সম্পাদকীয়
‘টনসিল’ নাটকটা লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। ভাবছেন, ‘বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে গিয়ে ভুল করে মুখোপাধ্যায় বলে ফেলেছি? মোটেই না। যাঁরা তাঁর সম্পর্কে কম জানেন, তাঁরা একটু খোঁজ নিলেই জানবেন, বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় পাণ্ডুল গ্রামে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক যথেষ্ট এলেমদার। তাঁর লেখা গল্প ‘রানুর প্রথমভাগ’ আর ‘নীলাঙ্গুরীয়’ যথেষ্ট নাম করেছিল।
তপন সিংহের ‘অঙ্কুশ’ সিনেমাটা ফ্লপ। এরপর শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণা’ গল্পটি নিয়ে তিনি ‘উপহার’ নামে করলেন একটি ছবি। তাতে ছিলেন উত্তমকুমার আর সাবিত্রী। এরপরই তিনি ভাবলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ‘টনসিল’ নিয়ে ছবি করবেন। একটি পোস্টকার্ড লিখে বিভূতিবাবুর কাছে পাঠিয়ে ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণিতে করে দ্বারভাঙ্গায় গেলেন স্ক্রিপ্ট শোনাতে। বলে রাখি, ‘বরযাত্রী’ গল্পের গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে গুপ্ত তখন রসসাহিত্যের পরিচিত চরিত্র। তাঁরাই আছেন ‘টনসিল’-এ।
রেলস্টেশনে স্বয়ং বিভূতিবাবু এলেন। তাঁর আতিথেয়তা অতুলনীয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাওয়ার ওপরই ছিলেন তপন সিংহ। তারপর বসলেন চিত্রনাট্য শোনাতে। তপন সিংহ পড়ে শোনাচ্ছেন। বিভূতিবাবু শুনছেন। অন্য কেউ হলে হাসতে হাসতে পেটে খিল পড়ে যেত। কিন্তু বিভূতিবাবু শুনছেন গম্ভীর মুখে। তাতে তপন সিংহের অস্বস্তি হচ্ছে। এই স্ক্রিপ্ট যখন স্টুডিওতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর গাঙ্গুলিদের শুনিয়েছিলেন, তখন তাঁরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পড়ে শোনানোর সময়টিতে বিভূতিবাবু গম্ভীর। তপন সিংহ ভাবলেন, তাহলে বুঝি সিনেমা করার অনুমতি মিলছে না। ঠিক এ সময় একটি শিশু এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিভূতিবাবুর কোলে। বলল, ‘দাদু, একটা বেলুন দাও।’
বিভূতিবাবু বললেন, ‘আর পারি না। সকাল থেকে চারটা বেলুন ফাটালে।’ এবার তপন সিংহ বললেন, ‘হাসির স্ক্রিপ্ট শুনে আপনি হাসছেন না!’
বিভূতিবাবু বললেন, ‘বেশ ভালো লাগছে। পড়ুন।’
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর দেশ পত্রিকায় চলচ্চিত্র সমালোচক পঙ্কজ দত্ত লিখেছিলেন, ‘হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়, এমনই নির্ভেজাল হাসির ছবি।’
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৬
‘টনসিল’ নাটকটা লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। ভাবছেন, ‘বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে গিয়ে ভুল করে মুখোপাধ্যায় বলে ফেলেছি? মোটেই না। যাঁরা তাঁর সম্পর্কে কম জানেন, তাঁরা একটু খোঁজ নিলেই জানবেন, বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় পাণ্ডুল গ্রামে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক যথেষ্ট এলেমদার। তাঁর লেখা গল্প ‘রানুর প্রথমভাগ’ আর ‘নীলাঙ্গুরীয়’ যথেষ্ট নাম করেছিল।
তপন সিংহের ‘অঙ্কুশ’ সিনেমাটা ফ্লপ। এরপর শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণা’ গল্পটি নিয়ে তিনি ‘উপহার’ নামে করলেন একটি ছবি। তাতে ছিলেন উত্তমকুমার আর সাবিত্রী। এরপরই তিনি ভাবলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ‘টনসিল’ নিয়ে ছবি করবেন। একটি পোস্টকার্ড লিখে বিভূতিবাবুর কাছে পাঠিয়ে ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণিতে করে দ্বারভাঙ্গায় গেলেন স্ক্রিপ্ট শোনাতে। বলে রাখি, ‘বরযাত্রী’ গল্পের গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে গুপ্ত তখন রসসাহিত্যের পরিচিত চরিত্র। তাঁরাই আছেন ‘টনসিল’-এ।
রেলস্টেশনে স্বয়ং বিভূতিবাবু এলেন। তাঁর আতিথেয়তা অতুলনীয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাওয়ার ওপরই ছিলেন তপন সিংহ। তারপর বসলেন চিত্রনাট্য শোনাতে। তপন সিংহ পড়ে শোনাচ্ছেন। বিভূতিবাবু শুনছেন। অন্য কেউ হলে হাসতে হাসতে পেটে খিল পড়ে যেত। কিন্তু বিভূতিবাবু শুনছেন গম্ভীর মুখে। তাতে তপন সিংহের অস্বস্তি হচ্ছে। এই স্ক্রিপ্ট যখন স্টুডিওতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর গাঙ্গুলিদের শুনিয়েছিলেন, তখন তাঁরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পড়ে শোনানোর সময়টিতে বিভূতিবাবু গম্ভীর। তপন সিংহ ভাবলেন, তাহলে বুঝি সিনেমা করার অনুমতি মিলছে না। ঠিক এ সময় একটি শিশু এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিভূতিবাবুর কোলে। বলল, ‘দাদু, একটা বেলুন দাও।’
বিভূতিবাবু বললেন, ‘আর পারি না। সকাল থেকে চারটা বেলুন ফাটালে।’ এবার তপন সিংহ বললেন, ‘হাসির স্ক্রিপ্ট শুনে আপনি হাসছেন না!’
বিভূতিবাবু বললেন, ‘বেশ ভালো লাগছে। পড়ুন।’
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর দেশ পত্রিকায় চলচ্চিত্র সমালোচক পঙ্কজ দত্ত লিখেছিলেন, ‘হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়, এমনই নির্ভেজাল হাসির ছবি।’
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৫৪-৫৬
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগে