
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। সব উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও বহু পুরোনো। তবে লাভের মুখ এখনো দেখেনি বিমান।
গত এক যুগে আকাশপথে পরিবহনের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আকাশপথে বছরে চলাচলকারী যাত্রীসংখ্যা ছিল ২০ লাখের নিচে। কিন্তু ২০১০ সালের পর মাত্র এক দশকে সেই সংখ্যা একলাফে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮০ লাখে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার জন্য বাড়তি রুট ও ফ্লাইট দরকার হবে। বর্ধিত চাহিদা পূরণে ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুট চালু করতে চায় বিমান। দেড় দশক পর ইতালিতে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। এর মধ্যে দেড় যুগ আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও আবার ফ্লাইট চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
এজন্য বিমান নতুন এয়ারক্রাফট কিনবে। এখন বিমানের বহরে এয়ারবাসের কোনো উড়োজাহাজ নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ামোস এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া এয়ারবাসের এ৩৩০-২০০ উড়োজাহাজ চলত। সেটা ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেরত দেওয়া হয়।
বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িংয়ের তৈরি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করে। বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সেই সুযোগ নিয়ে এয়ারবাস বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী বছরে এই আলোচনা বেশ জোরেশোরেই চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এয়ারবাস কেনার আশ্বাস দেয় সরকার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এয়ারবাস কেনার চুক্তির আশ্বাস দিলেও বোয়িং কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে বিমান।

বিমান কি বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে?
চলতি বছরের শুরুতে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত হলেও বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাবও বিবেচনায় রেখেছে বিমান। উভয় নির্মাতাই জোর উদ্যোগে উড়োজাহাজ বিক্রির অর্ডার পেতে জোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি টেবিলে প্রলোভনের নানা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেছেন, উভয়ের (বোয়িং ও এয়ারবাস) প্রস্তাব বিমানের বিবেচনায় আছে। এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে লাভজনক হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এয়ারক্রাফটের সুবিধাজনক দাম, বাড়তি সহায়তা ও সুবিধা বিবেচনা করবে বিমান।
বিমান বলছে, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নতুন রুট চালুর লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরগুলোতে বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী। মহামারির পর ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াইড-বডি এয়ারক্রাফট বাড়াতে চায় বিমান। ৫১ বছর বয়সী বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা সব উড়োজাহাজ বোয়িং কোম্পানির। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ওয়াইড-বডি এয়ারক্র্যাফট, কিছু আছে ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রোস।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ দুটি এ৩৫০এফ উড়োজাহাজসহ ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় উড়োজাহাজ কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
সদ্য সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও এয়ারবাস কেনার বিষয়ে বেশ জোর দিয়েই বলে আসছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে দুটি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হতে পারে। কয়েক ধাপে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে; কারিগরি কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব উড়োজাহাজ নতুন এবং পুরোনো রুটে চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের উড়োজাহাজ আছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজও নেই।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন করে আরও বোয়িং বিক্রির চেষ্টা করছে। গত বছরের শেষ দিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দেন। তখন তিনি বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে তার পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের সময় তদ্বিরের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে আবার সরাসরি ফ্লাইট চালুর যে চেষ্টা করছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট না হলে তা সম্ভব নয়। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তরের অনুমোদন এবং এর আগে দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পেতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচলসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড পূরণ না হলে ওই ছাড়পত্র পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সোচ্চার ছিল। ভোটের কয়েক মাস আগে দেশটি ভিসা নীতি আরোপ করে। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়। তবে এর আওতায় কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এই কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুর বেশ নরম হয়েছে।
এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ মনে করছেন, বাইরে সরকারের তীব্র সমালোচনা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হয়তো কোনো সমঝোতা হয়েছে। সেটা যা-ই হোক, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক উন্নত করার একটা সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে বোয়িংকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে এয়ারবাসের কাছে না-ও ভিড়তে পারে সরকার। তা ছাড়া বোয়িংয়ের আরও কিছু সুবিধা আছে।
বোয়িং বনাম এয়ারবাস: কার কী প্রস্তাব
এখন বিমানের বহরে চারটি ৭৮৭-৮ ও দুটি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যেই আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে বোয়িং আরও একটি ৭৮৭ কার্গোবাহী ড্রিমলাইনার বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। এখন বিমানের কোনো কার্গোবাহী উড়োজাহাজ নেই। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে এবং দখল বাড়াতে বিমানের পণ্যবাহী উড়োজাহাজও লাগবে।
এ ছাড়া বোয়িং-নির্ভর বহরের উচ্চ সাশ্রয় সক্ষমতার কথা তুলে ধরে বিমানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন কোম্পানিটি। বোয়িং বলছে, এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিনলে বিমানকে নতুন প্রযুক্তিগত দল, পাইলট ও সিমুলেটরের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। এর ফলে বিমানের পরিচালন খরচ বাড়বে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারবাস। এয়ারবাস পরিচালনায় সক্ষম জনবল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএউ) সঙ্গে এরই মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। শিক্ষাক্রম, উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম সাজাতে সহায়তা করবে এয়ারবাস। লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এয়ারবাসের প্রশিক্ষকদের দিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাইলট ও প্রকৌশলীদের ক্লাসরুম প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায়ও সহায়তার পরিকল্পনা আছে তাদের।
গত বছর মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন সামিটে বিমানের সঙ্গে দেনদরবার করেছে এয়ারবাস। এমনকি বিমানকে রাজি করাতে একটি উড়োজাহাজ প্রদর্শনীর জন্য এনে দেখানোও হয়। এর পরে বিমানকে এয়ারবাস কেনায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণসহায়তা দিতে যুক্তরাজ্যের ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিমের সঙ্গে বিশেষ চুক্তিও হয়।
তবে বাংলাদেশে নির্বাচন এবং বোয়িং ও মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেনদরবারের মধ্যে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে বিমানের নতুন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে আপাতত যে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে না, তা সরকার এরই মধ্যে ফ্রান্সকে জানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উপযোগী হলেই কেবল ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে (ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে)। এটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইকোনমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।’
যখনই হোক না কেন, আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বিমানকে লাভজনক করতে হলে আরও উড়োজাহাজ কিনতেই হবে। এখন বিমান বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে নাকি এয়ারবাসকেও সঙ্গে নেবে। শেষ হাসি হাসবে কে—এয়ারবাস না বোয়িং, নাকি উভয়ে—তাই দেখার অপেক্ষা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। সব উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও বহু পুরোনো। তবে লাভের মুখ এখনো দেখেনি বিমান।
গত এক যুগে আকাশপথে পরিবহনের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আকাশপথে বছরে চলাচলকারী যাত্রীসংখ্যা ছিল ২০ লাখের নিচে। কিন্তু ২০১০ সালের পর মাত্র এক দশকে সেই সংখ্যা একলাফে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮০ লাখে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার জন্য বাড়তি রুট ও ফ্লাইট দরকার হবে। বর্ধিত চাহিদা পূরণে ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুট চালু করতে চায় বিমান। দেড় দশক পর ইতালিতে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। এর মধ্যে দেড় যুগ আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও আবার ফ্লাইট চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
এজন্য বিমান নতুন এয়ারক্রাফট কিনবে। এখন বিমানের বহরে এয়ারবাসের কোনো উড়োজাহাজ নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ামোস এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া এয়ারবাসের এ৩৩০-২০০ উড়োজাহাজ চলত। সেটা ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেরত দেওয়া হয়।
বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িংয়ের তৈরি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করে। বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সেই সুযোগ নিয়ে এয়ারবাস বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী বছরে এই আলোচনা বেশ জোরেশোরেই চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এয়ারবাস কেনার আশ্বাস দেয় সরকার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এয়ারবাস কেনার চুক্তির আশ্বাস দিলেও বোয়িং কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে বিমান।

বিমান কি বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে?
চলতি বছরের শুরুতে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত হলেও বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাবও বিবেচনায় রেখেছে বিমান। উভয় নির্মাতাই জোর উদ্যোগে উড়োজাহাজ বিক্রির অর্ডার পেতে জোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি টেবিলে প্রলোভনের নানা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেছেন, উভয়ের (বোয়িং ও এয়ারবাস) প্রস্তাব বিমানের বিবেচনায় আছে। এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে লাভজনক হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এয়ারক্রাফটের সুবিধাজনক দাম, বাড়তি সহায়তা ও সুবিধা বিবেচনা করবে বিমান।
বিমান বলছে, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নতুন রুট চালুর লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরগুলোতে বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী। মহামারির পর ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াইড-বডি এয়ারক্রাফট বাড়াতে চায় বিমান। ৫১ বছর বয়সী বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা সব উড়োজাহাজ বোয়িং কোম্পানির। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ওয়াইড-বডি এয়ারক্র্যাফট, কিছু আছে ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রোস।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ দুটি এ৩৫০এফ উড়োজাহাজসহ ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় উড়োজাহাজ কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
সদ্য সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও এয়ারবাস কেনার বিষয়ে বেশ জোর দিয়েই বলে আসছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে দুটি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হতে পারে। কয়েক ধাপে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে; কারিগরি কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব উড়োজাহাজ নতুন এবং পুরোনো রুটে চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের উড়োজাহাজ আছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজও নেই।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন করে আরও বোয়িং বিক্রির চেষ্টা করছে। গত বছরের শেষ দিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দেন। তখন তিনি বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে তার পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের সময় তদ্বিরের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে আবার সরাসরি ফ্লাইট চালুর যে চেষ্টা করছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট না হলে তা সম্ভব নয়। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তরের অনুমোদন এবং এর আগে দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পেতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচলসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড পূরণ না হলে ওই ছাড়পত্র পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সোচ্চার ছিল। ভোটের কয়েক মাস আগে দেশটি ভিসা নীতি আরোপ করে। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়। তবে এর আওতায় কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এই কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুর বেশ নরম হয়েছে।
এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ মনে করছেন, বাইরে সরকারের তীব্র সমালোচনা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হয়তো কোনো সমঝোতা হয়েছে। সেটা যা-ই হোক, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক উন্নত করার একটা সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে বোয়িংকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে এয়ারবাসের কাছে না-ও ভিড়তে পারে সরকার। তা ছাড়া বোয়িংয়ের আরও কিছু সুবিধা আছে।
বোয়িং বনাম এয়ারবাস: কার কী প্রস্তাব
এখন বিমানের বহরে চারটি ৭৮৭-৮ ও দুটি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যেই আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে বোয়িং আরও একটি ৭৮৭ কার্গোবাহী ড্রিমলাইনার বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। এখন বিমানের কোনো কার্গোবাহী উড়োজাহাজ নেই। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে এবং দখল বাড়াতে বিমানের পণ্যবাহী উড়োজাহাজও লাগবে।
এ ছাড়া বোয়িং-নির্ভর বহরের উচ্চ সাশ্রয় সক্ষমতার কথা তুলে ধরে বিমানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন কোম্পানিটি। বোয়িং বলছে, এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিনলে বিমানকে নতুন প্রযুক্তিগত দল, পাইলট ও সিমুলেটরের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। এর ফলে বিমানের পরিচালন খরচ বাড়বে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারবাস। এয়ারবাস পরিচালনায় সক্ষম জনবল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএউ) সঙ্গে এরই মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। শিক্ষাক্রম, উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম সাজাতে সহায়তা করবে এয়ারবাস। লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এয়ারবাসের প্রশিক্ষকদের দিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাইলট ও প্রকৌশলীদের ক্লাসরুম প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায়ও সহায়তার পরিকল্পনা আছে তাদের।
গত বছর মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন সামিটে বিমানের সঙ্গে দেনদরবার করেছে এয়ারবাস। এমনকি বিমানকে রাজি করাতে একটি উড়োজাহাজ প্রদর্শনীর জন্য এনে দেখানোও হয়। এর পরে বিমানকে এয়ারবাস কেনায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণসহায়তা দিতে যুক্তরাজ্যের ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিমের সঙ্গে বিশেষ চুক্তিও হয়।
তবে বাংলাদেশে নির্বাচন এবং বোয়িং ও মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেনদরবারের মধ্যে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে বিমানের নতুন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে আপাতত যে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে না, তা সরকার এরই মধ্যে ফ্রান্সকে জানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উপযোগী হলেই কেবল ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে (ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে)। এটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইকোনমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।’
যখনই হোক না কেন, আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বিমানকে লাভজনক করতে হলে আরও উড়োজাহাজ কিনতেই হবে। এখন বিমান বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে নাকি এয়ারবাসকেও সঙ্গে নেবে। শেষ হাসি হাসবে কে—এয়ারবাস না বোয়িং, নাকি উভয়ে—তাই দেখার অপেক্ষা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। সব উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও বহু পুরোনো। তবে লাভের মুখ এখনো দেখেনি বিমান।
গত এক যুগে আকাশপথে পরিবহনের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আকাশপথে বছরে চলাচলকারী যাত্রীসংখ্যা ছিল ২০ লাখের নিচে। কিন্তু ২০১০ সালের পর মাত্র এক দশকে সেই সংখ্যা একলাফে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮০ লাখে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার জন্য বাড়তি রুট ও ফ্লাইট দরকার হবে। বর্ধিত চাহিদা পূরণে ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুট চালু করতে চায় বিমান। দেড় দশক পর ইতালিতে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। এর মধ্যে দেড় যুগ আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও আবার ফ্লাইট চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
এজন্য বিমান নতুন এয়ারক্রাফট কিনবে। এখন বিমানের বহরে এয়ারবাসের কোনো উড়োজাহাজ নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ামোস এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া এয়ারবাসের এ৩৩০-২০০ উড়োজাহাজ চলত। সেটা ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেরত দেওয়া হয়।
বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িংয়ের তৈরি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করে। বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সেই সুযোগ নিয়ে এয়ারবাস বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী বছরে এই আলোচনা বেশ জোরেশোরেই চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এয়ারবাস কেনার আশ্বাস দেয় সরকার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এয়ারবাস কেনার চুক্তির আশ্বাস দিলেও বোয়িং কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে বিমান।

বিমান কি বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে?
চলতি বছরের শুরুতে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত হলেও বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাবও বিবেচনায় রেখেছে বিমান। উভয় নির্মাতাই জোর উদ্যোগে উড়োজাহাজ বিক্রির অর্ডার পেতে জোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি টেবিলে প্রলোভনের নানা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেছেন, উভয়ের (বোয়িং ও এয়ারবাস) প্রস্তাব বিমানের বিবেচনায় আছে। এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে লাভজনক হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এয়ারক্রাফটের সুবিধাজনক দাম, বাড়তি সহায়তা ও সুবিধা বিবেচনা করবে বিমান।
বিমান বলছে, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নতুন রুট চালুর লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরগুলোতে বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী। মহামারির পর ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াইড-বডি এয়ারক্রাফট বাড়াতে চায় বিমান। ৫১ বছর বয়সী বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা সব উড়োজাহাজ বোয়িং কোম্পানির। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ওয়াইড-বডি এয়ারক্র্যাফট, কিছু আছে ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রোস।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ দুটি এ৩৫০এফ উড়োজাহাজসহ ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় উড়োজাহাজ কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
সদ্য সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও এয়ারবাস কেনার বিষয়ে বেশ জোর দিয়েই বলে আসছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে দুটি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হতে পারে। কয়েক ধাপে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে; কারিগরি কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব উড়োজাহাজ নতুন এবং পুরোনো রুটে চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের উড়োজাহাজ আছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজও নেই।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন করে আরও বোয়িং বিক্রির চেষ্টা করছে। গত বছরের শেষ দিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দেন। তখন তিনি বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে তার পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের সময় তদ্বিরের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে আবার সরাসরি ফ্লাইট চালুর যে চেষ্টা করছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট না হলে তা সম্ভব নয়। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তরের অনুমোদন এবং এর আগে দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পেতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচলসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড পূরণ না হলে ওই ছাড়পত্র পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সোচ্চার ছিল। ভোটের কয়েক মাস আগে দেশটি ভিসা নীতি আরোপ করে। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়। তবে এর আওতায় কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এই কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুর বেশ নরম হয়েছে।
এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ মনে করছেন, বাইরে সরকারের তীব্র সমালোচনা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হয়তো কোনো সমঝোতা হয়েছে। সেটা যা-ই হোক, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক উন্নত করার একটা সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে বোয়িংকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে এয়ারবাসের কাছে না-ও ভিড়তে পারে সরকার। তা ছাড়া বোয়িংয়ের আরও কিছু সুবিধা আছে।
বোয়িং বনাম এয়ারবাস: কার কী প্রস্তাব
এখন বিমানের বহরে চারটি ৭৮৭-৮ ও দুটি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যেই আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে বোয়িং আরও একটি ৭৮৭ কার্গোবাহী ড্রিমলাইনার বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। এখন বিমানের কোনো কার্গোবাহী উড়োজাহাজ নেই। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে এবং দখল বাড়াতে বিমানের পণ্যবাহী উড়োজাহাজও লাগবে।
এ ছাড়া বোয়িং-নির্ভর বহরের উচ্চ সাশ্রয় সক্ষমতার কথা তুলে ধরে বিমানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন কোম্পানিটি। বোয়িং বলছে, এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিনলে বিমানকে নতুন প্রযুক্তিগত দল, পাইলট ও সিমুলেটরের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। এর ফলে বিমানের পরিচালন খরচ বাড়বে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারবাস। এয়ারবাস পরিচালনায় সক্ষম জনবল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএউ) সঙ্গে এরই মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। শিক্ষাক্রম, উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম সাজাতে সহায়তা করবে এয়ারবাস। লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এয়ারবাসের প্রশিক্ষকদের দিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাইলট ও প্রকৌশলীদের ক্লাসরুম প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায়ও সহায়তার পরিকল্পনা আছে তাদের।
গত বছর মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন সামিটে বিমানের সঙ্গে দেনদরবার করেছে এয়ারবাস। এমনকি বিমানকে রাজি করাতে একটি উড়োজাহাজ প্রদর্শনীর জন্য এনে দেখানোও হয়। এর পরে বিমানকে এয়ারবাস কেনায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণসহায়তা দিতে যুক্তরাজ্যের ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিমের সঙ্গে বিশেষ চুক্তিও হয়।
তবে বাংলাদেশে নির্বাচন এবং বোয়িং ও মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেনদরবারের মধ্যে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে বিমানের নতুন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে আপাতত যে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে না, তা সরকার এরই মধ্যে ফ্রান্সকে জানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উপযোগী হলেই কেবল ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে (ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে)। এটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইকোনমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।’
যখনই হোক না কেন, আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বিমানকে লাভজনক করতে হলে আরও উড়োজাহাজ কিনতেই হবে। এখন বিমান বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে নাকি এয়ারবাসকেও সঙ্গে নেবে। শেষ হাসি হাসবে কে—এয়ারবাস না বোয়িং, নাকি উভয়ে—তাই দেখার অপেক্ষা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। সব উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও বহু পুরোনো। তবে লাভের মুখ এখনো দেখেনি বিমান।
গত এক যুগে আকাশপথে পরিবহনের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আকাশপথে বছরে চলাচলকারী যাত্রীসংখ্যা ছিল ২০ লাখের নিচে। কিন্তু ২০১০ সালের পর মাত্র এক দশকে সেই সংখ্যা একলাফে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে ৮০ লাখে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার জন্য বাড়তি রুট ও ফ্লাইট দরকার হবে। বর্ধিত চাহিদা পূরণে ফ্লাইটসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুট চালু করতে চায় বিমান। দেড় দশক পর ইতালিতে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। এর মধ্যে দেড় যুগ আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটেও আবার ফ্লাইট চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
এজন্য বিমান নতুন এয়ারক্রাফট কিনবে। এখন বিমানের বহরে এয়ারবাসের কোনো উড়োজাহাজ নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ামোস এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া এয়ারবাসের এ৩৩০-২০০ উড়োজাহাজ চলত। সেটা ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেরত দেওয়া হয়।
বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজের সবই বোয়িংয়ের তৈরি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ১৬টি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করে। বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সেই সুযোগ নিয়ে এয়ারবাস বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সদ্য বিদায়ী বছরে এই আলোচনা বেশ জোরেশোরেই চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এয়ারবাস কেনার আশ্বাস দেয় সরকার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রও বোয়িং বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এয়ারবাস কেনার চুক্তির আশ্বাস দিলেও বোয়িং কেনার কথাও বিবেচনা করতে পারে বিমান।

বিমান কি বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে?
চলতি বছরের শুরুতে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত হলেও বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাবও বিবেচনায় রেখেছে বিমান। উভয় নির্মাতাই জোর উদ্যোগে উড়োজাহাজ বিক্রির অর্ডার পেতে জোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি টেবিলে প্রলোভনের নানা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেছেন, উভয়ের (বোয়িং ও এয়ারবাস) প্রস্তাব বিমানের বিবেচনায় আছে। এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। উড়োজাহাজ কেনার ক্ষেত্রে লাভজনক হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এয়ারক্রাফটের সুবিধাজনক দাম, বাড়তি সহায়তা ও সুবিধা বিবেচনা করবে বিমান।
বিমান বলছে, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে নতুন রুট চালুর লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরগুলোতে বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী। মহামারির পর ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওয়াইড-বডি এয়ারক্রাফট বাড়াতে চায় বিমান। ৫১ বছর বয়সী বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা সব উড়োজাহাজ বোয়িং কোম্পানির। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ওয়াইড-বডি এয়ারক্র্যাফট, কিছু আছে ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রোস।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ দুটি এ৩৫০এফ উড়োজাহাজসহ ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় উড়োজাহাজ কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
সদ্য সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও এয়ারবাস কেনার বিষয়ে বেশ জোর দিয়েই বলে আসছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে দুটি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হতে পারে। কয়েক ধাপে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে; কারিগরি কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব উড়োজাহাজ নতুন এবং পুরোনো রুটে চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের উড়োজাহাজ আছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজও নেই।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রও নতুন করে আরও বোয়িং বিক্রির চেষ্টা করছে। গত বছরের শেষ দিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দেন। তখন তিনি বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে তার পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের সময় তদ্বিরের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে আবার সরাসরি ফ্লাইট চালুর যে চেষ্টা করছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট না হলে তা সম্ভব নয়। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তরের অনুমোদন এবং এর আগে দেশটির ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) থেকে ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র পেতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচলসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ড পূরণ না হলে ওই ছাড়পত্র পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সোচ্চার ছিল। ভোটের কয়েক মাস আগে দেশটি ভিসা নীতি আরোপ করে। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়। তবে এর আওতায় কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এই কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুর বেশ নরম হয়েছে।
এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ মনে করছেন, বাইরে সরকারের তীব্র সমালোচনা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে হয়তো কোনো সমঝোতা হয়েছে। সেটা যা-ই হোক, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক উন্নত করার একটা সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে বোয়িংকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে এয়ারবাসের কাছে না-ও ভিড়তে পারে সরকার। তা ছাড়া বোয়িংয়ের আরও কিছু সুবিধা আছে।
বোয়িং বনাম এয়ারবাস: কার কী প্রস্তাব
এখন বিমানের বহরে চারটি ৭৮৭-৮ ও দুটি ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যেই আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে বোয়িং আরও একটি ৭৮৭ কার্গোবাহী ড্রিমলাইনার বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। এখন বিমানের কোনো কার্গোবাহী উড়োজাহাজ নেই। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে এবং দখল বাড়াতে বিমানের পণ্যবাহী উড়োজাহাজও লাগবে।
এ ছাড়া বোয়িং-নির্ভর বহরের উচ্চ সাশ্রয় সক্ষমতার কথা তুলে ধরে বিমানকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন কোম্পানিটি। বোয়িং বলছে, এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিনলে বিমানকে নতুন প্রযুক্তিগত দল, পাইলট ও সিমুলেটরের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে। এর ফলে বিমানের পরিচালন খরচ বাড়বে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এয়ারবাস। এয়ারবাস পরিচালনায় সক্ষম জনবল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএউ) সঙ্গে এরই মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। শিক্ষাক্রম, উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম সাজাতে সহায়তা করবে এয়ারবাস। লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এয়ারবাসের প্রশিক্ষকদের দিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাইলট ও প্রকৌশলীদের ক্লাসরুম প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায়ও সহায়তার পরিকল্পনা আছে তাদের।
গত বছর মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন সামিটে বিমানের সঙ্গে দেনদরবার করেছে এয়ারবাস। এমনকি বিমানকে রাজি করাতে একটি উড়োজাহাজ প্রদর্শনীর জন্য এনে দেখানোও হয়। এর পরে বিমানকে এয়ারবাস কেনায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণসহায়তা দিতে যুক্তরাজ্যের ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিমের সঙ্গে বিশেষ চুক্তিও হয়।
তবে বাংলাদেশে নির্বাচন এবং বোয়িং ও মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে দেনদরবারের মধ্যে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে বিমানের নতুন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে আপাতত যে এয়ারবাস কেনা হচ্ছে না, তা সরকার এরই মধ্যে ফ্রান্সকে জানিয়ে দিয়েছে। এর জন্য অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উপযোগী হলেই কেবল ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস কেনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে (ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে)। এটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইকোনমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।’
যখনই হোক না কেন, আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বিমানকে লাভজনক করতে হলে আরও উড়োজাহাজ কিনতেই হবে। এখন বিমান বোয়িংয়ের সঙ্গেই থাকবে নাকি এয়ারবাসকেও সঙ্গে নেবে। শেষ হাসি হাসবে কে—এয়ারবাস না বোয়িং, নাকি উভয়ে—তাই দেখার অপেক্ষা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করেও মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বিমান। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, সবগুলো উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। সেই বহরে একই ধরনের উড়োজাহাজের অন্তর্ভুক্তি যে ব্যয়সাশ্রয়ী হবে, তা বোঝানোর চেষ্টায় আছে বোয়িং। সে স
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন খাতে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞ আরেফিন রাফি আহমেদ জেসিআই বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁর নির্বাচনে সংগঠনের সদস্যদের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘ভিশন ২০২৬-এর মূল কথা হলো মন দিয়ে শোনা, সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং সততা ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে তরুণদের সমাজের সেবায় সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন খাতে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞ আরেফিন রাফি আহমেদ জেসিআই বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁর নির্বাচনে সংগঠনের সদস্যদের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘ভিশন ২০২৬-এর মূল কথা হলো মন দিয়ে শোনা, সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং সততা ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে তরুণদের সমাজের সেবায় সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করেও মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বিমান। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, সবগুলো উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। সেই বহরে একই ধরনের উড়োজাহাজের অন্তর্ভুক্তি যে ব্যয়সাশ্রয়ী হবে, তা বোঝানোর চেষ্টায় আছে বোয়িং। সে স
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিন দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানি অনুমোদন দিতে শুরু করে। ওই দিনই দীর্ঘ ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
প্রথমে দৈনিক মোট ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টন করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আমদানি শুরুর দিকে দাম অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে আবার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিতে কিছু কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। শনিবার থেকেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে এলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আশা করি।’
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন ২০০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। আগে ছিল ৫০টি করে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আবেদনের বিষয় আগের মতোই থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিন দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানি অনুমোদন দিতে শুরু করে। ওই দিনই দীর্ঘ ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
প্রথমে দৈনিক মোট ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টন করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আমদানি শুরুর দিকে দাম অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে আবার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিতে কিছু কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। শনিবার থেকেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে এলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আশা করি।’
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন ২০০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। আগে ছিল ৫০টি করে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আবেদনের বিষয় আগের মতোই থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন।

এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করেও মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বিমান। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, সবগুলো উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। সেই বহরে একই ধরনের উড়োজাহাজের অন্তর্ভুক্তি যে ব্যয়সাশ্রয়ী হবে, তা বোঝানোর চেষ্টায় আছে বোয়িং। সে স
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। যদিও বর্তমানে এখাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বাজার দ্রুত বাড়ছে। আগামী আট বছরে এখাতের বাজার ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। আগামী ২০৩৩ সালে স্বাস্থ্য খাতের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি: মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
রাজধানীর ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অপ্রতুল অবকাঠামো ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা, দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি, সেবা প্রাপ্তিতে উচ্চ ব্যয়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, বিদ্যমান নীতিমালার তদারকির অভাবের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি বলে জানান তারা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বেশ অর্জন রয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিতের করা যায়নি, এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নতন দেশগুলোর মতো নয়, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশের পক্ষে ইউনিভার্সেল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ওপর বেশি হারে জোর দিতে হবে।’
এ খাতের ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নের পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রতি বাৎসরিক ব্যয় ১ হাজার ৭০ টাকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রায় ৪৯ শতাংশ জনগণ গুণগত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, যদিও বর্তমানে এ খাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩৩ সালে তা ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসমাইল বারী আরও বলেন, স্বল্প বাজেট বরাদ্দ ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, শহর-গ্রামে স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য, সেবার মান ও আস্থার ঘাটতি, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট, ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়, অপ্রতুল অবকাঠামো এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার দুর্বলতা এ খাতের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তুলনামূলকভাবে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে রোগীদের একটি বড় অংশ অন্যান্য দেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে এ বাবদ প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘দেশে মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে এখনো কাঠামোগত ঘাটতি রয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্য সেবা মানের অসমতা, প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের ঘাটতি, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ফার্মেসির সম্প্রসারণ, রোগ নির্ণয়ে ভুল রিপোর্ট, ভুয়া ওষুধ ও তদারকি দুর্বলতা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা এবং সর্বোপরি আইন বাস্তবায়নে উদাসীনতা আমাদের জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং আস্থাকে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবহার না থাকার কারণে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭৪ শতাংশ ব্যক্তিকে নিজস্ব ব্যয়ে বহন করতে হয়। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে বড় ঝুঁকিতে পড়েন।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় গ্রিন লাইফ সেন্টারের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, যেহেতু দেশের বেশির ভাগ লোকই সরকারি খাতের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে, তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বোত্তম মান উন্নয়ন ও নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। এ খাতের সব স্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, দেশীয় স্বাস্থ্য খাতের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ খাতের আস্থা ফিরাতে সরকারি-বেসরকারি খাত ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে, পাশাপাশি এ খাতে পিপিপি মডেলের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা শিক্ষায় অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেন, যদিও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা প্রাপ্তি অসংখ্য বাংলাদেশি অন্যান্য দেশে সেবা নিয়ে থাকেন, তাই বিষয়টি নিয়ে সচেতনভাবে চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, স্বাস্থ্য খাতের আস্থা বাড়াতে সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে রোগীদের যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবিষয়ক নেতিবাচক সংবাদ পরিহার এবং সর্বোপরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার কারণে বাংলাদেশের ৯৭% ঔষধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে এবং ১৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার মানে হলো আমাদের উৎপাদিত ঔষধের ওপর আস্থা রয়েছে, তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ সালে হলেও গত ১৪ বছরেও তা যুগোপযোগী করা এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য খাতের কোনো সমন্বিত নীতিমালা নেই। তাই এ খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই নীতিমালার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের অর্থায়ন স্ট্র্যাটেজি একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।’
আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইসিডিডিআরবি হতে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ রোগী ডায়রিয়া সেবা নিচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য আইসিডিডিআরবির মডেলে অন্যান্য জায়গায় অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর হতে তার প্রতিষ্ঠানে ক্যানসার ডায়াগনস্টিক জেনেমিক্স নিয়ে কাজ করছে। ডেঙ্গি ভ্যাকসিন নিয়ে এরই মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এ রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। যদিও বর্তমানে এখাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বাজার দ্রুত বাড়ছে। আগামী আট বছরে এখাতের বাজার ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। আগামী ২০৩৩ সালে স্বাস্থ্য খাতের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি: মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
রাজধানীর ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অপ্রতুল অবকাঠামো ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা, দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি, সেবা প্রাপ্তিতে উচ্চ ব্যয়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, বিদ্যমান নীতিমালার তদারকির অভাবের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি বলে জানান তারা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বেশ অর্জন রয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিতের করা যায়নি, এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নতন দেশগুলোর মতো নয়, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশের পক্ষে ইউনিভার্সেল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ওপর বেশি হারে জোর দিতে হবে।’
এ খাতের ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নের পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রতি বাৎসরিক ব্যয় ১ হাজার ৭০ টাকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রায় ৪৯ শতাংশ জনগণ গুণগত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, যদিও বর্তমানে এ খাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩৩ সালে তা ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসমাইল বারী আরও বলেন, স্বল্প বাজেট বরাদ্দ ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, শহর-গ্রামে স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য, সেবার মান ও আস্থার ঘাটতি, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট, ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়, অপ্রতুল অবকাঠামো এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার দুর্বলতা এ খাতের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তুলনামূলকভাবে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে রোগীদের একটি বড় অংশ অন্যান্য দেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে এ বাবদ প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘দেশে মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে এখনো কাঠামোগত ঘাটতি রয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্য সেবা মানের অসমতা, প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের ঘাটতি, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ফার্মেসির সম্প্রসারণ, রোগ নির্ণয়ে ভুল রিপোর্ট, ভুয়া ওষুধ ও তদারকি দুর্বলতা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা এবং সর্বোপরি আইন বাস্তবায়নে উদাসীনতা আমাদের জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং আস্থাকে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবহার না থাকার কারণে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭৪ শতাংশ ব্যক্তিকে নিজস্ব ব্যয়ে বহন করতে হয়। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে বড় ঝুঁকিতে পড়েন।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় গ্রিন লাইফ সেন্টারের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, যেহেতু দেশের বেশির ভাগ লোকই সরকারি খাতের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে, তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বোত্তম মান উন্নয়ন ও নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। এ খাতের সব স্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, দেশীয় স্বাস্থ্য খাতের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ খাতের আস্থা ফিরাতে সরকারি-বেসরকারি খাত ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে, পাশাপাশি এ খাতে পিপিপি মডেলের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা শিক্ষায় অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেন, যদিও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা প্রাপ্তি অসংখ্য বাংলাদেশি অন্যান্য দেশে সেবা নিয়ে থাকেন, তাই বিষয়টি নিয়ে সচেতনভাবে চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, স্বাস্থ্য খাতের আস্থা বাড়াতে সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে রোগীদের যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবিষয়ক নেতিবাচক সংবাদ পরিহার এবং সর্বোপরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার কারণে বাংলাদেশের ৯৭% ঔষধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে এবং ১৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার মানে হলো আমাদের উৎপাদিত ঔষধের ওপর আস্থা রয়েছে, তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ সালে হলেও গত ১৪ বছরেও তা যুগোপযোগী করা এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য খাতের কোনো সমন্বিত নীতিমালা নেই। তাই এ খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই নীতিমালার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের অর্থায়ন স্ট্র্যাটেজি একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।’
আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইসিডিডিআরবি হতে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ রোগী ডায়রিয়া সেবা নিচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য আইসিডিডিআরবির মডেলে অন্যান্য জায়গায় অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর হতে তার প্রতিষ্ঠানে ক্যানসার ডায়াগনস্টিক জেনেমিক্স নিয়ে কাজ করছে। ডেঙ্গি ভ্যাকসিন নিয়ে এরই মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এ রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করেও মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বিমান। বিমানের বহরে বোয়িংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য, সবগুলো উড়োজাহাজই এই মার্কিন কোম্পানির তৈরি। সেই বহরে একই ধরনের উড়োজাহাজের অন্তর্ভুক্তি যে ব্যয়সাশ্রয়ী হবে, তা বোঝানোর চেষ্টায় আছে বোয়িং। সে স
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগে