সম্পাদকীয়
গণনাট্য সংঘে বিখ্যাত থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি জড়ো হয়েছিলেন অনেক সংগীতশিল্পী। সে সময় বিনয় রায়, ভূপতি নন্দী, সাধনা রায় চৌধুরী, রেবা রায়, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের মাঝখানে গণনাট্য সংঘে মধ্যমণি ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস।
কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সঙ্গে তাঁর সখ্য হয়েছিল, কিন্তু তিনি খোদ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেননি। তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। পার্টির নিয়মানুবর্তিতা তাঁর জন্য নয়।
১৯৪৩-৪৪ সালে দুর্ভিক্ষের দিনগুলোয় তিনি দুর্ভিক্ষপীড়িতদের জন্য অর্থ সংগ্রহে গান গেয়ে বেড়িয়েছেন পিপলস রিলিফ কমিটির হয়ে। সেখানে অবধারিতভাবে গেয়েছেন গণসংগীত এবং যোগ করেছেন রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রসংগীত ভদ্রলোকের জন্য ড্রয়িংরুমে গাওয়ার গান—এ রকম ধারণা ভেঙে দিয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। গণনাট্য সংঘের হয়েই তিনি গেয়েছেন জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের ‘নবজীবনের গান’। আর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখা ‘মাউন্ট ব্যাটেনের মঙ্গলকাব্য’ গেয়ে তো মাতিয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলাকে। অনেকেই এই গান গেয়েছে, কিন্তু দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠেই গানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাস এই জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে মনে করেন, স্থানীয় উচ্চারণের ঢং এবং দেবব্রত বিশ্বাসের গায়কি।
হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথে স্বদেশ পর্যায়ের এমন অনেক গান আছে, যা একরকম গণসংগীতই। ‘বাঁধ ভেঙে দাও’, ‘হবে জয় হবে জয়’, ‘ওদের বাঁধন যত শক্ত হবে’ গানগুলো যখন উঠে আসত দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে, তখন সেই উদাত্ত ভরাট কণ্ঠ যেন ছড়িয়ে যেত পুরো সভায়। রবীন্দ্রনাথের গানও যে খোলা মাঠে পরিবেশন করা যায়, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
আসাম গণনাট্য সংঘের তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে গান করতে এসেছেন দেবব্রত বিশ্বাস। হেমাঙ্গ বিশ্বাস বুঝতে পারছেন, দেবব্রত রবীন্দ্রসংগীতই গাইবেন। হ্যাঁ, সেই ধারণা ঠিক হলো, কিন্তু কোন গান করলেন দেবব্রত? না, স্বদেশ পর্যায়ের গান নয়। তিনি গাইলেন ‘নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগল’। বসন্ত ঋতুর এই গান যে এ রকম প্রত্যয় আর পুনর্মিলনের আনন্দ আর উল্লাস ছড়াবে, সে কথা কে জানত?
সূত্র: অশ্রুকুমার সিকদার, কিল মারার গোঁসাই, পৃষ্ঠা ১৭৯-১৮১
গণনাট্য সংঘে বিখ্যাত থিয়েটার ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি জড়ো হয়েছিলেন অনেক সংগীতশিল্পী। সে সময় বিনয় রায়, ভূপতি নন্দী, সাধনা রায় চৌধুরী, রেবা রায়, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের মাঝখানে গণনাট্য সংঘে মধ্যমণি ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস।
কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সঙ্গে তাঁর সখ্য হয়েছিল, কিন্তু তিনি খোদ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেননি। তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। পার্টির নিয়মানুবর্তিতা তাঁর জন্য নয়।
১৯৪৩-৪৪ সালে দুর্ভিক্ষের দিনগুলোয় তিনি দুর্ভিক্ষপীড়িতদের জন্য অর্থ সংগ্রহে গান গেয়ে বেড়িয়েছেন পিপলস রিলিফ কমিটির হয়ে। সেখানে অবধারিতভাবে গেয়েছেন গণসংগীত এবং যোগ করেছেন রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রসংগীত ভদ্রলোকের জন্য ড্রয়িংরুমে গাওয়ার গান—এ রকম ধারণা ভেঙে দিয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস। গণনাট্য সংঘের হয়েই তিনি গেয়েছেন জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের ‘নবজীবনের গান’। আর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখা ‘মাউন্ট ব্যাটেনের মঙ্গলকাব্য’ গেয়ে তো মাতিয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলাকে। অনেকেই এই গান গেয়েছে, কিন্তু দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠেই গানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাস এই জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে মনে করেন, স্থানীয় উচ্চারণের ঢং এবং দেবব্রত বিশ্বাসের গায়কি।
হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথে স্বদেশ পর্যায়ের এমন অনেক গান আছে, যা একরকম গণসংগীতই। ‘বাঁধ ভেঙে দাও’, ‘হবে জয় হবে জয়’, ‘ওদের বাঁধন যত শক্ত হবে’ গানগুলো যখন উঠে আসত দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে, তখন সেই উদাত্ত ভরাট কণ্ঠ যেন ছড়িয়ে যেত পুরো সভায়। রবীন্দ্রনাথের গানও যে খোলা মাঠে পরিবেশন করা যায়, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
আসাম গণনাট্য সংঘের তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে গান করতে এসেছেন দেবব্রত বিশ্বাস। হেমাঙ্গ বিশ্বাস বুঝতে পারছেন, দেবব্রত রবীন্দ্রসংগীতই গাইবেন। হ্যাঁ, সেই ধারণা ঠিক হলো, কিন্তু কোন গান করলেন দেবব্রত? না, স্বদেশ পর্যায়ের গান নয়। তিনি গাইলেন ‘নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগল’। বসন্ত ঋতুর এই গান যে এ রকম প্রত্যয় আর পুনর্মিলনের আনন্দ আর উল্লাস ছড়াবে, সে কথা কে জানত?
সূত্র: অশ্রুকুমার সিকদার, কিল মারার গোঁসাই, পৃষ্ঠা ১৭৯-১৮১
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগে