সম্পাদকীয়
লুই বুনুয়েল ছিলেন স্প্যানিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন ছিলেন। তাঁর পুরো নাম লুই বুনুয়েল পোর্টোলেস।
লুই বুনুয়েল ১৯০০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্পেনের তেরুয়েল রাজ্যের ছোট এক শহর কালান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। যৌবনে বুনুয়েল গভীরভাবে ধর্মচর্চা করতেন। কিন্তু একসময় তিনি চার্চের অযৌক্তিকতার প্রতি বিতৃষ্ণাবোধ করেন।
লুই বুনুয়েল ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত মাদ্রিদের রেসিদেন্সিয়া দে এস্তদিয়ান্তেসে পড়াশোনা করেন। ১৯২২ সালের শুরু থেকে তিনি নিজেকে সাহিত্যের সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত করে ফেলেন এবং নানা পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। ১৯২৪ সালে তিনি মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৫ সালে জ্যাঁ এপস্তারের আমন্ত্রণে তাঁর ছবির সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য ফ্রান্সের প্যারিসে চলে যান। এ সময় তিনি জড়িত হন সেই সময়কার স্প্যানিশ কবিদের দল ‘লা জেনারেশন ডেল ২৭’-এর সঙ্গে। এ দলেই তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় কবি ফেদেরিকা গার্সিয়া লোরকা, র্যামন গমেজ ভিলাসেরনসে, আলবেরতি, সালভাদর দালিসহ তখনকার স্পেনের তরুণ সৃজনশীল কবি ও শিল্পীদের সঙ্গে। সে সময় লোরকা ও দালির সঙ্গে বন্ধুত্ব বুনুয়েলের জীবন ও ক্যারিয়ারকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
বুনুয়েল নির্মিত ‘বিউটি অব দ্য ডে’, ‘দ্য গোল্ডেন এজ’ অন্যতম সিনেমা। তাঁর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বুর্জোয়া সমাজের মুখোশের স্বরূপ উন্মোচন। একজন সাহসী শিল্পীর মতোই লুই বুনুয়েল আধুনিক বিশ্বের বুর্জোয়া শ্রেণির সব ধরনের কৃত্রিম নৈতিকতার মুখোশটা বারবার টেনেহিঁচড়ে খুলে দিয়েছেন সিনেমার মাধ্যমে। বাইরে থেকে আমরা যে সভ্যসমাজকে দেখি, বুনুয়েলের মতে, সেটা হচ্ছে আপাতপরিচ্ছন্ন পোশাকে আবৃত একদল কুৎসিত মানুষের আবাস। অথচ এর অন্তরালে রয়েছে অত্যাচার, দুর্দশা, নিরাশা, অসারতা আর এলিট মানুষের অমার্জিত আচরণ। আর তারই তলায় রয়েছে অবহেলিত দরিদ্র মানুষের ক্ষুধার তাড়না, দুর্ভোগের যন্ত্রণা।
বিশ্বখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৮৩ সালের ২৯ জুলাই মেক্সিকো সিটিতে মৃত্যুবরণ করেন।
লুই বুনুয়েল ছিলেন স্প্যানিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন ছিলেন। তাঁর পুরো নাম লুই বুনুয়েল পোর্টোলেস।
লুই বুনুয়েল ১৯০০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্পেনের তেরুয়েল রাজ্যের ছোট এক শহর কালান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। যৌবনে বুনুয়েল গভীরভাবে ধর্মচর্চা করতেন। কিন্তু একসময় তিনি চার্চের অযৌক্তিকতার প্রতি বিতৃষ্ণাবোধ করেন।
লুই বুনুয়েল ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত মাদ্রিদের রেসিদেন্সিয়া দে এস্তদিয়ান্তেসে পড়াশোনা করেন। ১৯২২ সালের শুরু থেকে তিনি নিজেকে সাহিত্যের সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত করে ফেলেন এবং নানা পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। ১৯২৪ সালে তিনি মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৫ সালে জ্যাঁ এপস্তারের আমন্ত্রণে তাঁর ছবির সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য ফ্রান্সের প্যারিসে চলে যান। এ সময় তিনি জড়িত হন সেই সময়কার স্প্যানিশ কবিদের দল ‘লা জেনারেশন ডেল ২৭’-এর সঙ্গে। এ দলেই তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় কবি ফেদেরিকা গার্সিয়া লোরকা, র্যামন গমেজ ভিলাসেরনসে, আলবেরতি, সালভাদর দালিসহ তখনকার স্পেনের তরুণ সৃজনশীল কবি ও শিল্পীদের সঙ্গে। সে সময় লোরকা ও দালির সঙ্গে বন্ধুত্ব বুনুয়েলের জীবন ও ক্যারিয়ারকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
বুনুয়েল নির্মিত ‘বিউটি অব দ্য ডে’, ‘দ্য গোল্ডেন এজ’ অন্যতম সিনেমা। তাঁর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বুর্জোয়া সমাজের মুখোশের স্বরূপ উন্মোচন। একজন সাহসী শিল্পীর মতোই লুই বুনুয়েল আধুনিক বিশ্বের বুর্জোয়া শ্রেণির সব ধরনের কৃত্রিম নৈতিকতার মুখোশটা বারবার টেনেহিঁচড়ে খুলে দিয়েছেন সিনেমার মাধ্যমে। বাইরে থেকে আমরা যে সভ্যসমাজকে দেখি, বুনুয়েলের মতে, সেটা হচ্ছে আপাতপরিচ্ছন্ন পোশাকে আবৃত একদল কুৎসিত মানুষের আবাস। অথচ এর অন্তরালে রয়েছে অত্যাচার, দুর্দশা, নিরাশা, অসারতা আর এলিট মানুষের অমার্জিত আচরণ। আর তারই তলায় রয়েছে অবহেলিত দরিদ্র মানুষের ক্ষুধার তাড়না, দুর্ভোগের যন্ত্রণা।
বিশ্বখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৮৩ সালের ২৯ জুলাই মেক্সিকো সিটিতে মৃত্যুবরণ করেন।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৬ ঘণ্টা আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
২ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৩ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৫ দিন আগে