সম্পাদকীয়
শচীন দেববর্মন গল্পটা বলেছিলেন এক আড্ডায়। আড্ডা বসেছিল আবীর মুখোপাধ্যায়ের সাউথএন্ড পার্কের বাড়িতে।
শচীনকর্তা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে টুকরো টুকরো গল্প বলতেন। যাঁরা শুনতেন, তাঁরা মাঝে মাঝে তা লিখে রাখতেন।
সেবার শচীনকর্তা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতেই বলছিলেন, শক্তি সামন্ত একটা সিনেমা করবেন। তিনি শচীনকর্তাকে এসে ধরলেন। বললেন, ‘এমন একটা গান তৈরি করেন, যা হবে আবেদনময়; অর্থাৎ সে গানে অ্যাপিল থাকতে হবে।’
আবেদনময় গান! কথাটা শুনেই শচীনকর্তা ফিরে গেলেন বহু আগের একটা সময়ে। তিনি এক ভদ্রলোকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ডাকছিলেন। ভদ্রলোক ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল শচীনকর্তার। অনেকক্ষণ পর সেই ভদ্রলোক ঘর থেকে বের হলে কর্তা তাঁকে লাগালেন বকা। কাঁচুমাচু হয়ে ভদ্রলোক বললেন, ‘কত্তা, মাফ করেন। পোলাডারে বিয়া দিমু আইজকা, তাই কাপড় পরাইতাছিলাম।’
এইটুকু একটা ছেলের বিয়ে! ভদ্রলোক যুক্তি দেন, ‘এখন বিয়ে দেওয়াই ভালো। নইলে আরেকটু বড় হলে বিগড়ে যেতে পারে।’
যখন শচীনকর্তা ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন ছোট্ট একটা মেয়ে তাঁদের সামনেই খেলছিল। বিয়ের কথা শুনেই মেয়েটা গেয়ে উঠল, ‘কালকে যাব শ্বশুরবাড়ি, আহ্লাদে খাই গড়াগড়ি, দেখব তোরে প্রাণভরে সুন্দরী…’। চট করে গানটার কথা মনে পড়ে গেল শচীনকর্তার। শক্তির সিনেমায় এই সুরে গান হলে তা হয়ে উঠবে আবেদনময়।
কোন গান নিয়ে কথা হচ্ছে? কথা হচ্ছে সেই গান নিয়ে, যেটা তিনি গাইয়েছিলেন কিশোর কুমারকে দিয়ে। তিনি কিশোর কুমারকে বলেছিলেন, ‘গানটা গাওনের সময় জোরে জোরে একটু নিশ্বাস ফালাইতে হইব। তাহলেই তা হয়ে উঠবে আবেদনময়।’ গানটি ছিল, ‘রূপ তেরা মস্তানা...’। এবার সেই ছোট্ট মেয়েটার ‘কালকে যাব শ্বশুরবাড়ি’তে ‘রূপ তেরা মস্তানা’র সুরটা লাগিয়ে দেখুন!
সূত্র: আবীর মুখোপাধ্যায়, সুর খুঁজে বের করতেন শচীনকর্তা, ভারত বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৮
শচীন দেববর্মন গল্পটা বলেছিলেন এক আড্ডায়। আড্ডা বসেছিল আবীর মুখোপাধ্যায়ের সাউথএন্ড পার্কের বাড়িতে।
শচীনকর্তা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে টুকরো টুকরো গল্প বলতেন। যাঁরা শুনতেন, তাঁরা মাঝে মাঝে তা লিখে রাখতেন।
সেবার শচীনকর্তা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতেই বলছিলেন, শক্তি সামন্ত একটা সিনেমা করবেন। তিনি শচীনকর্তাকে এসে ধরলেন। বললেন, ‘এমন একটা গান তৈরি করেন, যা হবে আবেদনময়; অর্থাৎ সে গানে অ্যাপিল থাকতে হবে।’
আবেদনময় গান! কথাটা শুনেই শচীনকর্তা ফিরে গেলেন বহু আগের একটা সময়ে। তিনি এক ভদ্রলোকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ডাকছিলেন। ভদ্রলোক ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল শচীনকর্তার। অনেকক্ষণ পর সেই ভদ্রলোক ঘর থেকে বের হলে কর্তা তাঁকে লাগালেন বকা। কাঁচুমাচু হয়ে ভদ্রলোক বললেন, ‘কত্তা, মাফ করেন। পোলাডারে বিয়া দিমু আইজকা, তাই কাপড় পরাইতাছিলাম।’
এইটুকু একটা ছেলের বিয়ে! ভদ্রলোক যুক্তি দেন, ‘এখন বিয়ে দেওয়াই ভালো। নইলে আরেকটু বড় হলে বিগড়ে যেতে পারে।’
যখন শচীনকর্তা ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন ছোট্ট একটা মেয়ে তাঁদের সামনেই খেলছিল। বিয়ের কথা শুনেই মেয়েটা গেয়ে উঠল, ‘কালকে যাব শ্বশুরবাড়ি, আহ্লাদে খাই গড়াগড়ি, দেখব তোরে প্রাণভরে সুন্দরী…’। চট করে গানটার কথা মনে পড়ে গেল শচীনকর্তার। শক্তির সিনেমায় এই সুরে গান হলে তা হয়ে উঠবে আবেদনময়।
কোন গান নিয়ে কথা হচ্ছে? কথা হচ্ছে সেই গান নিয়ে, যেটা তিনি গাইয়েছিলেন কিশোর কুমারকে দিয়ে। তিনি কিশোর কুমারকে বলেছিলেন, ‘গানটা গাওনের সময় জোরে জোরে একটু নিশ্বাস ফালাইতে হইব। তাহলেই তা হয়ে উঠবে আবেদনময়।’ গানটি ছিল, ‘রূপ তেরা মস্তানা...’। এবার সেই ছোট্ট মেয়েটার ‘কালকে যাব শ্বশুরবাড়ি’তে ‘রূপ তেরা মস্তানা’র সুরটা লাগিয়ে দেখুন!
সূত্র: আবীর মুখোপাধ্যায়, সুর খুঁজে বের করতেন শচীনকর্তা, ভারত বিচিত্রা, ডিসেম্বর ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেশক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১ দিন আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগে