
ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। রাজনীতি ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
কেজরিওয়াল বলেন, জামিন পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেখেছেন, তাঁকে যেভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে দিল্লির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এতে আখেরে বিজেপিই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার বিজেপি–আরএসএস ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে না—এটিকে এবারের নির্বাচনের বিজেপির বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদির পর প্রধানমন্ত্রী পদে অমিত শাহকে বসানো নিয়ে খোদ বিজেপির নেতাদের মধ্যে বিভেদ গভীর হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের আশা, এবারের নির্বাচনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ৩০০ টিরও বেশি আসনে জিতবে। তাঁর আশঙ্কা, মোদি সরকার যেভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করার কাজ করেছে, আবার ক্ষমতায় এলে সব বিরোধী নেতাকে জেলে পুরে দেবে। তবে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে ৪ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আম আদমি পার্টির (আপ) এ শীর্ষ নেতার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের একনায়কত্বের ইস্যুটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি আর আগের মতো অবস্থানে নেই। এবার বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ। তিনি বলেন, তাঁকে জেলে রেখে বিজেপি আপকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে।
এবারের নির্বাচনেও ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণের চেষ্টা, বিশেষ করে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে মুসলিমদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসা প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, মানুষ এখন বিজেপির কাছ থেকে এমন হাস্যকর কথা শুনে শুনে ক্লান্ত। কখনো তারা বলে বিরোধী জোটের নেতারা তোমার জল কেড়ে নেবে, কখনো বলে বিদ্যুৎ কেটে দেবে, কখনো বলে মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, কখনো বলে রিজার্ভেশন শেষ করে দেবে। জনগণ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের সমাধান চায়।
নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার উল্লেখ প্রসঙ্গে আপ নেতা বলেন, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হলো নির্বাচনী বন্ড। প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের পেছনে রয়েছে বিজেপির দুর্নীতির পুরো কাহিনি। এর মাধ্যমে বিজেপি যা দান পেয়েছে, তার বিনিময়ে কেউ না কেউ লাভবান হয়েছে। জোট সরকার গঠিত হলে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশ খুব দ্রুত একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে কেজরিওয়াল বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রথমে (ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) হেমন্ত সোরেনকে এবং তারপর আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমাকে গ্রেপ্তার করে তারা দেশের মানুষকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে, কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করতে পারলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। এগুলো একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ।
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলবে বলে আশঙ্কা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয় মেয়াদে বিজেপি শাসিত ভারত কেমন হবে সে চিত্র বর্ণনায় কেজরিওয়াল বলেন, হয় কোনো নির্বাচন হবে না, অথবা নির্বাচন হবে রাশিয়ার মতো, যেখানে পুতিন হয় বিরোধীদের জেলবন্দী করেছেন বা তাদের হত্যা করেছেন। এরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি ৮৭ শতাংশ ভোট পান। বাংলাদেশ সরকার সবাইকে জেলে রেখে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। পাকিস্তানে, তারা ইমরান খানকে জেলে দেয়, তাঁর দল, তাঁর প্রতীক কেড়ে নেয় এবং জয়ী হয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের নির্বাচন হবে। পুরো বিরোধীরা জেলে থাকবে এবং তারা ভোট পেতে থাকবে। এবারও ওরা আমাকে জেলে দিল, মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে দিল, আমাদের দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে জেলে দিল। তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে চলেছে; তারা কংগ্রেসের হিসাব জব্দ করেছে। হেমন্ত সোরেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তারা এনসিপিকে দুই ভাগে ভাগ করেছে, তাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। তারা শিবসেনাকে বিভক্ত করে তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনেক মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে, স্ট্যালিন সরকারের মন্ত্রীদের মতোই। আমরা কীভাবে লড়াই করছি তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
এ সাক্ষাৎকারের চীন–ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে, চীন অনেক জায়গায় অবৈধভাবে ভারতীয় জমি দখল করেছে এবং সেখানে তারা তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, মোদী সরকার শুধু তা উপেক্ষাই করেনি, এই ইস্যুতে দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে। মোদীর প্রিয় কিছু বন্ধুর চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলেই তারা এটা করছে।

ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। রাজনীতি ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
কেজরিওয়াল বলেন, জামিন পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেখেছেন, তাঁকে যেভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে দিল্লির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এতে আখেরে বিজেপিই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার বিজেপি–আরএসএস ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে না—এটিকে এবারের নির্বাচনের বিজেপির বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদির পর প্রধানমন্ত্রী পদে অমিত শাহকে বসানো নিয়ে খোদ বিজেপির নেতাদের মধ্যে বিভেদ গভীর হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের আশা, এবারের নির্বাচনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ৩০০ টিরও বেশি আসনে জিতবে। তাঁর আশঙ্কা, মোদি সরকার যেভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করার কাজ করেছে, আবার ক্ষমতায় এলে সব বিরোধী নেতাকে জেলে পুরে দেবে। তবে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে ৪ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আম আদমি পার্টির (আপ) এ শীর্ষ নেতার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের একনায়কত্বের ইস্যুটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি আর আগের মতো অবস্থানে নেই। এবার বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ। তিনি বলেন, তাঁকে জেলে রেখে বিজেপি আপকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে।
এবারের নির্বাচনেও ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণের চেষ্টা, বিশেষ করে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে মুসলিমদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসা প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, মানুষ এখন বিজেপির কাছ থেকে এমন হাস্যকর কথা শুনে শুনে ক্লান্ত। কখনো তারা বলে বিরোধী জোটের নেতারা তোমার জল কেড়ে নেবে, কখনো বলে বিদ্যুৎ কেটে দেবে, কখনো বলে মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, কখনো বলে রিজার্ভেশন শেষ করে দেবে। জনগণ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের সমাধান চায়।
নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার উল্লেখ প্রসঙ্গে আপ নেতা বলেন, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হলো নির্বাচনী বন্ড। প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের পেছনে রয়েছে বিজেপির দুর্নীতির পুরো কাহিনি। এর মাধ্যমে বিজেপি যা দান পেয়েছে, তার বিনিময়ে কেউ না কেউ লাভবান হয়েছে। জোট সরকার গঠিত হলে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশ খুব দ্রুত একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে কেজরিওয়াল বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রথমে (ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) হেমন্ত সোরেনকে এবং তারপর আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমাকে গ্রেপ্তার করে তারা দেশের মানুষকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে, কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করতে পারলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। এগুলো একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ।
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলবে বলে আশঙ্কা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয় মেয়াদে বিজেপি শাসিত ভারত কেমন হবে সে চিত্র বর্ণনায় কেজরিওয়াল বলেন, হয় কোনো নির্বাচন হবে না, অথবা নির্বাচন হবে রাশিয়ার মতো, যেখানে পুতিন হয় বিরোধীদের জেলবন্দী করেছেন বা তাদের হত্যা করেছেন। এরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি ৮৭ শতাংশ ভোট পান। বাংলাদেশ সরকার সবাইকে জেলে রেখে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। পাকিস্তানে, তারা ইমরান খানকে জেলে দেয়, তাঁর দল, তাঁর প্রতীক কেড়ে নেয় এবং জয়ী হয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের নির্বাচন হবে। পুরো বিরোধীরা জেলে থাকবে এবং তারা ভোট পেতে থাকবে। এবারও ওরা আমাকে জেলে দিল, মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে দিল, আমাদের দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে জেলে দিল। তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে চলেছে; তারা কংগ্রেসের হিসাব জব্দ করেছে। হেমন্ত সোরেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তারা এনসিপিকে দুই ভাগে ভাগ করেছে, তাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। তারা শিবসেনাকে বিভক্ত করে তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনেক মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে, স্ট্যালিন সরকারের মন্ত্রীদের মতোই। আমরা কীভাবে লড়াই করছি তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
এ সাক্ষাৎকারের চীন–ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে, চীন অনেক জায়গায় অবৈধভাবে ভারতীয় জমি দখল করেছে এবং সেখানে তারা তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, মোদী সরকার শুধু তা উপেক্ষাই করেনি, এই ইস্যুতে দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে। মোদীর প্রিয় কিছু বন্ধুর চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলেই তারা এটা করছে।

ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। রাজনীতি ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
কেজরিওয়াল বলেন, জামিন পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেখেছেন, তাঁকে যেভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে দিল্লির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এতে আখেরে বিজেপিই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার বিজেপি–আরএসএস ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে না—এটিকে এবারের নির্বাচনের বিজেপির বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদির পর প্রধানমন্ত্রী পদে অমিত শাহকে বসানো নিয়ে খোদ বিজেপির নেতাদের মধ্যে বিভেদ গভীর হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের আশা, এবারের নির্বাচনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ৩০০ টিরও বেশি আসনে জিতবে। তাঁর আশঙ্কা, মোদি সরকার যেভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করার কাজ করেছে, আবার ক্ষমতায় এলে সব বিরোধী নেতাকে জেলে পুরে দেবে। তবে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে ৪ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আম আদমি পার্টির (আপ) এ শীর্ষ নেতার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের একনায়কত্বের ইস্যুটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি আর আগের মতো অবস্থানে নেই। এবার বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ। তিনি বলেন, তাঁকে জেলে রেখে বিজেপি আপকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে।
এবারের নির্বাচনেও ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণের চেষ্টা, বিশেষ করে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে মুসলিমদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসা প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, মানুষ এখন বিজেপির কাছ থেকে এমন হাস্যকর কথা শুনে শুনে ক্লান্ত। কখনো তারা বলে বিরোধী জোটের নেতারা তোমার জল কেড়ে নেবে, কখনো বলে বিদ্যুৎ কেটে দেবে, কখনো বলে মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, কখনো বলে রিজার্ভেশন শেষ করে দেবে। জনগণ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের সমাধান চায়।
নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার উল্লেখ প্রসঙ্গে আপ নেতা বলেন, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হলো নির্বাচনী বন্ড। প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের পেছনে রয়েছে বিজেপির দুর্নীতির পুরো কাহিনি। এর মাধ্যমে বিজেপি যা দান পেয়েছে, তার বিনিময়ে কেউ না কেউ লাভবান হয়েছে। জোট সরকার গঠিত হলে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশ খুব দ্রুত একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে কেজরিওয়াল বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রথমে (ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) হেমন্ত সোরেনকে এবং তারপর আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমাকে গ্রেপ্তার করে তারা দেশের মানুষকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে, কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করতে পারলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। এগুলো একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ।
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলবে বলে আশঙ্কা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয় মেয়াদে বিজেপি শাসিত ভারত কেমন হবে সে চিত্র বর্ণনায় কেজরিওয়াল বলেন, হয় কোনো নির্বাচন হবে না, অথবা নির্বাচন হবে রাশিয়ার মতো, যেখানে পুতিন হয় বিরোধীদের জেলবন্দী করেছেন বা তাদের হত্যা করেছেন। এরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি ৮৭ শতাংশ ভোট পান। বাংলাদেশ সরকার সবাইকে জেলে রেখে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। পাকিস্তানে, তারা ইমরান খানকে জেলে দেয়, তাঁর দল, তাঁর প্রতীক কেড়ে নেয় এবং জয়ী হয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের নির্বাচন হবে। পুরো বিরোধীরা জেলে থাকবে এবং তারা ভোট পেতে থাকবে। এবারও ওরা আমাকে জেলে দিল, মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে দিল, আমাদের দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে জেলে দিল। তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে চলেছে; তারা কংগ্রেসের হিসাব জব্দ করেছে। হেমন্ত সোরেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তারা এনসিপিকে দুই ভাগে ভাগ করেছে, তাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। তারা শিবসেনাকে বিভক্ত করে তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনেক মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে, স্ট্যালিন সরকারের মন্ত্রীদের মতোই। আমরা কীভাবে লড়াই করছি তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
এ সাক্ষাৎকারের চীন–ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে, চীন অনেক জায়গায় অবৈধভাবে ভারতীয় জমি দখল করেছে এবং সেখানে তারা তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, মোদী সরকার শুধু তা উপেক্ষাই করেনি, এই ইস্যুতে দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে। মোদীর প্রিয় কিছু বন্ধুর চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলেই তারা এটা করছে।

ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কথিত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপরই নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। রাজনীতি ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
কেজরিওয়াল বলেন, জামিন পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দেখেছেন, তাঁকে যেভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে দিল্লির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এতে আখেরে বিজেপিই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। জাতীয় পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এবার বিজেপি–আরএসএস ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে না—এটিকে এবারের নির্বাচনের বিজেপির বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদির পর প্রধানমন্ত্রী পদে অমিত শাহকে বসানো নিয়ে খোদ বিজেপির নেতাদের মধ্যে বিভেদ গভীর হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
কেজরিওয়ালের আশা, এবারের নির্বাচনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ৩০০ টিরও বেশি আসনে জিতবে। তাঁর আশঙ্কা, মোদি সরকার যেভাবে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করার কাজ করেছে, আবার ক্ষমতায় এলে সব বিরোধী নেতাকে জেলে পুরে দেবে। তবে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে ৪ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আম আদমি পার্টির (আপ) এ শীর্ষ নেতার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের একনায়কত্বের ইস্যুটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি আর আগের মতো অবস্থানে নেই। এবার বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ। তিনি বলেন, তাঁকে জেলে রেখে বিজেপি আপকে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে।
এবারের নির্বাচনেও ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণের চেষ্টা, বিশেষ করে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে মুসলিমদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসা প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, মানুষ এখন বিজেপির কাছ থেকে এমন হাস্যকর কথা শুনে শুনে ক্লান্ত। কখনো তারা বলে বিরোধী জোটের নেতারা তোমার জল কেড়ে নেবে, কখনো বলে বিদ্যুৎ কেটে দেবে, কখনো বলে মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, কখনো বলে রিজার্ভেশন শেষ করে দেবে। জনগণ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের সমাধান চায়।
নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার উল্লেখ প্রসঙ্গে আপ নেতা বলেন, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হলো নির্বাচনী বন্ড। প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের পেছনে রয়েছে বিজেপির দুর্নীতির পুরো কাহিনি। এর মাধ্যমে বিজেপি যা দান পেয়েছে, তার বিনিময়ে কেউ না কেউ লাভবান হয়েছে। জোট সরকার গঠিত হলে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
দেশ খুব দ্রুত একনায়কতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে মন্তব্য করে কেজরিওয়াল বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রথমে (ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) হেমন্ত সোরেনকে এবং তারপর আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমাকে গ্রেপ্তার করে তারা দেশের মানুষকে একটা বার্তা দিতে চেয়েছে, কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করতে পারলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। এগুলো একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ।
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে বিজেপি সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলবে বলে আশঙ্কা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তৃতীয় মেয়াদে বিজেপি শাসিত ভারত কেমন হবে সে চিত্র বর্ণনায় কেজরিওয়াল বলেন, হয় কোনো নির্বাচন হবে না, অথবা নির্বাচন হবে রাশিয়ার মতো, যেখানে পুতিন হয় বিরোধীদের জেলবন্দী করেছেন বা তাদের হত্যা করেছেন। এরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি ৮৭ শতাংশ ভোট পান। বাংলাদেশ সরকার সবাইকে জেলে রেখে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। পাকিস্তানে, তারা ইমরান খানকে জেলে দেয়, তাঁর দল, তাঁর প্রতীক কেড়ে নেয় এবং জয়ী হয়। আমাদের দেশেও এ ধরনের নির্বাচন হবে। পুরো বিরোধীরা জেলে থাকবে এবং তারা ভোট পেতে থাকবে। এবারও ওরা আমাকে জেলে দিল, মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে দিল, আমাদের দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে জেলে দিল। তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে চলেছে; তারা কংগ্রেসের হিসাব জব্দ করেছে। হেমন্ত সোরেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তারা এনসিপিকে দুই ভাগে ভাগ করেছে, তাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। তারা শিবসেনাকে বিভক্ত করে তাদের প্রতীক কেড়ে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনেক মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে, স্ট্যালিন সরকারের মন্ত্রীদের মতোই। আমরা কীভাবে লড়াই করছি তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
এ সাক্ষাৎকারের চীন–ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে, চীন অনেক জায়গায় অবৈধভাবে ভারতীয় জমি দখল করেছে এবং সেখানে তারা তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, মোদী সরকার শুধু তা উপেক্ষাই করেনি, এই ইস্যুতে দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে। মোদীর প্রিয় কিছু বন্ধুর চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলেই তারা এটা করছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
২৪ মে ২০২৪
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
২৪ মে ২০২৪
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
২৪ মে ২০২৪
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ। ভারতের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে তিনি এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁর অভিযোগ এই তিন দেশের ক্ষমতাসীনদের মতো নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিরোধীদের ঠেকাতে খড়গহস্ত হয়েছেন।
২৪ মে ২০২৪
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৪ ঘণ্টা আগে