সম্পাদকীয়
বিমল মিত্রের লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি তখন দেশ পত্রিকায় বের হচ্ছে। উত্তম সেটা পড়ছেন আগ্রহভরে। খুব পছন্দ ছিল তাঁর ভূতনাথ চরিত্রটি। উপন্যাসটি থেকে ছবি হলে তিনি ভূতনাথ চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে ভাবতেন। সে সুযোগও এল। একদিন পরিচালক কার্তিক চ্যাটার্জি এলেন উত্তমের কাছে। তিনি বললেন, ‘সাহেব বিবি গোলাম ছবিটি করব। ভূতনাথ চরিত্রে আপনাকে চাই।’
ছবি তৈরি হলো। দর্শক সে ছবি গ্রহণ করল। এ রকম সময় একদিন উত্তমকুমারের ছোট ভাই তরুণ এসে বলল, ‘দাদা, একটা ছেলে তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। বিশু ওর নাম। কয়েকটি ছবিতে নেমেছে, থিয়েটার করে।’
উত্তম বললেন, ‘অমুক দিন ভবানীপুরের বাড়িতে দেখা করতে বলিস।’
কথামতো একটি সুশ্রী ছেলে এসে হাজির। বলল, ‘আমার নাম বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
উত্তমের মনে হলো, সেই অতীতকাল থেকে বুঝি সেই অরুণ, মানে আজকের উত্তমকুমার উঠে এসেছে। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ক্লান্ত অরুণ যেন আজ উত্তমের মুখোমুখি!
উত্তম জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার?’
বিশ্বজিৎ বললেন, ‘রঙমহলে সাহেব বিবি গোলাম হবে। ওঁরা আমাকে ভূতনাথ চরিত্রে সিলেক্ট করেছে। সিনেমায় ভূতনাথ রোলে আপনার অসাধারণ অভিনয় দেখেছি, কোনো দিন ভুলতে পারব না। আপনার কাছ থেকে ওই চরিত্রটা একটু ভালো করে বুঝে নিতে চাই।’
বিশ্বজিতের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলেন উত্তম। স্ক্রিন অ্যাকটিং আর স্টেজ অ্যাকটিংয়ের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে চাইছিল বিশ্বজিৎ। ওর আন্তরিকতার দাম দিয়ে নিজের ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্বজিৎকে প্রতিদিন সময় দিতে লাগলেন উত্তম। মহড়ার সময় রোজ সকালে একবার করে বিশ্বজিৎ এসেছেন উত্তমের কাছে।
উত্তম ভাবলেন, বিশ্বজিতের এই নিষ্ঠা ওকে একদিন পপুলার আর্টিস্টে পরিণত করবে।
উত্তম ভুল ভাবেননি। বিশ্বজিৎ চলচ্চিত্রপাড়ায়ও নাম করেছিলেন। আর তাঁর পুত্র প্রসেনজিৎ তো এখনো টলিউডে জনপ্রিয় নায়ক।
সূত্র: উত্তমকুমার, আমার আমি, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪
বিমল মিত্রের লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি তখন দেশ পত্রিকায় বের হচ্ছে। উত্তম সেটা পড়ছেন আগ্রহভরে। খুব পছন্দ ছিল তাঁর ভূতনাথ চরিত্রটি। উপন্যাসটি থেকে ছবি হলে তিনি ভূতনাথ চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে ভাবতেন। সে সুযোগও এল। একদিন পরিচালক কার্তিক চ্যাটার্জি এলেন উত্তমের কাছে। তিনি বললেন, ‘সাহেব বিবি গোলাম ছবিটি করব। ভূতনাথ চরিত্রে আপনাকে চাই।’
ছবি তৈরি হলো। দর্শক সে ছবি গ্রহণ করল। এ রকম সময় একদিন উত্তমকুমারের ছোট ভাই তরুণ এসে বলল, ‘দাদা, একটা ছেলে তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। বিশু ওর নাম। কয়েকটি ছবিতে নেমেছে, থিয়েটার করে।’
উত্তম বললেন, ‘অমুক দিন ভবানীপুরের বাড়িতে দেখা করতে বলিস।’
কথামতো একটি সুশ্রী ছেলে এসে হাজির। বলল, ‘আমার নাম বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
উত্তমের মনে হলো, সেই অতীতকাল থেকে বুঝি সেই অরুণ, মানে আজকের উত্তমকুমার উঠে এসেছে। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ক্লান্ত অরুণ যেন আজ উত্তমের মুখোমুখি!
উত্তম জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার?’
বিশ্বজিৎ বললেন, ‘রঙমহলে সাহেব বিবি গোলাম হবে। ওঁরা আমাকে ভূতনাথ চরিত্রে সিলেক্ট করেছে। সিনেমায় ভূতনাথ রোলে আপনার অসাধারণ অভিনয় দেখেছি, কোনো দিন ভুলতে পারব না। আপনার কাছ থেকে ওই চরিত্রটা একটু ভালো করে বুঝে নিতে চাই।’
বিশ্বজিতের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলেন উত্তম। স্ক্রিন অ্যাকটিং আর স্টেজ অ্যাকটিংয়ের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে চাইছিল বিশ্বজিৎ। ওর আন্তরিকতার দাম দিয়ে নিজের ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্বজিৎকে প্রতিদিন সময় দিতে লাগলেন উত্তম। মহড়ার সময় রোজ সকালে একবার করে বিশ্বজিৎ এসেছেন উত্তমের কাছে।
উত্তম ভাবলেন, বিশ্বজিতের এই নিষ্ঠা ওকে একদিন পপুলার আর্টিস্টে পরিণত করবে।
উত্তম ভুল ভাবেননি। বিশ্বজিৎ চলচ্চিত্রপাড়ায়ও নাম করেছিলেন। আর তাঁর পুত্র প্রসেনজিৎ তো এখনো টলিউডে জনপ্রিয় নায়ক।
সূত্র: উত্তমকুমার, আমার আমি, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৪ দিন আগে