সম্পাদকীয়
ফজল-এ-খোদা ছিলেন কবি, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও শিশুসংগঠক। বেতার ও টেলিভিশনের একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, লেখক ও নির্দেশক। শিশুসংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা এই কবি ‘মিতাভাই’ নামে খ্যাত ছিলেন। সত্তর দশকে শিশু-কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন তিনি।
ফজল-এ-খোদা জন্মগ্রহণ করেন পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রামে ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ।
তিনি একাত্তরে সরকারি চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার জন্য ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল তাঁকে রেডিও পাকিস্তানের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর কাজী নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে নিয়ে এলে তাঁকে এ দেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ফজল-এ-খোদা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
বিখ্যাত ‘সালাম সালাম হাজার সালাম/ সকল শহীদ স্মরণে...’ গানটি ফজল-এ-খোদার লেখা, মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের সুর করা। এ গানটি ২০০৬ সালে বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের সেরা ২০টি গানের তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করে।
ফজল-এ-খোদার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’, ‘ডাক পিয়নে সারাটা দিন চিঠি বিলি করে বেড়ায়’ ইত্যাদি। গান, ছড়া, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে তাঁর বইয়ের সংখ্যা ৩৫। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর ফজল-এ-খোদা অসংখ্য দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোকসংগীত, ইসলামি গান লিখেছেন।
বাংলাদেশের এই কালজয়ী গীতিকার ২০২১ সালের ৪ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
ফজল-এ-খোদা ছিলেন কবি, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও শিশুসংগঠক। বেতার ও টেলিভিশনের একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, লেখক ও নির্দেশক। শিশুসংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা এই কবি ‘মিতাভাই’ নামে খ্যাত ছিলেন। সত্তর দশকে শিশু-কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন তিনি।
ফজল-এ-খোদা জন্মগ্রহণ করেন পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রামে ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ।
তিনি একাত্তরে সরকারি চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার জন্য ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল তাঁকে রেডিও পাকিস্তানের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর কাজী নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে নিয়ে এলে তাঁকে এ দেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ফজল-এ-খোদা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
বিখ্যাত ‘সালাম সালাম হাজার সালাম/ সকল শহীদ স্মরণে...’ গানটি ফজল-এ-খোদার লেখা, মোহাম্মদ আবদুল জব্বারের সুর করা। এ গানটি ২০০৬ সালে বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের সেরা ২০টি গানের তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করে।
ফজল-এ-খোদার কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’, ‘ডাক পিয়নে সারাটা দিন চিঠি বিলি করে বেড়ায়’ ইত্যাদি। গান, ছড়া, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে তাঁর বইয়ের সংখ্যা ৩৫। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছর ফজল-এ-খোদা অসংখ্য দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোকসংগীত, ইসলামি গান লিখেছেন।
বাংলাদেশের এই কালজয়ী গীতিকার ২০২১ সালের ৪ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
৫ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
১ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
২ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৩ দিন আগে