সম্পাদকীয়
ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী, আজীবন বিপ্লবী এবং শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা অনিল মুখার্জি। তাঁর জন্ম ঢাকার মুন্সিগঞ্জে। ১৯৩০ সালে কলেজে পড়ার সময় কংগ্রেসের আইন অমান্য করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রথম গ্রেপ্তার হন। এরপর তাঁকে আন্দামান জেলে পাঠানো হয়। এখানে থাকাকালে তিনি মার্ক্সবাদে আকৃষ্ট হন।
১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়েই অনিল মুখার্জি কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৯৪৬ সালে নারায়ণগঞ্জের সুতাকলশ্রমিকদের ঐতিহাসিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দেশভাগের পর আবারও তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৫৫ সালে মুক্তি পান।
১৯৫৬ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির (গোপন) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান আমলে প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকায় তিনি আত্মগোপনে থেকে পার্টিতে সক্রিয় থাকেন। অনিল মুখার্জি ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল—টানা ১৭ বছর আত্মগোপনে থাকেন। ১৯৬৯ সালে মস্কোয় অনুষ্ঠিত বিশ্বের ৭৫টি দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন।
অনিল মুখার্জি ১৯৫৬ সালে কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় সম্মেলনে (গোপনে অনুষ্ঠিত) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে পার্টির প্রথম কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ ও ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় কংগ্রেসে পুনরায় তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
অনিল মুখার্জি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন লেখালেখিতেও। তিনি সাপ্তাহিক একতা, দৈনিক সংবাদসহ আরও বেশ কিছু পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। পাকিস্তান আমলে গোপন কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক মুখপত্র ‘শিখা’য় তিনি ‘আলীম’ ছদ্মনামে লিখতেন। তাঁর লিখিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘সাম্যবাদের ভূমিকা’, ‘শ্রমিক আন্দোলনের হাতেখড়ি’, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সংগ্রামের পটভূমি’ এবং ছোটদের জন্য লেখা ‘হারানো খোকা’।
অকৃতদার এই কমিউনিস্ট নেতা ১৯৮২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী, আজীবন বিপ্লবী এবং শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা অনিল মুখার্জি। তাঁর জন্ম ঢাকার মুন্সিগঞ্জে। ১৯৩০ সালে কলেজে পড়ার সময় কংগ্রেসের আইন অমান্য করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রথম গ্রেপ্তার হন। এরপর তাঁকে আন্দামান জেলে পাঠানো হয়। এখানে থাকাকালে তিনি মার্ক্সবাদে আকৃষ্ট হন।
১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়েই অনিল মুখার্জি কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৯৪৬ সালে নারায়ণগঞ্জের সুতাকলশ্রমিকদের ঐতিহাসিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দেশভাগের পর আবারও তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৫৫ সালে মুক্তি পান।
১৯৫৬ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির (গোপন) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান আমলে প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকায় তিনি আত্মগোপনে থেকে পার্টিতে সক্রিয় থাকেন। অনিল মুখার্জি ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল—টানা ১৭ বছর আত্মগোপনে থাকেন। ১৯৬৯ সালে মস্কোয় অনুষ্ঠিত বিশ্বের ৭৫টি দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন।
অনিল মুখার্জি ১৯৫৬ সালে কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় সম্মেলনে (গোপনে অনুষ্ঠিত) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে পার্টির প্রথম কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ ও ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় কংগ্রেসে পুনরায় তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।
অনিল মুখার্জি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন লেখালেখিতেও। তিনি সাপ্তাহিক একতা, দৈনিক সংবাদসহ আরও বেশ কিছু পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন। পাকিস্তান আমলে গোপন কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক মুখপত্র ‘শিখা’য় তিনি ‘আলীম’ ছদ্মনামে লিখতেন। তাঁর লিখিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘সাম্যবাদের ভূমিকা’, ‘শ্রমিক আন্দোলনের হাতেখড়ি’, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সংগ্রামের পটভূমি’ এবং ছোটদের জন্য লেখা ‘হারানো খোকা’।
অকৃতদার এই কমিউনিস্ট নেতা ১৯৮২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৯ ঘণ্টা আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
১ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
২ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
২ দিন আগে