আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সম্প্রতি মারা গেছেন। বাবা বেঁচে থাকা অবস্থায় আমাদের দেশের বাড়িতে দাদার জমির ওপরে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িটিতে উঠতে চাইছেন। জমি আমার দাদার নামে হওয়ায় কোনো কাগজপত্র আমাদের নামে নেই। কিন্তু বাড়ি পুরোটাই আমার বাবা বানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমি আর আমার ভাই (বয়স ২৮) কি বাড়ির কোনো কাগজ তৈরি করতে পারব?
মারফি তাসনিম, সিলেট
উত্তর: অবশ্যই পারবেন, তবে তার জন্য আপনাকে পরিবারের সঙ্গে একটি মীমাংসা করতে হবে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। আপনার প্রশ্ন থেকে এ কথা স্পষ্ট নয় যে, আপনার বাবা আপনার দাদার পুরো জমির ওপর বাড়িটি তৈরি করেছেন, নাকি একটি অংশে তৈরি করেছেন। যদি আপনার বাবা আপনার দাদার পুরো জমির ওপর বাড়ি তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনার দাদার বাকি ওয়ারিশরাও কিন্তু ওই জমির ভাগীদার। আপনার বাবা যে বাড়িটি বানিয়েছেন, তার ব্যয়ভার যে পুরোটাই তিনি বহন করেছেন, তা প্রমাণ করতে হবে। সেটি করতে পারলে আপনার দাদার বাকি ওয়ারিশদের ওই বাড়ি ভোগ করার ক্ষেত্রে বাড়ি নির্মাণের খরচ আপনার বাবাকে বা তাঁর অবর্তমানে আপনাদের দিতে হবে। আর বাকি ওয়ারিশরা যদি বাড়ি ভোগ করতে না চান, তাহলে আপনাদের তাঁদের অংশ কিনে নিতে হবে।
আপনার বাবা যদি আপনার দাদার জমির পুরোটাতে বাড়ি নির্মাণ করে না থাকেন, সে ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের মধ্যে জমি ভাগ করে যদি দেখা যায় যে আপনার বাবা যতটুকু অংশ পাবেন তার ওপর তিনি বাড়ি তৈরি করেছিলেন, তাহলে সেটা আপনাদেরই হবে। কিন্তু যেহেতু জমি ভাগ করার আগেই বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে, তাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের আপস বণ্টননামা করতে হবে। আপসে যদি বণ্টন করা না যায়, তাহলে বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। আদালতে আপনাদের একটি পার্টিশন স্যুট করতে হবে এবং আপনার বাবা যে এই বাড়ি তৈরি করেছেন, সেই প্রমাণ দেখালে বিজ্ঞ আদালত আপনাদের নামে আইন অনুযায়ী আপনার বাবার প্রাপ্য অংশ অর্থাৎ জমি ও বাড়িটি বুঝিয়ে দেবেন। আপনার দাদার অন্য ওয়ারিশদের আপনারা মূল্য পরিশোধ করবেন নাকি আপনাদের তারা মূল্য পরিশোধ করবেন, সেই রায়ও আপনারা বিজ্ঞ আদালত থেকেই পাবেন। তবে এ ধরনের মামলায় অনেক দীর্ঘসূত্রতা থাকে বলে আদালতের বাইরে সব পক্ষের আপস বণ্টননামা করে নেওয়াই শ্রেয়।
আরেকটি বিষয় আপনি বলেছেন, তা হলো আপনার দাদার নামে এখনো সম্পত্তি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের ওয়ারিশনামা বের করতে হবে। আপনাদের বাবার অবর্তমানে আপনার বাবার যারা ওয়ারিশ তাদের নাম আপনাদের দাদার ওয়ারিশনামায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ওয়ারিশানামা পেলে সেই অনুযায়ী আপনাদের সংশ্লিষ্ট জমির নামজারি ও খাজনার কাজটিও সম্পূর্ণ করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সম্প্রতি মারা গেছেন। বাবা বেঁচে থাকা অবস্থায় আমাদের দেশের বাড়িতে দাদার জমির ওপরে একটা বাড়ি করেছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িটিতে উঠতে চাইছেন। জমি আমার দাদার নামে হওয়ায় কোনো কাগজপত্র আমাদের নামে নেই। কিন্তু বাড়ি পুরোটাই আমার বাবা বানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমি আর আমার ভাই (বয়স ২৮) কি বাড়ির কোনো কাগজ তৈরি করতে পারব?
মারফি তাসনিম, সিলেট
উত্তর: অবশ্যই পারবেন, তবে তার জন্য আপনাকে পরিবারের সঙ্গে একটি মীমাংসা করতে হবে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। আপনার প্রশ্ন থেকে এ কথা স্পষ্ট নয় যে, আপনার বাবা আপনার দাদার পুরো জমির ওপর বাড়িটি তৈরি করেছেন, নাকি একটি অংশে তৈরি করেছেন। যদি আপনার বাবা আপনার দাদার পুরো জমির ওপর বাড়ি তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনার দাদার বাকি ওয়ারিশরাও কিন্তু ওই জমির ভাগীদার। আপনার বাবা যে বাড়িটি বানিয়েছেন, তার ব্যয়ভার যে পুরোটাই তিনি বহন করেছেন, তা প্রমাণ করতে হবে। সেটি করতে পারলে আপনার দাদার বাকি ওয়ারিশদের ওই বাড়ি ভোগ করার ক্ষেত্রে বাড়ি নির্মাণের খরচ আপনার বাবাকে বা তাঁর অবর্তমানে আপনাদের দিতে হবে। আর বাকি ওয়ারিশরা যদি বাড়ি ভোগ করতে না চান, তাহলে আপনাদের তাঁদের অংশ কিনে নিতে হবে।
আপনার বাবা যদি আপনার দাদার জমির পুরোটাতে বাড়ি নির্মাণ করে না থাকেন, সে ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের মধ্যে জমি ভাগ করে যদি দেখা যায় যে আপনার বাবা যতটুকু অংশ পাবেন তার ওপর তিনি বাড়ি তৈরি করেছিলেন, তাহলে সেটা আপনাদেরই হবে। কিন্তু যেহেতু জমি ভাগ করার আগেই বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে, তাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের আপস বণ্টননামা করতে হবে। আপসে যদি বণ্টন করা না যায়, তাহলে বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। আদালতে আপনাদের একটি পার্টিশন স্যুট করতে হবে এবং আপনার বাবা যে এই বাড়ি তৈরি করেছেন, সেই প্রমাণ দেখালে বিজ্ঞ আদালত আপনাদের নামে আইন অনুযায়ী আপনার বাবার প্রাপ্য অংশ অর্থাৎ জমি ও বাড়িটি বুঝিয়ে দেবেন। আপনার দাদার অন্য ওয়ারিশদের আপনারা মূল্য পরিশোধ করবেন নাকি আপনাদের তারা মূল্য পরিশোধ করবেন, সেই রায়ও আপনারা বিজ্ঞ আদালত থেকেই পাবেন। তবে এ ধরনের মামলায় অনেক দীর্ঘসূত্রতা থাকে বলে আদালতের বাইরে সব পক্ষের আপস বণ্টননামা করে নেওয়াই শ্রেয়।
আরেকটি বিষয় আপনি বলেছেন, তা হলো আপনার দাদার নামে এখনো সম্পত্তি রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের ওয়ারিশনামা বের করতে হবে। আপনাদের বাবার অবর্তমানে আপনার বাবার যারা ওয়ারিশ তাদের নাম আপনাদের দাদার ওয়ারিশনামায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ওয়ারিশানামা পেলে সেই অনুযায়ী আপনাদের সংশ্লিষ্ট জমির নামজারি ও খাজনার কাজটিও সম্পূর্ণ করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
৪ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
৪ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
৪ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
৪ দিন আগে