সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
৪ ঘণ্টা আগেত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারাবিরোধী পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে অন্যতম একজন কবি ছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর জন্ম ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে। তাঁর পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন একজন দার্শনিক। আর স্ত্রী ছিলেন প্রসিদ্ধ গায়িকা রাজেশ্বরী বাসুদেব।
১ দিন আগেসিলভিয়া প্লাথ ছিলেন একজন মার্কিন কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি নারীবাদী কবি হিসেবেও পরিচিত। পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং নারীর পরিচয়-সংকট নিয়ে তিনি তাঁর কবিতায় সাজিয়েছেন স্পষ্টভাবে।
৪ দিন আগেবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি কৌতুকমিশ্রিত গল্পের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। নামের মিল থাকলেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তিনি কিন্তু আলাদা ব্যক্তি।
৭ দিন আগে