সম্পাদকীয়
উপন্যাস কখনোই চীনে একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়নি। চীনা ঔপন্যাসিকেরাও কখনো নিজেদের শিল্পী হিসেবে দেখেননি। চীনা উপন্যাস ইতিহাস, পরিধি আর মানুষের হৃদয়ে এর অবস্থান—সবকিছুকেই বিবেচনা করতে হবে এই সত্য মাথায় রেখে। কোনো সন্দেহ নেই, এই সত্য আপনাদের কাছে অভিনব, পাশ্চাত্যের যেসব পণ্ডিত উপন্যাসকে প্রগতিশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন, তাঁদের জন্য তো বটেই।
চীনে সব সময়ই উপন্যাস ও শিল্প দুটি আলাদা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার যে ব্যাপারটা, সেটা ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের জন্য সেখানে কোনো জায়গা ছিল না। কিছু সনাতন, স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলেন দর্শন, ধর্ম আর সাহিত্যের নানা কিছু। শিল্পের সব উপকরণই ছিল তাঁদের দখলে, ফলে লেখাপড়াটাও জানতেন শুধু তাঁরাই। এই ক্ষমতাবান বিদ্বানদের মাঝে মাঝে সম্রাট পর্যন্ত ভয় পেতেন আর এ কারণেই তাঁদের নিজেদের কাজে আবদ্ধ রাখার একটি পথও তাঁরা বের করে ফেলেন—রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জনের একমাত্র পথ হিসেবে কিছু ভয়াবহ কঠিন পরীক্ষার প্রবর্তন করেন। এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কাজটি একজন মানুষের সমস্ত জীবন আর চিন্তা নিঃশেষ করার জন্য যথেষ্ট। ফলে সে সময় চীনের এই পণ্ডিতদের দেখা গেল বর্তমান সময় আর গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য দিনরাত নাক ডুবিয়ে মুখস্থ করছেন সনাতন আর নির্জীব অতীত। আর সেই অতীত ঘেঁটেই তৈরি করেছেন তাঁদের শিল্পের নিয়মগুলো, যেখানে উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই।
ফলে চোখের সামনে সাধারণ জনগণের মধ্যে উপন্যাসের জন্ম এই বিদ্বানদের চোখে পড়ল না, সাহিত্যকে বায়বীয় শিল্প জ্ঞান করে তাঁরা বসে রইলেন সেই নির্জীব অতীতেই। পণ্ডিতদের নিয়ে তাই সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য রঙ্গ-কৌতুক।
পার্ল এস. বাক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ১৯৩৮ সালে।
উপন্যাস কখনোই চীনে একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়নি। চীনা ঔপন্যাসিকেরাও কখনো নিজেদের শিল্পী হিসেবে দেখেননি। চীনা উপন্যাস ইতিহাস, পরিধি আর মানুষের হৃদয়ে এর অবস্থান—সবকিছুকেই বিবেচনা করতে হবে এই সত্য মাথায় রেখে। কোনো সন্দেহ নেই, এই সত্য আপনাদের কাছে অভিনব, পাশ্চাত্যের যেসব পণ্ডিত উপন্যাসকে প্রগতিশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন, তাঁদের জন্য তো বটেই।
চীনে সব সময়ই উপন্যাস ও শিল্প দুটি আলাদা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার যে ব্যাপারটা, সেটা ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের জন্য সেখানে কোনো জায়গা ছিল না। কিছু সনাতন, স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলেন দর্শন, ধর্ম আর সাহিত্যের নানা কিছু। শিল্পের সব উপকরণই ছিল তাঁদের দখলে, ফলে লেখাপড়াটাও জানতেন শুধু তাঁরাই। এই ক্ষমতাবান বিদ্বানদের মাঝে মাঝে সম্রাট পর্যন্ত ভয় পেতেন আর এ কারণেই তাঁদের নিজেদের কাজে আবদ্ধ রাখার একটি পথও তাঁরা বের করে ফেলেন—রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জনের একমাত্র পথ হিসেবে কিছু ভয়াবহ কঠিন পরীক্ষার প্রবর্তন করেন। এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কাজটি একজন মানুষের সমস্ত জীবন আর চিন্তা নিঃশেষ করার জন্য যথেষ্ট। ফলে সে সময় চীনের এই পণ্ডিতদের দেখা গেল বর্তমান সময় আর গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য দিনরাত নাক ডুবিয়ে মুখস্থ করছেন সনাতন আর নির্জীব অতীত। আর সেই অতীত ঘেঁটেই তৈরি করেছেন তাঁদের শিল্পের নিয়মগুলো, যেখানে উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই।
ফলে চোখের সামনে সাধারণ জনগণের মধ্যে উপন্যাসের জন্ম এই বিদ্বানদের চোখে পড়ল না, সাহিত্যকে বায়বীয় শিল্প জ্ঞান করে তাঁরা বসে রইলেন সেই নির্জীব অতীতেই। পণ্ডিতদের নিয়ে তাই সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য রঙ্গ-কৌতুক।
পার্ল এস. বাক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ১৯৩৮ সালে।
অঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
১ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
২ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
৩ দিন আগে