সম্পাদকীয়
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর সুনামগঞ্জের শাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন সেখানে কাজ করার। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যাক’।
ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের বানিয়াচং গ্রামে। তিনি চাচার কর্মস্থল পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে দুই বছর পড়ার পর লন্ডন থেকে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করেন। এ ছাড়া তিনি কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব ল’ এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব এডুকেশন’ ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র করপোরেট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে গিয়ে এ দেশের মানুষের সাহায্যের জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
ব্র্যাকের কার্যক্রম এখন এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংগঠন ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০১৯ সালে টানা চতুর্থবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ এনজিওর মধ্যে প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফজলে হাসান আবেদ তাঁর অবদানের জন্য নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ইদান প্রাইজ, নাইটহুড উপাধি, র্যামন ম্যাগসাইসাই ইত্যাদি। আমেরিকার ‘অশোকা’ সংস্থা তাঁকে অন্যতম ‘গ্লোবাল গ্রেট’ স্বীকৃতিতে ভূষিত করেছে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ‘ফরচুন ম্যাগাজিন’ কর্তৃক বিশ্বের ৫০ জন শীর্ষ নেতার তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বহু সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি তাঁকে ‘ডক্টর অব লজ’, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টর অব লেটার্স’ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টরেট অব হিউমেন লেটার্স’ ডিগ্রি দিয়েছে।
২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর সুনামগঞ্জের শাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন সেখানে কাজ করার। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যাক’।
ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের বানিয়াচং গ্রামে। তিনি চাচার কর্মস্থল পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে দুই বছর পড়ার পর লন্ডন থেকে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করেন। এ ছাড়া তিনি কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব ল’ এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব এডুকেশন’ ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র করপোরেট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে গিয়ে এ দেশের মানুষের সাহায্যের জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
ব্র্যাকের কার্যক্রম এখন এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংগঠন ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০১৯ সালে টানা চতুর্থবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ এনজিওর মধ্যে প্রথম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফজলে হাসান আবেদ তাঁর অবদানের জন্য নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ইদান প্রাইজ, নাইটহুড উপাধি, র্যামন ম্যাগসাইসাই ইত্যাদি। আমেরিকার ‘অশোকা’ সংস্থা তাঁকে অন্যতম ‘গ্লোবাল গ্রেট’ স্বীকৃতিতে ভূষিত করেছে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ‘ফরচুন ম্যাগাজিন’ কর্তৃক বিশ্বের ৫০ জন শীর্ষ নেতার তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বহু সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি তাঁকে ‘ডক্টর অব লজ’, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টর অব লেটার্স’ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টরেট অব হিউমেন লেটার্স’ ডিগ্রি দিয়েছে।
২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
২ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৬ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
১৭ দিন আগে