছেন এ পর্যন্ত। বললেন, ‘আমি চাই এই সচেতনতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।’ পুড়ে গিয়ে বেঁচে আসা মানুষগুলোর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে নিজেদের অধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
১৯৯৭ সালে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন জান্নাতুল। রান্নাঘরে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, এই পরিমাণ পুড়ে যাওয়া রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সারিয়ে তুলতে থাকেন জান্নাতুলকে। ৫২ দিন হাসপাতালে থেকে লড়াই করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। এরপর শুরু হয় অন্য এক লড়াই।
আমার সামনে বসে জান্নাতুল কিছুটা আনমনা হয়ে যান। বলেন, ‘বলতে শুনেছি, ওর বেঁচে থেকে কী লাভ! আবার মসজিদে আমার সুস্থতার জন্য দোয়া হতেও দেখেছি।’ নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারকে দেখেছেন তাঁর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে।
কখনো তাঁর মামা রাতের পর রাত থেকেছেন হাসপাতালে, কখনো নানা বিক্রি করে দিতে চেয়েছেন তাঁর শেষ সম্বল বাড়িটা। যেই বাবা-মাকে কখনো ঝগড়া করতে দেখেননি, তাঁদেরও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে দেখেছেন। জানতে চাইলাম, এখন, এই সময়ে এসে বাবাকে মিস করেন? হাতের একটা আংটি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা আমার বাবার। বাবা মারা যাওয়ার পর কিছুদিন আগে মা আমাকে আংটিটা দিয়েছেন।’ জান্নাতুলের চোখ বলে দিচ্ছিল, বাবাকে তিনি কতটা ভালোবাসেন। নিজের সেই পরিস্থিতিতে পরিবারকে পুরোপুরিভাবে পাশে পেয়েছেন তিনি। শেষ করেছেন লেখাপড়া। কখনো এঁকেছেন, লিখেছেন, সিনেমা বানিয়েছেন! এখন শিখছেন বাঁশি বাজানো। ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়ে পাহাড়ে।
একটা সময় এই দুর্ঘটনার জন্য লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় জান্নাতুলের। প্লাস্টিক সার্জারি করাতে পঞ্চাশবারের বেশি যেতে হয়েছিল চিকিৎসকদের ছুরি-কাঁচির নিচে। চিকিৎসা নিচ্ছেন এখনো। অপারেশন আর শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে জান্নাতুল জানান, এমন কথাও তাঁকে শুনতে হয়েছে, বাংলাদেশে তো নারী প্লাস্টিক সার্জন নেই। তুমি তাহলে পুরুষ সার্জনদের কাছেই চিকিৎসা নাও। চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে শুরু করেন লেখাপড়া। বোনের মাধ্যমে পরিচিতদের মধ্যেই টিউশনি করাতে শুরু করেন। একসময় চাকরি শুরু করেন একটি এনজিওতে। কাজ করতে করতে বুঝতে পারেন, সেখানেও অসমতার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু জান্নাতুলের অধিকার আদায়ের লড়াই।
২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন জান্নাতুল। এরপর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে কাজের পাশাপাশি মাঝে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন শিক্ষায় এমএ করেন। আইন ও ফিল্ম মেকিং নিয়েও পড়ালেখা শেষ করেন তিনি। অধিকার আদায়ের যে কাজটা শুরু করেছিলেন, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদেই পড়েছেন বিভিন্ন বিষয়ে। ২০১৫ সাল থেকে পথচলা শুরু তাঁর ভয়েস অ্যান্ড ভিউজ নামের প্রতিষ্ঠানটির।
বিবিসির করা তালিকায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর মধ্যে একজন হয়েছেন আমাদের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। তাই জানতে চাইলাম, তাঁর কাছে ‘প্রভাবশালী’ শব্দটির অর্থ কী? জান্নাতুল জানান, ‘প্রভাবশালী’ মানে যার কাজ মানুষকে প্রভাবিত করবে। মানুষের কথা বলে। যার কাজ সমাজে প্রভাব তৈরি করে। জান্নাতুল নিজের কাজটা করে যেতে চান। সেটা ব্যাহত হোক— কোনোভাবেই তা চান না তিনি। নিজের কাজ দেশের জন্য তুলে রেখেছেন তিনি।
গল্পে গল্পে বেলা গড়িয়ে বিকেল। এবার ছুটি নিতে হয়। বোঝা যাচ্ছে, প্রভাবশালী ট্যাগটা জান্নাতুলকে কাজ করার উদ্দীপনা জুগিয়েছে বহুগুণে।
বাড্ডার এক গলিতে হাঁটতে হাঁটতে খুঁজছিলাম একজন নারীর বাড়ির রাস্তা। আমাকে তিনি মোবাইল ফোনে নানান উপায়ে রাস্তা চেনাতে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ নিজেই নেমে এলেন বাড়ির নিচে। তারপর লিফট দিয়ে দোতলায় উঠে বইয়ের তাক আর ফ্রেম করা ছবিতে ভর্তি ড্রয়িংরুমে বসালেন। সোফায় বসে বিনা অনুমতিতেই বই ওলটাতে থাকলাম। একটু পরেই ফিরে এলেন তিনি। বোঝা যাচ্ছে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে পড়লেন আমার সামনের সোফায়। হাতে থাকা মগ আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘তাহলে শুরু করি।’ এভাবেই জান্নাতুল ফেরদৌস আইভির সঙ্গে কথাবার্তার শুরু। ২১ নভেম্বরের পর দেশের শুধু নয়, পৃথিবীর অনেকেই জেনে গেছেন তাঁর কথা।
জান্নাতুল একজন মানবাধিকারকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক। কিন্তু তিনি কী হতে চেয়েছিলেন? প্রশ্ন শুনে জান্নাতুল হেসে ফেললেন। বললেন, ‘আমি কিন্তু ইন্টারমিডিয়েটে ফেল করেছিলাম। পরেরবার পাস করতে পারলেও ভালো নম্বর পাইনি। এ জন্য বুয়েটে আর্কিটেকচারে পড়া হয়নি। আর্কিটেক্ট হতে চেয়েও পারিনি।’ একটা ক্রেস্ট হাতে নিয়ে বললেন, ‘মজার বিষয় হলো, নারীদের অধিকার নিয়ে একটা শর্টফিল্মের জন্য বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের একটা গ্রুপ আমাকে একবার সম্মানিত করেছিল।
ওই দিন ক্রেস্টটা হাতে নিয়ে বলেছিলাম, একদিন আমি এখানেই পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু পড়া হয়নি। আজ আপনারা আমাকে সম্মানিত করছেন, এটা গর্বের।’
কিন্তু জান্নাতুল কাজ করছেন বিভিন্নভাবে পুড়ে যাওয়া মানুষদের অধিকারবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে। জানালেন, নিজের তৈরি সংগঠন ভয়েস অ্যান্ড ভিউজ নিয়ে তিনি তিনটি জেলায় ক্যাম্পেইন করতে পেরেছেন এ পর্যন্ত। বললেন, ‘আমি চাই এই সচেতনতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।’ পুড়ে গিয়ে বেঁচে আসা মানুষগুলোর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে নিজেদের অধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
১৯৯৭ সালে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন জান্নাতুল। রান্নাঘরে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, এই পরিমাণ পুড়ে যাওয়া রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সারিয়ে তুলতে থাকেন জান্নাতুলকে। ৫২ দিন হাসপাতালে থেকে লড়াই করে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। এরপর শুরু হয় অন্য এক লড়াই।
আমার সামনে বসে জান্নাতুল কিছুটা আনমনা হয়ে যান। বলেন, ‘বলতে শুনেছি, ওর বেঁচে থেকে কী লাভ! আবার মসজিদে আমার সুস্থতার জন্য দোয়া হতেও দেখেছি।’ নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারকে দেখেছেন তাঁর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে।
কখনো তাঁর মামা রাতের পর রাত থেকেছেন হাসপাতালে, কখনো নানা বিক্রি করে দিতে চেয়েছেন তাঁর শেষ সম্বল বাড়িটা। যেই বাবা-মাকে কখনো ঝগড়া করতে দেখেননি, তাঁদেরও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে দেখেছেন। জানতে চাইলাম, এখন, এই সময়ে এসে বাবাকে মিস করেন? হাতের একটা আংটি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা আমার বাবার। বাবা মারা যাওয়ার পর কিছুদিন আগে মা আমাকে আংটিটা দিয়েছেন।’ জান্নাতুলের চোখ বলে দিচ্ছিল, বাবাকে তিনি কতটা ভালোবাসেন। নিজের সেই পরিস্থিতিতে পরিবারকে পুরোপুরিভাবে পাশে পেয়েছেন তিনি। শেষ করেছেন লেখাপড়া। কখনো এঁকেছেন, লিখেছেন, সিনেমা বানিয়েছেন! এখন শিখছেন বাঁশি বাজানো। ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়ে পাহাড়ে।
একটা সময় এই দুর্ঘটনার জন্য লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় জান্নাতুলের। প্লাস্টিক সার্জারি করাতে পঞ্চাশবারের বেশি যেতে হয়েছিল চিকিৎসকদের ছুরি-কাঁচির নিচে। চিকিৎসা নিচ্ছেন এখনো। অপারেশন আর শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে জান্নাতুল জানান, এমন কথাও তাঁকে শুনতে হয়েছে, বাংলাদেশে তো নারী প্লাস্টিক সার্জন নেই। তুমি তাহলে পুরুষ সার্জনদের কাছেই চিকিৎসা নাও। চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে শুরু করেন লেখাপড়া। বোনের মাধ্যমে পরিচিতদের মধ্যেই টিউশনি করাতে শুরু করেন। একসময় চাকরি শুরু করেন একটি এনজিওতে। কাজ করতে করতে বুঝতে পারেন, সেখানেও অসমতার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু জান্নাতুলের অধিকার আদায়ের লড়াই।
২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন জান্নাতুল। এরপর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে কাজের পাশাপাশি মাঝে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন শিক্ষায় এমএ করেন। আইন ও ফিল্ম মেকিং নিয়েও পড়ালেখা শেষ করেন তিনি। অধিকার আদায়ের যে কাজটা শুরু করেছিলেন, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদেই পড়েছেন বিভিন্ন বিষয়ে। ২০১৫ সাল থেকে পথচলা শুরু তাঁর ভয়েস অ্যান্ড ভিউজ নামের প্রতিষ্ঠানটির।
বিবিসির করা তালিকায় বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর মধ্যে একজন হয়েছেন আমাদের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। তাই জানতে চাইলাম, তাঁর কাছে ‘প্রভাবশালী’ শব্দটির অর্থ কী? জান্নাতুল জানান, ‘প্রভাবশালী’ মানে যার কাজ মানুষকে প্রভাবিত করবে। মানুষের কথা বলে। যার কাজ সমাজে প্রভাব তৈরি করে। জান্নাতুল নিজের কাজটা করে যেতে চান। সেটা ব্যাহত হোক— কোনোভাবেই তা চান না তিনি। নিজের কাজ দেশের জন্য তুলে রেখেছেন তিনি।
গল্পে গল্পে বেলা গড়িয়ে বিকেল। এবার ছুটি নিতে হয়। বোঝা যাচ্ছে, প্রভাবশালী ট্যাগটা জান্নাতুলকে কাজ করার উদ্দীপনা জুগিয়েছে বহুগুণে।
চীন, রাশিয়া কিংবা ইউরোপের গণপরিবহনে পাঠকদের প্রায়ই মগ্ন দেখা যায়। জার্মানিতে রাস্তাঘাট ও পার্কে আছে ছোট ছোট লাইব্রেরি। সেখান থেকে যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারেন। জার্মানির এমন দৃশ্যের মনোজ্ঞ বর্ণনা নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন বাংলাদেশি যুবক মানো বিশ্বাস।
১ দিন আগেআমার এক কাজিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। একদিন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক লোক তাঁকে ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তারপর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ওই মেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এখন কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন...
১ দিন আগেগ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সাজেদার মৎস্য চাষ প্রকল্প। ২০২২ সালে ২০ শতাংশের পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে বর্গা নিয়ে আরও ৮০ শতাংশ জমির প্রকল্পে যুক্ত করেছেন। সাজেদার সঙ্গে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি—সবার শ্রমে তৈরি হয় এক একর আয়তনের প্রকল্প পুকুর। সেই পুকুরে মাছ...
১ দিন আগেপৃথিবীতে নারীদের এখনো পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয়। তবে নিজের দেশ ও জাতীয় সত্তা এগিয়ে নিয়ে যেতে যুগে যুগে নারীরা নিয়েছিল বিভিন্ন পদক্ষেপ। তাতে শুধু নারীরাই নয়, পুরো দেশ হয়েছে আলোকিত।
১ দিন আগে