রহমান মৃধা

জন্মের পর বেড়ে ওঠাটা সঠিকভাবে না হয়, পরে কি তা ঠিক করা সম্ভব? এর উত্তর পেতে জানতে হবে সঠিকভাবে গড়ে না ওঠা বলতে কী বোঝায়?
কেউ দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠে; তার গড়ে ওঠার মধ্যে থাকে দারিদ্র্যের কারণে সৃষ্ট নানা বাস্তবতার ছাপ। কেউ-বা বাবা-মা ছাড়া গড়ে ওঠে, কেউ অসৎ বা দুর্নীতির মধ্যে গড় ওঠে, আবার অনেকে সুন্দর পরিবেশে গড়ে ওঠে। হতে পারে কারও জীবনে সুশিক্ষার অভাব আছে। আবার সবকিছুর মিশ্রণেও গড়ে ওঠে কেউ কেউ। মোটাদাগে জীবনের শুরুতে কম-বেশি সবকিছুতেই ভালো-মন্দের মিশ্রণ থাকে। জীবন ফুলশয্যা নয়। তাই এই সঠিকভাবে গড়ে ওঠার কোনো সুনির্দিষ্ট ধরন নির্ধারণ খুবই কঠিন। তবে একটি উদাহরণ নিয়ে কথাটি এগোনো যেতে পারে।
আজ বাংলাদেশ নয় কথা হবে একজন ইরানি বংশোদ্ভূত সুইডিশ নাগরিককে নিয়ে। ধর্মরাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্রের সংমিশ্রণ ইরানের রাজনীতির একেবারে মূলে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরের সংবিধান এবং ১৯৮৯ সালে এর সংশোধনীতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্রমের সংজ্ঞা রয়েছে। এতে সরাসরি বলা আছে, ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের দ্বাদশ ইমাম মাহদির ধারাই হবে ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এটি এবং সঙ্গে আরও নানা কারণে ইরান ছেড়ে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার ঝোঁক আছে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে।
যে ইরানির কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম আরদালান শেখারাবি; জন্ম ১৯৭৮ সালে নর্থ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে। বেড়ে ওঠেন ইরানে। ১৯৮৯ সালে মায়ের সঙ্গে ইরান ছেড়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন সুইডেনে। শরণার্থী হিসেবে অনুমোদন না পাওয়ায় সুইডেনে একরকম পলাতক জীবনই যাপন করতে হয়েছিল তাঁকে। পরে মানবিক কারণে সুইডিশ অভিবাসন বিভাগ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দেয়।
শিক্ষাজীবনের শুরুতেই ছাত্ররাজনীতিতে আরদালান জড়িয়ে পড়েন। শেষে সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও হন। সে সময় তিনি নানা ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। যেমন, সংগঠনের যে টাকা ব্যয় হওয়ার কথা ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টে, সে টাকা নিজের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করেন। এমনকি ভোট চুরি করে সে নির্বাচনে জয়ী হতে চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সে জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এর জেরে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে ২০০৫ সালে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। পরে আবার একই পদে তিনি ফিরে আসেন ২০১৩ সালে।
শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে সুইডিশ সিভিল মিনিস্টার পদে নিযুক্ত হন আরদালান। তাঁর ক্ষমতাকালে বহু শরণার্থীকে বাধ্য হয়ে সুইডেন ছাড়তে হয়েছে। বর্তমান তিনি সুইডেনের সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স মিনিস্টার। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন আইনজীবী, বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবা। তাঁর স্ত্রী একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
সামাজিক বিমামন্ত্রী হিসেবে আরদালান শেখারাবির নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, যারা সারা জীবন কাজ করে কর দিয়েছেন, তাঁরা যেন যারা কর্মহীন ছিল এবং কর দেয়নি, তাঁদের চেয়ে বেশি পেনশন পান, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। বলা প্রয়োজন, রাষ্ট্রীয় এই সেবা সাধারণত অভিবাসীরাই বেশি নেন।
আরদালান তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জে হয়তো জয়ী হবেন, হয়তো হবেন না। আবার হয়তো কিছুটা এগোবেন, কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন। পুরোটাই নির্ভর করছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কার্যকারিতার ওপর। তবে আমার আলোচনার বিষয় সেটি নয়। আমার মনোযোগ সুইডিশ সিভিল মিনিস্টার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে বহু শরণার্থীর সুইডেন ছাড়তে বাধ্য হওয়ার বিষয়টিতে। কারণ, আরদালান নিজেই এক সময় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন সুইডেনে। চাওয়ামাত্র পাননি। অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি শরণার্থী হিসেবে সুইডেনে তাঁর অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়েছিল। শেষে মানবিক কারণে তিনি সে দেশে থাকার অনুমতি পান । অথচ নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে আসার পর তিনিই শত শত বাবা-মা, পরিবার হারা মানুষকে সুইডেন থেকে বের করে দেন। তাঁর গল্প আসলে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা একজন মানুষেরই গল্প।
যে বিষয়টি আমাকে বেশি অবাক করেছে, সেটা হলো সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আরদালানকেই বেছে নিয়েছে কাজটি করতে। আরদালান শেখারাবি নিজে শরণার্থী হয়ে অন্য শরণার্থীদের সুইডেন থেকে বের করতে দ্বিধা করেননি।
কয়েক দিন আগে সুইডিশ টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরদালানকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি নিজে জানো কী কঠিন অনিশ্চয়তার মধ্যে তোমার জীবন কেটেছিল, যখন তোমার সুইডেনে থাকার কোনো বৈধতা ছিল না। সেই তুমি কীভাবে পারলে সেই একই কাজ করতে?’ আরদালান শেখারাবি উত্তর ছিল, তিনি যা করেছেন, তা সুইডেনের মঙ্গলের জন্যই করেছেন।
তাঁর সাক্ষাৎকার দেখে আমার মনে হলো পৃথিবীতে এমন মানুষের অভাব নেই, যারা ভুলে যায় পরোপকারের কথা, ভুলে যায় অতীত। তাই তো পৃথিবীর অবস্থা এমন! একই সঙ্গে ভাবনায় ঢুকেছে রাজনীতি সত্যিই বড় নিষ্ঠুর এক দুনিয়া, যেখানে নেই কোনো নৈতিকতা; আছে শুধু স্বার্থপরতা। আর একবার সে দুনিয়ায় ঘাঁটি গাড়লে লোকেরা নিজের স্বার্থে সবকিছু করতে পারে। সুইডেনের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আরদালানকে দিয়ে যে কাজগুলো করাচ্ছে, তাতে মনে হলো—তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলছে।
জীবনে অনেক কিছু ফিরে পাওয়া সম্ভব। যেমন অর্থ গেলে অর্থ পাওয়া যায়, স্বাস্থ্য গেলে স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া যায়, চরিত্র গেলে বা দুর্নীতিগ্রস্ত হলেও পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু যদি কেউ স্বার্থপর হয়, তবে সম্ভবত আর ফিরে আসার পথ থাকে না। তারা কখনো ফেরে না।
এ লেখায় আরদালান শেখারাবির ব্যক্তিক জীবন না টানলেও হয়তো হতো। কিন্তু ওই যে শুরুতেই বলেছি, জীবনের শুরুতে গড়ে ওঠার পর্যায়টাই ঠিক করে দেয় মানুষের গতিপথ কোনদিকে হবে। আরদালানের বর্তমান কাজের ফিরিস্তি দিয়ে শুধু নিন্দা করলে তাই আর চুকেবুকে যায় না। ঠিকঠাক বুঝতে হলে তাঁর অতীতটা জানা জরুরি। আমি মূলত তাঁর চরিত্র, তাঁর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জ এবং এসব মিলে তাঁর মানসিক গড়নটির দিকে নজর দিতে চাই। একজনকে স্বার্থপর বা এমন কিছু তো সহজেই বলে দেওয়া যায়। কিন্তু কেন এবং কীভাবে একজন মানুষ এমন হয়—সেদিকেও তো নজর দেওয়া দরকার।
পাঠকেরা মনে করতেই পারেন ধর্ম ও রাজনীতির নামে সৃষ্ট সামাজিক প্রতিষ্ঠান, এগুলোর ভেতরে থাকা নানা বিশৃঙ্খলা এবং ক্ষমতার লোভে নেতাদের দ্বারা সৃষ্ট নিষ্ঠুর কাঠামো ও অবিচারের সংস্কৃতিরই প্রতিফলন আরদালান শেখারাবি। এটা কিছুটা সত্য। আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার ব্যবহার করেছে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। কারণ, তারা জানে আরদালান চাইবেন সুইডিশ রাষ্ট্রের কাছে নিজেকে সঠিক মানুষ হিসেবে প্রমাণ করতে। তাঁর যদি ব্যক্তিগত খুঁত থাকে, তবে এই প্রমাণের চেষ্টা আরও বেশি থাকবে। দুর্নীতির অভিযোগে নিজের সংগঠন থেকে বহিষ্কার হওয়ার আরদালানের সেই খুঁত ছিল। ফলে তাঁকে অনেক বেশি নিজেকে প্রমাণ করতে হচ্ছে। আর এটিই সুইডিশ রাষ্ট্রকাঠামোকে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, আরদালান শরণার্থী-অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি অনেক বেশি নিষ্ঠুর হবেন। তিনি তা হয়েছেনও। নিজের ভিতটিকে টিকিয়ে রাখতে ও আরও মজবুত করতে তিনি স্বার্থপরের মতো আচরণ করছেন। নিষ্ঠুর হচ্ছেন। এমন স্বার্থপর মানুষের নিষ্ঠুরতার গল্প গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে।
লেখক: সুইডেনপ্রবাসী, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার

জন্মের পর বেড়ে ওঠাটা সঠিকভাবে না হয়, পরে কি তা ঠিক করা সম্ভব? এর উত্তর পেতে জানতে হবে সঠিকভাবে গড়ে না ওঠা বলতে কী বোঝায়?
কেউ দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠে; তার গড়ে ওঠার মধ্যে থাকে দারিদ্র্যের কারণে সৃষ্ট নানা বাস্তবতার ছাপ। কেউ-বা বাবা-মা ছাড়া গড়ে ওঠে, কেউ অসৎ বা দুর্নীতির মধ্যে গড় ওঠে, আবার অনেকে সুন্দর পরিবেশে গড়ে ওঠে। হতে পারে কারও জীবনে সুশিক্ষার অভাব আছে। আবার সবকিছুর মিশ্রণেও গড়ে ওঠে কেউ কেউ। মোটাদাগে জীবনের শুরুতে কম-বেশি সবকিছুতেই ভালো-মন্দের মিশ্রণ থাকে। জীবন ফুলশয্যা নয়। তাই এই সঠিকভাবে গড়ে ওঠার কোনো সুনির্দিষ্ট ধরন নির্ধারণ খুবই কঠিন। তবে একটি উদাহরণ নিয়ে কথাটি এগোনো যেতে পারে।
আজ বাংলাদেশ নয় কথা হবে একজন ইরানি বংশোদ্ভূত সুইডিশ নাগরিককে নিয়ে। ধর্মরাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্রের সংমিশ্রণ ইরানের রাজনীতির একেবারে মূলে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরের সংবিধান এবং ১৯৮৯ সালে এর সংশোধনীতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্রমের সংজ্ঞা রয়েছে। এতে সরাসরি বলা আছে, ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের দ্বাদশ ইমাম মাহদির ধারাই হবে ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এটি এবং সঙ্গে আরও নানা কারণে ইরান ছেড়ে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার ঝোঁক আছে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে।
যে ইরানির কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম আরদালান শেখারাবি; জন্ম ১৯৭৮ সালে নর্থ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে। বেড়ে ওঠেন ইরানে। ১৯৮৯ সালে মায়ের সঙ্গে ইরান ছেড়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন সুইডেনে। শরণার্থী হিসেবে অনুমোদন না পাওয়ায় সুইডেনে একরকম পলাতক জীবনই যাপন করতে হয়েছিল তাঁকে। পরে মানবিক কারণে সুইডিশ অভিবাসন বিভাগ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দেয়।
শিক্ষাজীবনের শুরুতেই ছাত্ররাজনীতিতে আরদালান জড়িয়ে পড়েন। শেষে সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও হন। সে সময় তিনি নানা ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। যেমন, সংগঠনের যে টাকা ব্যয় হওয়ার কথা ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টে, সে টাকা নিজের নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করেন। এমনকি ভোট চুরি করে সে নির্বাচনে জয়ী হতে চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সে জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এর জেরে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে ২০০৫ সালে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। পরে আবার একই পদে তিনি ফিরে আসেন ২০১৩ সালে।
শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে সুইডিশ সিভিল মিনিস্টার পদে নিযুক্ত হন আরদালান। তাঁর ক্ষমতাকালে বহু শরণার্থীকে বাধ্য হয়ে সুইডেন ছাড়তে হয়েছে। বর্তমান তিনি সুইডেনের সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স মিনিস্টার। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন আইনজীবী, বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবা। তাঁর স্ত্রী একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
সামাজিক বিমামন্ত্রী হিসেবে আরদালান শেখারাবির নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, যারা সারা জীবন কাজ করে কর দিয়েছেন, তাঁরা যেন যারা কর্মহীন ছিল এবং কর দেয়নি, তাঁদের চেয়ে বেশি পেনশন পান, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। বলা প্রয়োজন, রাষ্ট্রীয় এই সেবা সাধারণত অভিবাসীরাই বেশি নেন।
আরদালান তাঁর নতুন চ্যালেঞ্জে হয়তো জয়ী হবেন, হয়তো হবেন না। আবার হয়তো কিছুটা এগোবেন, কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন। পুরোটাই নির্ভর করছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কার্যকারিতার ওপর। তবে আমার আলোচনার বিষয় সেটি নয়। আমার মনোযোগ সুইডিশ সিভিল মিনিস্টার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে বহু শরণার্থীর সুইডেন ছাড়তে বাধ্য হওয়ার বিষয়টিতে। কারণ, আরদালান নিজেই এক সময় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন সুইডেনে। চাওয়ামাত্র পাননি। অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি শরণার্থী হিসেবে সুইডেনে তাঁর অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়েছিল। শেষে মানবিক কারণে তিনি সে দেশে থাকার অনুমতি পান । অথচ নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে আসার পর তিনিই শত শত বাবা-মা, পরিবার হারা মানুষকে সুইডেন থেকে বের করে দেন। তাঁর গল্প আসলে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা একজন মানুষেরই গল্প।
যে বিষয়টি আমাকে বেশি অবাক করেছে, সেটা হলো সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আরদালানকেই বেছে নিয়েছে কাজটি করতে। আরদালান শেখারাবি নিজে শরণার্থী হয়ে অন্য শরণার্থীদের সুইডেন থেকে বের করতে দ্বিধা করেননি।
কয়েক দিন আগে সুইডিশ টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরদালানকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি নিজে জানো কী কঠিন অনিশ্চয়তার মধ্যে তোমার জীবন কেটেছিল, যখন তোমার সুইডেনে থাকার কোনো বৈধতা ছিল না। সেই তুমি কীভাবে পারলে সেই একই কাজ করতে?’ আরদালান শেখারাবি উত্তর ছিল, তিনি যা করেছেন, তা সুইডেনের মঙ্গলের জন্যই করেছেন।
তাঁর সাক্ষাৎকার দেখে আমার মনে হলো পৃথিবীতে এমন মানুষের অভাব নেই, যারা ভুলে যায় পরোপকারের কথা, ভুলে যায় অতীত। তাই তো পৃথিবীর অবস্থা এমন! একই সঙ্গে ভাবনায় ঢুকেছে রাজনীতি সত্যিই বড় নিষ্ঠুর এক দুনিয়া, যেখানে নেই কোনো নৈতিকতা; আছে শুধু স্বার্থপরতা। আর একবার সে দুনিয়ায় ঘাঁটি গাড়লে লোকেরা নিজের স্বার্থে সবকিছু করতে পারে। সুইডেনের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আরদালানকে দিয়ে যে কাজগুলো করাচ্ছে, তাতে মনে হলো—তারা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলছে।
জীবনে অনেক কিছু ফিরে পাওয়া সম্ভব। যেমন অর্থ গেলে অর্থ পাওয়া যায়, স্বাস্থ্য গেলে স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া যায়, চরিত্র গেলে বা দুর্নীতিগ্রস্ত হলেও পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু যদি কেউ স্বার্থপর হয়, তবে সম্ভবত আর ফিরে আসার পথ থাকে না। তারা কখনো ফেরে না।
এ লেখায় আরদালান শেখারাবির ব্যক্তিক জীবন না টানলেও হয়তো হতো। কিন্তু ওই যে শুরুতেই বলেছি, জীবনের শুরুতে গড়ে ওঠার পর্যায়টাই ঠিক করে দেয় মানুষের গতিপথ কোনদিকে হবে। আরদালানের বর্তমান কাজের ফিরিস্তি দিয়ে শুধু নিন্দা করলে তাই আর চুকেবুকে যায় না। ঠিকঠাক বুঝতে হলে তাঁর অতীতটা জানা জরুরি। আমি মূলত তাঁর চরিত্র, তাঁর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জ এবং এসব মিলে তাঁর মানসিক গড়নটির দিকে নজর দিতে চাই। একজনকে স্বার্থপর বা এমন কিছু তো সহজেই বলে দেওয়া যায়। কিন্তু কেন এবং কীভাবে একজন মানুষ এমন হয়—সেদিকেও তো নজর দেওয়া দরকার।
পাঠকেরা মনে করতেই পারেন ধর্ম ও রাজনীতির নামে সৃষ্ট সামাজিক প্রতিষ্ঠান, এগুলোর ভেতরে থাকা নানা বিশৃঙ্খলা এবং ক্ষমতার লোভে নেতাদের দ্বারা সৃষ্ট নিষ্ঠুর কাঠামো ও অবিচারের সংস্কৃতিরই প্রতিফলন আরদালান শেখারাবি। এটা কিছুটা সত্য। আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার ব্যবহার করেছে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। কারণ, তারা জানে আরদালান চাইবেন সুইডিশ রাষ্ট্রের কাছে নিজেকে সঠিক মানুষ হিসেবে প্রমাণ করতে। তাঁর যদি ব্যক্তিগত খুঁত থাকে, তবে এই প্রমাণের চেষ্টা আরও বেশি থাকবে। দুর্নীতির অভিযোগে নিজের সংগঠন থেকে বহিষ্কার হওয়ার আরদালানের সেই খুঁত ছিল। ফলে তাঁকে অনেক বেশি নিজেকে প্রমাণ করতে হচ্ছে। আর এটিই সুইডিশ রাষ্ট্রকাঠামোকে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, আরদালান শরণার্থী-অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি অনেক বেশি নিষ্ঠুর হবেন। তিনি তা হয়েছেনও। নিজের ভিতটিকে টিকিয়ে রাখতে ও আরও মজবুত করতে তিনি স্বার্থপরের মতো আচরণ করছেন। নিষ্ঠুর হচ্ছেন। এমন স্বার্থপর মানুষের নিষ্ঠুরতার গল্প গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে।
লেখক: সুইডেনপ্রবাসী, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

আরদালান শেখারাবিকে অনেকটা সময় অনিশ্চয়তার মধ্যে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাঁকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে একটু থাকার নিশ্চয়তার জন্য। এই পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকেই ভেতর থেকে কঠোর করে তোলে। তাঁর কাছে আর কাউকেই যদি আপন মনে না হয়, তবে তা তাঁর দোষ বলা যায় না। আর এমনই এক মানসিক অবস্থায় থাকা এক লোককেই সুইডিশ রাজনৈতিক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে