অনলাইন ডেস্ক
অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। পদে পদে মুখোমুখি হতে হয় তুষার ঝড়, কনকনে হাওয়াসহ আবহাওয়ার নানা বৈরিতার। আছে ফ্রস্টবাইটের (অস্বাভাবিক ঠান্ডায় শরীরে সৃষ্টি হওয়া জখম) ঝুঁকি। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি একাকী কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্গে আওসলন।
উপকূল ধরে অ্যান্টার্কটিকার শেষ মাথায় পৌঁছার সিদ্ধান্ত নেন আওসলন। বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয়ের সংকল্প নিয়ে তাঁর যাত্রাটা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর, বার্কনার দ্বীপ থেকে।
আওসলনের মতে এ ধরনের অভিযানের শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোটা অভিযানে সবচেয়ে কঠিন অংশগুলির একটি এটি। বরফরাজ্যে প্রথম কিছুটা পথ এগোনো খুব কঠিন। মোটামুটি ১০ থেকে ১৪ দিন লাগে বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।
উড়োজাহাজ কিংবা হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবি দেখে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের একটি সম্ভাব্য পথ ঠিক করেন আওলসন। এটি তাঁকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার পেনসাকোলা পর্বতমালার ডুফেক ম্যাসিফ ধরে নিয়ে যাবে।
সামনে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া বরফের এলাকা দেখে তাঁর মনে হলো পথের কোনো শেষ নেই। ধীরে ধীরে বরফরাজ্যে ওপরের দিকে উঠছিলেন। প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা শীতল বাতাস শরীরের হাড়মজ্জা কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো গাছ বা স্থাপনা নেই। আদিগন্ত চলে যাওয়া এই ভূপ্রকৃতিতে ব্যতিক্রম বলতে তুষার স্তূপ। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ছয় ফুট। বাতাসের সঙ্গে ধেয়ে আসা তুষারে জন্ম এগুলোর।
দক্ষিণ মেরুর বেস ক্যাম্প তাঁর জন্য একটি লোভনীয় ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সেখানে না থামার সিদ্ধান্ত নিলেন আওসলন। কারণ একবার ভেতরে ঢুকে আরাম পেয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়াটি কঠিন হয়ে পড়বে।
দক্ষিণ মেরুর চারপাশের মালভূমি শীতল, উচ্চতাও বেশি। তবে বাতাস তুলনামূলক কম। পর্বত এলাকার কাছাকাছি এলে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঝড়ো বাতাসের মোকাবিলা করতে হয়। অবশ্য বোর্গে আওসলনের জন্য এই বাতাস শাপে বর হয়ে ওঠে। এক ধরনের ঘুড়ির সাহায্যে বাতাসের সহায়তা নিয়ে দ্রুতগতিতে মাইলের পর মাইল স্কি করে যান তিনি। অবশ্য বাধা সৃষ্টি করে পথে জমা বরফের স্তূপগুলো।
প্রবল গতিতে চলার সময় আচমকা কোনো একটায় হোঁচট খেলেই কম্ম সারা। পা ভাঙার আশঙ্কা প্রবল। আর একাকী এই অভিযানে এমন দুর্ঘটনার একটাই অর্থ—নিশ্চিত মৃত্যু।
দুপাশের পর্বতরাজ্যের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার জন্য এক্সেল হোইবার্গ হিমবাহের পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারপর ধরবেন বায়েরডমোর হিমবাহের পথ। কিছু ফাটল থাকলেও তুলনামূলক নিরাপদ পথটি। ১৯১১ সালে বিখ্যাত অভিযাত্রী অ্যামুন্ডসেন এই পথ ধরেছিলেন।
এক্সেল হেইবার্গ হিমবাহের পাদদেশে বরফের বিশাল একটি তাক আছে। এটি রস আইস শেলফ নামে পরিচিত। এখান থেকে ম্যাকমার্ডো যাওয়ার পথে রস দ্বীপের ঠিক নাকের ডগায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা স্টেশন আছে। সেখানে পৌঁছাতে ফাটলে ভরা একটি বিপজ্জনক এলাকা পেরোতে হয়। বড় সমস্যা, বরফরাজ্যের এই ফাটল বা চিড়গুলো কখনো কখনো চোখ এড়িয়ে যায়। খুব পাতলা বরফের পর্দা দিয়ে আবৃত থাকায় সতর্ক থাকতে হয়।
তবে বোর্গে আওসলন সঙ্গে বারো ফুটি কয়েকটি টাইটেনিয়ামের দণ্ড নিয়েছিলেন। এগুলো রেখেছিলেন স্লেজগাড়ি ও নিজের মাঝখানে। বারকনার দ্বীপে একবার টাইটেনিয়ামের এই দণ্ড তাঁর জীবন বাঁচায়। বরফের একটা পাতলা আবরণ অতিক্রমের সময় ধসে পড়ে সেটি। তবে এই দণ্ডগুলো বরফে আটকে কোনোভাবে রেহাই পান।
অ্যান্টার্কটিকার শেষ প্রান্ত স্কট বেসে আওসলন পৌঁছান ১৯৯৭ সালের ১৮ জানুয়ারি। আগের বছরের ১৫ নভেম্বর শুরু করা ওই যাত্রায় তিনি পেরোন ১ হাজার ৮৬৪ মাইল। সৌভাগ্যক্রমে স্কট বেসের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় জায়গাটিতে পৌঁছান তিনি। প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারিও এ আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে ছিলেন। হিলারির সঙ্গেই হেলিকপ্টারে চেপে দক্ষিণ মেরু যান আওসলন। পরে আওসলন বলেন, ‘যে দূরত্ব পেরোতে আমার এক মাসের বেশি লাগল, সেটা উড়ে গেলাম আড়াই ঘণ্টায়।
অবশ্য আওসলন যাত্রা ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়, নাকি ১৭ জানুয়ারি—এটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও অনেক গণমাধ্যম যাত্রাটি ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় বলে উল্লেখ করলেও গার্ডিয়ানের এক লেখায় আওসলন তারিখটা ১৭ জানুয়ারি বলে উল্লেখ করেন।
আওসলন ওই অভিযানকে দেখা হয় কোনো সাহায্য ছাড়া প্রথম একাকী কারও অ্যান্টার্কটিকা বিজয় হিসেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কলিন ও’ব্রেড ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের পর দাবি করেন, তিনিই প্রথম মানুষ হিসেবে কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন। অনেকে তাঁর দাবিটাকে গুরুত্বও দেন। কারণ তিনি তাঁর স্লেজটা নিজেই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন গোটা যাত্রাপথে। অন্যদিকে আওসলন একটি ঘুড়ি ব্যবহার করে বাতাসের সাহায্যে এগিয়েছিলেন।
অবশ্য আরও নানা ধরনের রেকর্ড আছে রোমাঞ্চপ্রেমী এই মানুষটির ঝুলিতে। ১৯৯০ সালের ৪ মে আর্লিং কগে ও আওলসন বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে উত্তর মেরু পৌঁছান। কানাডার এলেসমেরে দ্বীপ থেকে ৮০০ মাইল পথ স্কিইং করে ৫৮ দিনে উত্তর মেরুতে পৌঁছান তাঁরা।
এমন মানুষের বিয়েটা তো অন্যদের মতো হতে পারে না, কি বলেন? ২০১২ সালে বিয়ে করেন তিনি, উত্তর মেরুতে। অবশ্য এ যাত্রায় ২০-৩০ জন সঙ্গী-সাথিও ও কনে হেগে আওসলেনসহ উত্তর মেরু পৌঁছেছিলেন হেলিকপ্টারে।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডিসকভারি. কম, উইকিপিডিয়া
অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। পদে পদে মুখোমুখি হতে হয় তুষার ঝড়, কনকনে হাওয়াসহ আবহাওয়ার নানা বৈরিতার। আছে ফ্রস্টবাইটের (অস্বাভাবিক ঠান্ডায় শরীরে সৃষ্টি হওয়া জখম) ঝুঁকি। তারপর যদি যাত্রাটা হয় একাকী, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ১৯৯৭ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি একাকী কারও সাহায্য ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন নরওয়ের বোর্গে আওসলন।
উপকূল ধরে অ্যান্টার্কটিকার শেষ মাথায় পৌঁছার সিদ্ধান্ত নেন আওসলন। বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয়ের সংকল্প নিয়ে তাঁর যাত্রাটা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর, বার্কনার দ্বীপ থেকে।
আওসলনের মতে এ ধরনের অভিযানের শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোটা অভিযানে সবচেয়ে কঠিন অংশগুলির একটি এটি। বরফরাজ্যে প্রথম কিছুটা পথ এগোনো খুব কঠিন। মোটামুটি ১০ থেকে ১৪ দিন লাগে বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।
উড়োজাহাজ কিংবা হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবি দেখে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের একটি সম্ভাব্য পথ ঠিক করেন আওলসন। এটি তাঁকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার পেনসাকোলা পর্বতমালার ডুফেক ম্যাসিফ ধরে নিয়ে যাবে।
সামনে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া বরফের এলাকা দেখে তাঁর মনে হলো পথের কোনো শেষ নেই। ধীরে ধীরে বরফরাজ্যে ওপরের দিকে উঠছিলেন। প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসা শীতল বাতাস শরীরের হাড়মজ্জা কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো গাছ বা স্থাপনা নেই। আদিগন্ত চলে যাওয়া এই ভূপ্রকৃতিতে ব্যতিক্রম বলতে তুষার স্তূপ। এগুলোর কোনো কোনোটা উচ্চতায় ছয় ফুট। বাতাসের সঙ্গে ধেয়ে আসা তুষারে জন্ম এগুলোর।
দক্ষিণ মেরুর বেস ক্যাম্প তাঁর জন্য একটি লোভনীয় ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সেখানে না থামার সিদ্ধান্ত নিলেন আওসলন। কারণ একবার ভেতরে ঢুকে আরাম পেয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়াটি কঠিন হয়ে পড়বে।
দক্ষিণ মেরুর চারপাশের মালভূমি শীতল, উচ্চতাও বেশি। তবে বাতাস তুলনামূলক কম। পর্বত এলাকার কাছাকাছি এলে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঝড়ো বাতাসের মোকাবিলা করতে হয়। অবশ্য বোর্গে আওসলনের জন্য এই বাতাস শাপে বর হয়ে ওঠে। এক ধরনের ঘুড়ির সাহায্যে বাতাসের সহায়তা নিয়ে দ্রুতগতিতে মাইলের পর মাইল স্কি করে যান তিনি। অবশ্য বাধা সৃষ্টি করে পথে জমা বরফের স্তূপগুলো।
প্রবল গতিতে চলার সময় আচমকা কোনো একটায় হোঁচট খেলেই কম্ম সারা। পা ভাঙার আশঙ্কা প্রবল। আর একাকী এই অভিযানে এমন দুর্ঘটনার একটাই অর্থ—নিশ্চিত মৃত্যু।
দুপাশের পর্বতরাজ্যের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার জন্য এক্সেল হোইবার্গ হিমবাহের পথ ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারপর ধরবেন বায়েরডমোর হিমবাহের পথ। কিছু ফাটল থাকলেও তুলনামূলক নিরাপদ পথটি। ১৯১১ সালে বিখ্যাত অভিযাত্রী অ্যামুন্ডসেন এই পথ ধরেছিলেন।
এক্সেল হেইবার্গ হিমবাহের পাদদেশে বরফের বিশাল একটি তাক আছে। এটি রস আইস শেলফ নামে পরিচিত। এখান থেকে ম্যাকমার্ডো যাওয়ার পথে রস দ্বীপের ঠিক নাকের ডগায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা স্টেশন আছে। সেখানে পৌঁছাতে ফাটলে ভরা একটি বিপজ্জনক এলাকা পেরোতে হয়। বড় সমস্যা, বরফরাজ্যের এই ফাটল বা চিড়গুলো কখনো কখনো চোখ এড়িয়ে যায়। খুব পাতলা বরফের পর্দা দিয়ে আবৃত থাকায় সতর্ক থাকতে হয়।
তবে বোর্গে আওসলন সঙ্গে বারো ফুটি কয়েকটি টাইটেনিয়ামের দণ্ড নিয়েছিলেন। এগুলো রেখেছিলেন স্লেজগাড়ি ও নিজের মাঝখানে। বারকনার দ্বীপে একবার টাইটেনিয়ামের এই দণ্ড তাঁর জীবন বাঁচায়। বরফের একটা পাতলা আবরণ অতিক্রমের সময় ধসে পড়ে সেটি। তবে এই দণ্ডগুলো বরফে আটকে কোনোভাবে রেহাই পান।
অ্যান্টার্কটিকার শেষ প্রান্ত স্কট বেসে আওসলন পৌঁছান ১৯৯৭ সালের ১৮ জানুয়ারি। আগের বছরের ১৫ নভেম্বর শুরু করা ওই যাত্রায় তিনি পেরোন ১ হাজার ৮৬৪ মাইল। সৌভাগ্যক্রমে স্কট বেসের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় জায়গাটিতে পৌঁছান তিনি। প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারিও এ আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে ছিলেন। হিলারির সঙ্গেই হেলিকপ্টারে চেপে দক্ষিণ মেরু যান আওসলন। পরে আওসলন বলেন, ‘যে দূরত্ব পেরোতে আমার এক মাসের বেশি লাগল, সেটা উড়ে গেলাম আড়াই ঘণ্টায়।
অবশ্য আওসলন যাত্রা ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়, নাকি ১৭ জানুয়ারি—এটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও অনেক গণমাধ্যম যাত্রাটি ১৮ জানুয়ারি শেষ হয় বলে উল্লেখ করলেও গার্ডিয়ানের এক লেখায় আওসলন তারিখটা ১৭ জানুয়ারি বলে উল্লেখ করেন।
আওসলন ওই অভিযানকে দেখা হয় কোনো সাহায্য ছাড়া প্রথম একাকী কারও অ্যান্টার্কটিকা বিজয় হিসেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কলিন ও’ব্রেড ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্টার্কটিকা জয়ের পর দাবি করেন, তিনিই প্রথম মানুষ হিসেবে কোনো ধরনের সহায়তা ছাড়া একাকী অ্যান্টার্কটিকা জয় করেন। অনেকে তাঁর দাবিটাকে গুরুত্বও দেন। কারণ তিনি তাঁর স্লেজটা নিজেই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন গোটা যাত্রাপথে। অন্যদিকে আওসলন একটি ঘুড়ি ব্যবহার করে বাতাসের সাহায্যে এগিয়েছিলেন।
অবশ্য আরও নানা ধরনের রেকর্ড আছে রোমাঞ্চপ্রেমী এই মানুষটির ঝুলিতে। ১৯৯০ সালের ৪ মে আর্লিং কগে ও আওলসন বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়া প্রথম মানুষ হিসেবে উত্তর মেরু পৌঁছান। কানাডার এলেসমেরে দ্বীপ থেকে ৮০০ মাইল পথ স্কিইং করে ৫৮ দিনে উত্তর মেরুতে পৌঁছান তাঁরা।
এমন মানুষের বিয়েটা তো অন্যদের মতো হতে পারে না, কি বলেন? ২০১২ সালে বিয়ে করেন তিনি, উত্তর মেরুতে। অবশ্য এ যাত্রায় ২০-৩০ জন সঙ্গী-সাথিও ও কনে হেগে আওসলেনসহ উত্তর মেরু পৌঁছেছিলেন হেলিকপ্টারে।
সূত্র: গার্ডিয়ান, ডিসকভারি. কম, উইকিপিডিয়া
ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারাবিরোধী পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে অন্যতম একজন কবি ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে। তাঁর পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন দার্শনিক। আর স্ত্রী ছিলেন প্রসিদ্ধ গায়িকা রাজেশ্বরী বাসুদেব।
১ দিন আগেসিলভিয়া প্লাথ ছিলেন একজন মার্কিন কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি নারীবাদী কবি হিসেবেও পরিচিত। পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং নারীর পরিচয়-সংকট নিয়ে তিনি তাঁর কবিতায় সাজিয়েছেন স্পষ্টভাবে।
৪ দিন আগেবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি কৌতুকমিশ্রিত গল্পের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। নামের মিল থাকলেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তিনি কিন্তু আলাদা ব্যক্তি।
৭ দিন আগেপেলে ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকা। তিনি ১ হাজার ২৮১ গোলের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন পায়ের জাদুতে। তাঁর আসল নাম এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো।
৮ দিন আগে