সম্পাদকীয়
কবি বিনয় মজুমদার তাঁর বাবার কর্মস্থল মিয়ানমারের মিকটিলা জেলার টোডো শহরে ১৯৩৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে বাংলায় পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় চলে আসেন পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের বৌলতলী গ্রামে। ১২ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার শিমুলপুরে। বরাবরই মেধাবী ছিলেন। কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নক্ষত্রের আলোয়’। তিনি ‘ফিরে এসো চাকা’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
বিনয় মজুমদারকে বলা হয় জীবনানন্দ-উত্তর বাংলা কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। ১৯৬২-৬৩ সালে তিনি হাংরি আন্দোলনে যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনের চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু একসময় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে শুধু কবিতায় মন-প্রাণ ঢেলে দেন।
জীবনের একটা পর্যায়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন একতরফা ব্যর্থ প্রেমের কারণে। তিনি ভালোবেসেছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের তৎকালীন মেধাবী মুখ গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে। যিনি এখন পাশ্চাত্যের উত্তর ঔপনিবেশিক তাত্ত্বিক হিসেবে সুপরিচিত। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেও গায়ত্রীর প্রতি বিনয়ের সমান প্রেমানুভূতি ছিল। এটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এক কবিতায় এভাবে—‘আমরা দু’জনে মিলে জিতে গেছি বহুদিন হলো।/তোমার গায়ের রঙ এখনো আগের মতো, তবে তুমি আর হিন্দু নেই, খ্রিস্টান হয়েছো/তুমি আর আমি কিন্তু দু’জনেই বুড়ো হয়ে গেছি।’
বিনয়ের কবিতার বই বিক্রি করে একদিকে প্রকাশক লাভ করছেন, অন্যদিকে অর্থের অভাবে জীবনের শেষ পর্যায়ে অবিবাহিত বিনয়ের দিন কেটেছে চব্বিশ পরগনার ঠাকুর নগরের এক দরিদ্র ফুলবিক্রেতার সংসারে। এ জন্য তাঁকে কেউ কেউ ‘কবিতার শহীদ’ও বলে থাকেন।
ঠাকুর নগরে তিনি ২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
কবি বিনয় মজুমদার তাঁর বাবার কর্মস্থল মিয়ানমারের মিকটিলা জেলার টোডো শহরে ১৯৩৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে বাংলায় পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় চলে আসেন পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের বৌলতলী গ্রামে। ১২ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার শিমুলপুরে। বরাবরই মেধাবী ছিলেন। কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নক্ষত্রের আলোয়’। তিনি ‘ফিরে এসো চাকা’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
বিনয় মজুমদারকে বলা হয় জীবনানন্দ-উত্তর বাংলা কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। ১৯৬২-৬৩ সালে তিনি হাংরি আন্দোলনে যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনের চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু একসময় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে শুধু কবিতায় মন-প্রাণ ঢেলে দেন।
জীবনের একটা পর্যায়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন একতরফা ব্যর্থ প্রেমের কারণে। তিনি ভালোবেসেছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের তৎকালীন মেধাবী মুখ গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে। যিনি এখন পাশ্চাত্যের উত্তর ঔপনিবেশিক তাত্ত্বিক হিসেবে সুপরিচিত। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেও গায়ত্রীর প্রতি বিনয়ের সমান প্রেমানুভূতি ছিল। এটা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এক কবিতায় এভাবে—‘আমরা দু’জনে মিলে জিতে গেছি বহুদিন হলো।/তোমার গায়ের রঙ এখনো আগের মতো, তবে তুমি আর হিন্দু নেই, খ্রিস্টান হয়েছো/তুমি আর আমি কিন্তু দু’জনেই বুড়ো হয়ে গেছি।’
বিনয়ের কবিতার বই বিক্রি করে একদিকে প্রকাশক লাভ করছেন, অন্যদিকে অর্থের অভাবে জীবনের শেষ পর্যায়ে অবিবাহিত বিনয়ের দিন কেটেছে চব্বিশ পরগনার ঠাকুর নগরের এক দরিদ্র ফুলবিক্রেতার সংসারে। এ জন্য তাঁকে কেউ কেউ ‘কবিতার শহীদ’ও বলে থাকেন।
ঠাকুর নগরে তিনি ২০০৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
২ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৬ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
১৭ দিন আগে