সম্পাদকীয়
...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট ভালো কবিতা।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসটা মানবিক হতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্বাসটা যদি সাম্প্রদায়িক হয় এবং যাঁরা এই রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে সহমত নন, তাঁদের হত্যা করো, নির্বংশ করো—ফ্যাসিবাদ যেটা করতে চেয়েছিল, তা যদি হয়, সেটা কোনো অবস্থাতেই কবিতা নয়। ফ্যাসিবাদী ছবির কথা শুনেছি, কিন্তু ফ্যাসিবাদী কবিতার সংস্পর্শে আমি এখনো আসিনি।
কিন্তু আমার মনে হয়, রোমান্টিক কবিদের মধ্যেই কিছুটা ফ্যাসিবাদী জার্ম [জীবাণু] আছে। কারণ, ফ্যাসিবাদ যেটা বলে, ফ্যাসিবাদের যে একটা পিকটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন হয়, অনেকগুলো কাঠি একসঙ্গে বাধা আর সঙ্গে একটা কুড়োল। একটা কুড়োল এক ঘায়ে সবগুলো কাঠি ভেঙে ফেলতে পারে। ভার্চুয়াসরা রাজত্ব করবে ননভার্চুয়াস জনগণের ওপর—এই রোমান্টিক হিরোইজমের মধ্যে কিন্তু ফ্যাসিবাদের জার্ম রয়েই গেছে। ফ্যাসিবাদকে যে ইউরোপের কিছু ইন্টেলেকচুয়ালের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল, তার কারণ কিন্তু এটাই।
সূত্র: শহীদ কাদরীর সঙ্গে কথাবার্তা, পৃষ্ঠা-১৬-১৭
...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট ভালো কবিতা।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসটা মানবিক হতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্বাসটা যদি সাম্প্রদায়িক হয় এবং যাঁরা এই রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে সহমত নন, তাঁদের হত্যা করো, নির্বংশ করো—ফ্যাসিবাদ যেটা করতে চেয়েছিল, তা যদি হয়, সেটা কোনো অবস্থাতেই কবিতা নয়। ফ্যাসিবাদী ছবির কথা শুনেছি, কিন্তু ফ্যাসিবাদী কবিতার সংস্পর্শে আমি এখনো আসিনি।
কিন্তু আমার মনে হয়, রোমান্টিক কবিদের মধ্যেই কিছুটা ফ্যাসিবাদী জার্ম [জীবাণু] আছে। কারণ, ফ্যাসিবাদ যেটা বলে, ফ্যাসিবাদের যে একটা পিকটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন হয়, অনেকগুলো কাঠি একসঙ্গে বাধা আর সঙ্গে একটা কুড়োল। একটা কুড়োল এক ঘায়ে সবগুলো কাঠি ভেঙে ফেলতে পারে। ভার্চুয়াসরা রাজত্ব করবে ননভার্চুয়াস জনগণের ওপর—এই রোমান্টিক হিরোইজমের মধ্যে কিন্তু ফ্যাসিবাদের জার্ম রয়েই গেছে। ফ্যাসিবাদকে যে ইউরোপের কিছু ইন্টেলেকচুয়ালের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল, তার কারণ কিন্তু এটাই।
সূত্র: শহীদ কাদরীর সঙ্গে কথাবার্তা, পৃষ্ঠা-১৬-১৭
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
৬ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
৭ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৮ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
১০ দিন আগে