Ajker Patrika

উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর শ্লথ প্রবৃদ্ধির ফাঁদে অর্থনীতি

ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৩৫
উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর শ্লথ প্রবৃদ্ধির ফাঁদে অর্থনীতি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সরকারি ভবনগুলোর সামনে প্রতিদিন বিকেলে মৌসুমি ফল বিক্রি করেন সুমন আহমেদ। তাঁর আয়ের প্রধান উৎস এটাই। জিনিসপত্রের দাম কত বাড়ল, সেই হিসাব তিনি না জানলেও বাজারে চাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। 

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই লক্ষ্য ছাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি এখন আকাশচুম্বী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো–বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশ। অর্থাৎ যে পণ্যটি গত বছরের জানুয়ারিতে ১০০ টাকায় কেনা যেত। এই তথ্য যখন তার কাছে তুলে ধরা হল, হতাশ সুমন মুখ ফিরিয়ে অন্যদিকে চলে গেল। জিনিসপত্রের লাগামহীন দামে চাপে পিষ্ট হকার সুমনের মত অসংখ্য মানুষের হতাশা দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। 

মূল্যস্ফীতি কমিয়ে রাখার কোনো কৌশলই ঠিকমত কাজ করছে না। বিবিএসের তথ্য–উপাত্ত বলছে, গত আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কখনই ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। জানুয়ারিতে তা ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

এদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও তেমন একটা অগ্রগতি নেই। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর চূড়ান্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। করোনাকালীন মন্দার সময় বাদ দিলে গত ১৩ বছরের মধ্যে এ অর্জন সবচেয়ে কম। যদিও সরকার বলেছিল, এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার হবে সাড়ে ৭ শতাংশ। 

ফলে দেখা যাচ্ছে, জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সরকারি–বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতির আকার বাড়ানো– প্রধান দুটি লক্ষ্যের কোনোটিই অর্জন করতে পারেনি সরকার। অর্থবছরের সময়ও চলে গেছে অনেকটা।

মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদের বৃদ্ধির প্রভাব কী
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়িয়ে টাকার প্রবাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাস, এতে মানুষের হাতে নগদ টাকা কমে যাবে। ফলে, তারা খরচ কমিয়ে দেবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। কিন্তু গত এক মাসে মূল্যস্ফীতি উল্টো বেড়েছে। রমজান মাস সামনে রেখে চাল, তেল, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমিয়েছে সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। 

অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী মনে করেন, মুদ্রানীতির সনাতন কৌশলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। কারণ, এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে খাদ্যবর্হিভূত পণ্যের দাম কমানো।

আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে হলে সরবরাহ বাড়াতে হবে। এখানে চালের দাম বাড়লেই সব পণ্যের দাম বাড়ে। সুদের হারের ওপর ভরসা করে বসে থাকলে কাজ হবে না। আর ব্যবসায়ীদের যখন খুশি দাম বাড়ানোর যে স্বেচ্ছাচারিতা– সেটা থামাতে হবে।’

সরকারের পদক্ষেপের যে প্রভাব প্রবৃদ্ধিতে

সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা নিয়ে সংশয়ের যেমন বাস্তবতা আছে, তেমনি তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও আঘাত হানতে পারে। টাকার প্রবাহ কমানোর ফলে ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তারা ঠিকমত ঋণ পাচ্ছেন না। তারা নতুন বিনিয়োগে যেতে পারছেন না। এতে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানি ব্যাপক হারে কমে গেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য–উপাত্ত বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধেও (জুলাই-ডিসেম্বর) আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে একই সময়ে তা ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছিল। অর্থনীতির স্থবিরতার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার বাড়ানোর কথা ভাবছে। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এলসি খোলার হার ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এরই মধ্যে দুর্বল কৌশলের নেতিবাচক প্রভাব জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে পড়তে শুরু করেছে। মানুষের কাজের সুযোগ কমছে। বেকার মানুষের লাইন ধীর্ঘ হচ্ছে। বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ চাকুরি খুঁজছে।

অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ায় বিনিয়োগের গতিও কম। ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ৩৬ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট এফডিআই এসেছে ৯১৩ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া নিট বিনিয়োগ ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৭০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

এমন পরিস্থিতির জন্য সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতির অভাবকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক  ‘খুবই বাজে মুদ্রনীতি’ গ্রহণ করেছে। ‘স্মার্ট’ নামক সুদের হার আরোপের কৌশল নিচ্ছে ‘আনস্মার্ট’ সময়ে। এগুলো সুফল দেবে না। 

ড. বিরূপাক্ষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক সকল সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক মুক্তির পথ খুঁজছে। দেশে নতুন ‘স্থিতিশীল সরকার’ এসেছে, এখন অর্থনীতিতে চাহিদা পূরণের সময়। অথচ উল্টো সুদের হার বাড়িয়ে দিয়ে হাত–পা গুটিয়ে বসে থাকছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে মোট আমদানির ৭৫ শতাংশই শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও মধ্যবর্তী পণ্য, সেখানে সুদের হার বাড়ানো প্রবৃদ্ধিকে আটকে দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। জোর করে ডলারের দর ধরে রেখে হুন্ডিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সংকটটা এখন সর্দি হিসেবে আছে, এটা কিছুদিন পরে নিউমোনিয়ায় পরিণত হবে।’

স্লথ অর্থনীতি রাজস্বে যে প্রভাব ফেলছে
ব্যবসা–বাণিজ্যের গতি কমার  ফলে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, রাজস্ব ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। 

রাজস্ব খাতের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমদানি কমার ফলে ব্যাংকের এলসি কমিশন থেকে রাজস্ব কমে গেছে। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ধরার সময় রাজস্বের বড় উৎসই মনে করা হয়েছিল এলসি কমিশনকে। এলসি কমিশন কমা মানে তো ব্যাংকেরও ব্যবসা কমে যাওয়া। তাদের আয় কমা মানে, আমাদের রাজস্ব কমে যাওয়া। আর রাজস্ব কমলে, সরকারের ব্যয় কাটছাঁট করতে হয় অথবা ধার করতে হয়।’

রাজস্ব আয় কমার ফলে, সরকারের ধার বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না ঠিকমত। পরিকল্পনা কমিশনের সবশেষ তথ্য বলছে, ইতিহাসের সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে। এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর আগের কোনো অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এত কম এডিপি বাস্তবায়িত হয়নি। সামনে এডিপির বড় একটি অংক কাটছাঁট করতে হবে। আর এসবই জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার উপসর্গ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআই ডেটা সেন্টারে ব্যাপক চাহিদা, তামার দাম ১২ হাজার ডলার ছুঁই ছুঁই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।

উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।

এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।

রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।

ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।

সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।

লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।

কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট রাফি আহমেদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আরেফিন রাফি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
আরেফিন রাফি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।

বিভিন্ন খাতে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞ আরেফিন রাফি আহমেদ জেসিআই বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁর নির্বাচনে সংগঠনের সদস্যদের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘ভিশন ২০২৬-এর মূল কথা হলো মন দিয়ে শোনা, সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং সততা ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে তরুণদের সমাজের সেবায় সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার গুণ বাড়িয়ে পেঁয়াজ আমদানি দৈনিক ৬ হাজার টন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।

চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিন দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানি অনুমোদন দিতে শুরু করে। ওই দিনই দীর্ঘ ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

প্রথমে দৈনিক মোট ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টন করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আমদানি শুরুর দিকে দাম অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে আবার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিতে কিছু কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। শনিবার থেকেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে এলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আশা করি।’

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন ২০০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। আগে ছিল ৫০টি করে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আবেদনের বিষয় আগের মতোই থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০৩৩ সালে দেশের স্বাস্থ্য খাত হবে ২৩ বিলিয়ন ডলারের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি: মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনার হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি: মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনার হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু সরকারি খরচ মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ। দেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। যদিও বর্তমানে এখাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বাজার দ্রুত বাড়ছে। আগামী আট বছরে এখাতের বাজার ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। আগামী ২০৩৩ সালে স্বাস্থ্য খাতের বাজার ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি: মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।

রাজধানীর ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অপ্রতুল অবকাঠামো ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা, দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি, সেবা প্রাপ্তিতে উচ্চ ব্যয়, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, বিদ্যমান নীতিমালার তদারকির অভাবের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি বলে জানান তারা।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান  বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বেশ অর্জন রয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিতের করা যায়নি, এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নতন দেশগুলোর মতো নয়, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশের পক্ষে ইউনিভার্সেল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ওপর বেশি হারে জোর দিতে হবে।’

এ খাতের ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নের পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রতি বাৎসরিক ব্যয় ১ হাজার ৭০ টাকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রায় ৪৯ শতাংশ জনগণ গুণগত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, যদিও বর্তমানে এ খাতের মোট বাজার প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩৩ সালে তা ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসমাইল বারী আরও বলেন, স্বল্প বাজেট বরাদ্দ ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, শহর-গ্রামে স্বাস্থ্যসেবার বৈষম্য, সেবার মান ও আস্থার ঘাটতি, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট, ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়, অপ্রতুল অবকাঠামো এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার দুর্বলতা এ খাতের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তুলনামূলকভাবে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পেতে রোগীদের একটি বড় অংশ অন্যান্য দেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। ফলে এ বাবদ প্রতিবছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘দেশে মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে এখনো কাঠামোগত ঘাটতি রয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্য সেবা মানের অসমতা, প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের ঘাটতি, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ফার্মেসির সম্প্রসারণ, রোগ নির্ণয়ে ভুল রিপোর্ট, ভুয়া ওষুধ ও তদারকি দুর্বলতা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা এবং সর্বোপরি আইন বাস্তবায়নে উদাসীনতা আমাদের জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং আস্থাকে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’

তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবহার না থাকার কারণে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭৪ শতাংশ ব্যক্তিকে নিজস্ব ব্যয়ে বহন করতে হয়। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে বড় ঝুঁকিতে পড়েন।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় গ্রিন লাইফ সেন্টারের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, যেহেতু দেশের বেশির ভাগ লোকই সরকারি খাতের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে, তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বোত্তম মান উন্নয়ন ও নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। এ খাতের সব স্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, দেশীয় স্বাস্থ্য খাতের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ খাতের আস্থা ফিরাতে সরকারি-বেসরকারি খাত ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে, পাশাপাশি এ খাতে পিপিপি মডেলের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা শিক্ষায় অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেন, যদিও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা প্রাপ্তি অসংখ্য বাংলাদেশি অন্যান্য দেশে সেবা নিয়ে থাকেন, তাই বিষয়টি নিয়ে সচেতনভাবে চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, স্বাস্থ্য খাতের আস্থা বাড়াতে সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে রোগীদের যোগাযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবিষয়ক নেতিবাচক সংবাদ পরিহার এবং সর্বোপরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তার কারণে বাংলাদেশের ৯৭% ঔষধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে এবং ১৬০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, তার মানে হলো আমাদের উৎপাদিত ঔষধের ওপর আস্থা রয়েছে, তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ সালে হলেও গত ১৪ বছরেও তা যুগোপযোগী করা এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য খাতের কোনো সমন্বিত নীতিমালা নেই। তাই এ খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি টেকসই নীতিমালার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের অর্থায়ন স্ট্র্যাটেজি একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।’

আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইসিডিডিআরবি হতে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ রোগী ডায়রিয়া সেবা নিচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য আইসিডিডিআরবির মডেলে অন্যান্য জায়গায় অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর হতে তার প্রতিষ্ঠানে ক্যানসার ডায়াগনস্টিক জেনেমিক্স নিয়ে কাজ করছে। ডেঙ্গি ভ্যাকসিন নিয়ে এরই মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এ রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত