সম্পাদকীয়
কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে প্রথম হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের ব্যাপারটা নজরে এল আব্বাসউদদীনের। কোচবিহারে কখনো এ রকম হোঁচট খাননি। বাড়ি পছন্দ হলো। কিন্তু যেই-না নামটা বলা, অমনি হিন্দু বাড়িওয়ালা বলছেন, ‘না না, হবে না মশাই।’
প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেলেন আব্বাসউদদীন। মেসে ফিরে কেঁদে ভাসালেন বুক। ভাবলেন, ‘কোচবিহারই ভালো। সেখানে সত্যিকার মানুষের বাস। এ কোন জনারণ্যে এলাম রে বাবা!’
প্রথমে নাম ছিল শ্রী সেখ আব্বাসউদদীন। শৈশবেই সেখ বর্জিত হয়েছিল। যৌবনের সূচনায় উঠে গেল ‘শ্রী’। রইল শুধুই আব্বাসউদদীন। তিনি দেখলেন হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মনকষাকষির অন্ত নেই।
কিন্তু কিছুদিন পর আরও একটি ব্যাপার লক্ষ করলেন। কোনো মুসলমান-বিদ্বেষী হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পর যদি মাগরিবের নামাজের সময় হয়, তখন নামাজ পড়ার কথা বললে তাঁরা অতি সমাদরে বাড়ির সবচেয়ে ভালো কামরায় নিয়ে গেলেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে কিংবা কাপড় বিছিয়ে নামাজ পড়তে বললেন। এই জায়গাটাই আব্বাসউদদীন মেলাতে পারলেন না। একটু আগেই ওই বাড়ির বৃদ্ধ কাকার সঙ্গে ধর্মালোচনা করার সময় কী বাগ্বিতণ্ডাই না হয়ে গেল, কিন্তু নামাজ পড়ার কথা বলতেই বাড়ির সবচেয়ে ভালো কামরায় ব্যবস্থা করে দিলেন তাঁরা!
নামাজ শেষ করে আবার বন্ধুর কাকার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেই বৃদ্ধ বললেন, ‘কী বাবা, ধর্মের তর্ক আর করবে? বাইরেই আমরা মিছামিছি তর্ক করে মরি। চোখ বুজে ভগবানকে ডাকতে গিয়ে তুমিও যাঁকে ডাকো, আমিও তাঁকেই ডাকি, কাজেই ও সময়টা বড় শান্তির সময়।’
মিছেই ধর্ম নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা। ১৯৫৫ সালে ম্যানিলা ঘুরে রেঙ্গুনে এসেছিলেন। একটি প্যাগোডায় বুদ্ধমূর্তির সামনে চোখ বুজে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখলেন এক নবীন দম্পতিকে। চিরকালই প্রার্থনারত মানুষ দেখতে ভালো লাগে আব্বাসউদদীনের। সে নামাজরত মুসলিম হোক, আর প্রতিমার সামনে পুরোহিত হোক, কিংবা হোক এই বৌদ্ধ দম্পতির মতো কেউ। এই দম্পতিকে দেখে শান্তি পেলেন আব্বাসউদদীন।
সূত্র: আব্বাসউদদীন আহমদ, আমার শিল্পীজীবনের কথা, পৃষ্ঠা ১২৩-১২৪
কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে প্রথম হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের ব্যাপারটা নজরে এল আব্বাসউদদীনের। কোচবিহারে কখনো এ রকম হোঁচট খাননি। বাড়ি পছন্দ হলো। কিন্তু যেই-না নামটা বলা, অমনি হিন্দু বাড়িওয়ালা বলছেন, ‘না না, হবে না মশাই।’
প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেলেন আব্বাসউদদীন। মেসে ফিরে কেঁদে ভাসালেন বুক। ভাবলেন, ‘কোচবিহারই ভালো। সেখানে সত্যিকার মানুষের বাস। এ কোন জনারণ্যে এলাম রে বাবা!’
প্রথমে নাম ছিল শ্রী সেখ আব্বাসউদদীন। শৈশবেই সেখ বর্জিত হয়েছিল। যৌবনের সূচনায় উঠে গেল ‘শ্রী’। রইল শুধুই আব্বাসউদদীন। তিনি দেখলেন হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মনকষাকষির অন্ত নেই।
কিন্তু কিছুদিন পর আরও একটি ব্যাপার লক্ষ করলেন। কোনো মুসলমান-বিদ্বেষী হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পর যদি মাগরিবের নামাজের সময় হয়, তখন নামাজ পড়ার কথা বললে তাঁরা অতি সমাদরে বাড়ির সবচেয়ে ভালো কামরায় নিয়ে গেলেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে কিংবা কাপড় বিছিয়ে নামাজ পড়তে বললেন। এই জায়গাটাই আব্বাসউদদীন মেলাতে পারলেন না। একটু আগেই ওই বাড়ির বৃদ্ধ কাকার সঙ্গে ধর্মালোচনা করার সময় কী বাগ্বিতণ্ডাই না হয়ে গেল, কিন্তু নামাজ পড়ার কথা বলতেই বাড়ির সবচেয়ে ভালো কামরায় ব্যবস্থা করে দিলেন তাঁরা!
নামাজ শেষ করে আবার বন্ধুর কাকার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেই বৃদ্ধ বললেন, ‘কী বাবা, ধর্মের তর্ক আর করবে? বাইরেই আমরা মিছামিছি তর্ক করে মরি। চোখ বুজে ভগবানকে ডাকতে গিয়ে তুমিও যাঁকে ডাকো, আমিও তাঁকেই ডাকি, কাজেই ও সময়টা বড় শান্তির সময়।’
মিছেই ধর্ম নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা। ১৯৫৫ সালে ম্যানিলা ঘুরে রেঙ্গুনে এসেছিলেন। একটি প্যাগোডায় বুদ্ধমূর্তির সামনে চোখ বুজে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখলেন এক নবীন দম্পতিকে। চিরকালই প্রার্থনারত মানুষ দেখতে ভালো লাগে আব্বাসউদদীনের। সে নামাজরত মুসলিম হোক, আর প্রতিমার সামনে পুরোহিত হোক, কিংবা হোক এই বৌদ্ধ দম্পতির মতো কেউ। এই দম্পতিকে দেখে শান্তি পেলেন আব্বাসউদদীন।
সূত্র: আব্বাসউদদীন আহমদ, আমার শিল্পীজীবনের কথা, পৃষ্ঠা ১২৩-১২৪
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগে