অনলাইন ডেস্ক
ফরাসি সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট ছিলেন ষোড়শ লুই। ফরাসি বিপ্লবের ফলাফল হিসেবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে ফ্রান্সে। বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর প্যারিসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ফরাসি লুইয়ের। সেটি ছিল ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি।
১৭৭৪ সালে ফরাসি সিংহাসনে আরোহণ করেন লুই। তবে দাদা পঞ্চদশ লুইয়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া গুরুতর আর্থিক সমস্যা গুলি মোকাবিলা করতে শুরু থেকেই ব্যর্থ হন তিনি।
ফরাসি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও সংস্কারেও ষোড়শ লুই ব্যর্থ ছিলেন। এই সুযোগের ফরাসি সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অভিজাতরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার ও শোষণ চালায়। ফ্রান্সের যেসব অভিজাতরা বিদেশে পালিয়েছিলেন তাঁদের সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে ষোড়শ লুইয়ের বিরুদ্ধে।
যদিও বাহ্যিকভাবে বিপ্লবকে মেনে নিয়েছিলেন, লুই ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্রবাদী’দের পরামর্শের বিরোধিতা করেন। রাজতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য সংস্কার করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে তিনি অজনপ্রিয় রানি ফ্রান্সের রানি মেরি অঁতোয়ানেৎ-র চক্রান্তকে অনুমোদন দেন। ১৭৮৯ সালের অক্টোবরে, জনতা ভার্সাইতে বিক্ষোভ করে এবং দম্পতিকে তুইলারিতে চলে যেতে বাধ্য করে।
১৭৯১ সালের জুনে রাজা-রানির বিরোধিতা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে দুজন অস্ট্রিয়ায় পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের ভ্রমণের সময়, মেরি এবং লুই ফ্রান্সের ভাহেনে ধরা পড়েন। তাঁদের প্যারিসে নিয়ে যায় বিপ্লবীরা। সেখানে, লুইকে নতুন সংবিধান মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। এতে সে অর্থে রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো ক্ষমতাই আর তাঁর হাতে ছিল না।
১৭৯২ সালের আগস্টে রাজা ও রানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭৯২ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যাশনাল কনভেনশন বা জাতীয় সম্মেলনে রাজতন্ত্র পতনের পক্ষে ভোট পড়ে। এভাবেই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে দেশটিতে।
নভেম্বরে, অস্ট্রিয়া এবং অন্যান্য বিদেশি দেশগুলির সঙ্গে ষোড়শ লুইয়ের বিপ্লববিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলে এবং তাঁকে জাতীয় কনভেনশন দ্বারা রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয় তাঁকে।
পরের বছরের অর্থাৎ ১৭৯৩ সালের জানুয়ারিতে, লুইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি গিলোটিনে শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তাঁর। নয় মাস পরে, মেরি অঁতোয়ানেৎকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৬ অক্টোবর স্বামীর মতোই গিলোটিনে শিরশ্ছেদ করা হয়।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
ফরাসি সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট ছিলেন ষোড়শ লুই। ফরাসি বিপ্লবের ফলাফল হিসেবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে ফ্রান্সে। বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর প্যারিসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ফরাসি লুইয়ের। সেটি ছিল ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি।
১৭৭৪ সালে ফরাসি সিংহাসনে আরোহণ করেন লুই। তবে দাদা পঞ্চদশ লুইয়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া গুরুতর আর্থিক সমস্যা গুলি মোকাবিলা করতে শুরু থেকেই ব্যর্থ হন তিনি।
ফরাসি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও সংস্কারেও ষোড়শ লুই ব্যর্থ ছিলেন। এই সুযোগের ফরাসি সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অভিজাতরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার ও শোষণ চালায়। ফ্রান্সের যেসব অভিজাতরা বিদেশে পালিয়েছিলেন তাঁদের সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে ষোড়শ লুইয়ের বিরুদ্ধে।
যদিও বাহ্যিকভাবে বিপ্লবকে মেনে নিয়েছিলেন, লুই ‘সাংবিধানিক রাজতন্ত্রবাদী’দের পরামর্শের বিরোধিতা করেন। রাজতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য সংস্কার করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে তিনি অজনপ্রিয় রানি ফ্রান্সের রানি মেরি অঁতোয়ানেৎ-র চক্রান্তকে অনুমোদন দেন। ১৭৮৯ সালের অক্টোবরে, জনতা ভার্সাইতে বিক্ষোভ করে এবং দম্পতিকে তুইলারিতে চলে যেতে বাধ্য করে।
১৭৯১ সালের জুনে রাজা-রানির বিরোধিতা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে দুজন অস্ট্রিয়ায় পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের ভ্রমণের সময়, মেরি এবং লুই ফ্রান্সের ভাহেনে ধরা পড়েন। তাঁদের প্যারিসে নিয়ে যায় বিপ্লবীরা। সেখানে, লুইকে নতুন সংবিধান মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। এতে সে অর্থে রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো ক্ষমতাই আর তাঁর হাতে ছিল না।
১৭৯২ সালের আগস্টে রাজা ও রানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭৯২ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যাশনাল কনভেনশন বা জাতীয় সম্মেলনে রাজতন্ত্র পতনের পক্ষে ভোট পড়ে। এভাবেই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে দেশটিতে।
নভেম্বরে, অস্ট্রিয়া এবং অন্যান্য বিদেশি দেশগুলির সঙ্গে ষোড়শ লুইয়ের বিপ্লববিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলে এবং তাঁকে জাতীয় কনভেনশন দ্বারা রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয় তাঁকে।
পরের বছরের অর্থাৎ ১৭৯৩ সালের জানুয়ারিতে, লুইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি গিলোটিনে শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তাঁর। নয় মাস পরে, মেরি অঁতোয়ানেৎকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৬ অক্টোবর স্বামীর মতোই গিলোটিনে শিরশ্ছেদ করা হয়।
সূত্র: হিস্টরি চ্যানেল, উইকিপিডিয়া
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
১ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
২ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৩ দিন আগে