সম্পাদকীয়
জ্যঁ পল সার্ত্র ছিলেন অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, চিন্তানায়ক ও প্রথাবিরোধী লেখক। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের জন্য।
সার্ত্রের জন্ম ১৯০৫ সালের ২১ জুন ফ্রান্সের প্যারিসে। স্থানীয় স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করে তিনি একোলি নরমাল সুপেরিয়র কলেজে ভর্তি হন উচ্চশিক্ষার জন্য। এখান থেকে তিনি দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তত দিনে তিনি ইমানুয়েল কান্ট, হাইডেগার,
হেগেল ও দেকার্তের লেখা পড়ে ফেলেন এবং তাঁদের চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হন।
১৯২৯ সালে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বিখ্যাত নারীবাদী লেখক সিমন দ্য বোভোঁয়ার, যার সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় ছিল সার্ত্রের। সার্ত্র ১৯২৯ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত মিসর, গ্রিস, ইতালি ও জার্মানি ঘুরে বেড়ান। প্রাচীন সভ্যতার এসব নগরী ঘুরে তিনি দার্শনিক জিজ্ঞাসার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের সন্ধানে ব্যাপৃত থাকেন।
১৯৩৯ সালের দিকে তিনি ফরাসি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এক বছরের মাথায়ই নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে বন্দী হন। প্রায় ৯ মাস বন্দী থাকার পর তাঁর দার্শনিক চিন্তার জন্য নাৎসিরা তাঁকে মুক্তি দেয় এবং একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চালাকালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ ও ‘নো এক্সিট অ্যান্ড থ্রি আদার প্লেস’ প্রকাশিত হয়। ষাটের দশক থেকে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়ান তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
১৯৪৪ সালে প্যারিসে যুদ্ধাবসানের সময় জোরদার লেখনী দিয়ে তাঁর দার্শনিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ পান। তাঁর এসব বক্তৃতা খুবই প্রশংসিত হয় এবং এভাবেই পাশ্চাত্য জগতের দার্শনিক ও চিন্তানায়ক হিসেবে সারা বিশ্বে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৮০ সালের ১৫ এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে জন্মস্থান প্যারিসেই জ্যঁ পল সার্ত্রের জীবনাবসান ঘটে।
জ্যঁ পল সার্ত্র ছিলেন অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, চিন্তানায়ক ও প্রথাবিরোধী লেখক। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের জন্য।
সার্ত্রের জন্ম ১৯০৫ সালের ২১ জুন ফ্রান্সের প্যারিসে। স্থানীয় স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করে তিনি একোলি নরমাল সুপেরিয়র কলেজে ভর্তি হন উচ্চশিক্ষার জন্য। এখান থেকে তিনি দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তত দিনে তিনি ইমানুয়েল কান্ট, হাইডেগার,
হেগেল ও দেকার্তের লেখা পড়ে ফেলেন এবং তাঁদের চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হন।
১৯২৯ সালে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বিখ্যাত নারীবাদী লেখক সিমন দ্য বোভোঁয়ার, যার সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় ছিল সার্ত্রের। সার্ত্র ১৯২৯ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত মিসর, গ্রিস, ইতালি ও জার্মানি ঘুরে বেড়ান। প্রাচীন সভ্যতার এসব নগরী ঘুরে তিনি দার্শনিক জিজ্ঞাসার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের সন্ধানে ব্যাপৃত থাকেন।
১৯৩৯ সালের দিকে তিনি ফরাসি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এক বছরের মাথায়ই নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে বন্দী হন। প্রায় ৯ মাস বন্দী থাকার পর তাঁর দার্শনিক চিন্তার জন্য নাৎসিরা তাঁকে মুক্তি দেয় এবং একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চালাকালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বিং অ্যান্ড নাথিংনেস’ ও ‘নো এক্সিট অ্যান্ড থ্রি আদার প্লেস’ প্রকাশিত হয়। ষাটের দশক থেকে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়ান তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
১৯৪৪ সালে প্যারিসে যুদ্ধাবসানের সময় জোরদার লেখনী দিয়ে তাঁর দার্শনিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ পান। তাঁর এসব বক্তৃতা খুবই প্রশংসিত হয় এবং এভাবেই পাশ্চাত্য জগতের দার্শনিক ও চিন্তানায়ক হিসেবে সারা বিশ্বে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৮০ সালের ১৫ এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে জন্মস্থান প্যারিসেই জ্যঁ পল সার্ত্রের জীবনাবসান ঘটে।
আবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
১ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগেমাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
৩ দিন আগে