সম্পাদকীয়
কবি মহাদেব সাহা বগুড়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি কলেজের পড়া শুরু করেছিলেন ঢাকাতেই। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে মফস্বল থেকে এসে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা কলেজে। আগামসিহ লেনে ছিল হিন্দু ছাত্রদের হোস্টেল। ভাঙাচোরা জীর্ণ এক জমিদারবাড়ি ছিল সেটি। একটা কুয়ো ছিল। সেই কুয়ো থেকে দড়িবাঁধা বালতি দিয়ে পানি তুলে গোসল করতে হতো। কনকনে শীতের দিনে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হতো।
সেই হোস্টেলে ছিল না কোনো ডাইনিং। রান্নাঘরের সামনে বারান্দায় বসে খেতে হতো। পুরান ঢাকায় তখন অনেক গাছপালা। বুড়িগঙ্গাও বিশাল, টলটলে তার পানি। আর সদরঘাট? নয়নাভিরাম! সদরঘাটে ছিল রূপমহল সিনেমা হল। দিনের বেলায় বা সন্ধ্যায় কখনো কখনো সেই সিনেমা হলে সিনেমা দেখা হতো। কলেজে যাওয়ার জন্য ছিল মুড়ির টিন বাস।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তখন সদ্য তৈরি হওয়া ঝকঝকে নিউমার্কেট। একই মার্কেটে সবকিছু পাওয়া যায়, এর চেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার আর কী হতে পারে! এক গেট দিয়ে নিউমার্কেটে ঢুকে পথ হারিয়ে ফেলতেন মহাদেব সাহা। কোন দরজা দিয়ে বের হয়েছেন, মাথা চুলকেও তা বের করতে পারতেন না।
কিন্তু ঢাকা শহর তখন মহাদেব সাহাকে ঠিকভাবে গ্রহণ করেনি।
এখানে থাকতে থাকতেই একসময় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলেন তিনি। প্রথমে নেওয়া হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, তারপর মিটফোর্ড হাসপাতালে। হোস্টেলের আশপাশে যে নারীরা থাকতেন, তাঁরা হোস্টেলের ছেলেদের খোঁজখবর রাখতেন। বাবা-মাকে ফেলে আসা এই তরুণদের প্রতি তাঁদের মায়া ছিল বহমান। হিন্দু-মুসলমাননির্বিশেষে নারীরা অভিভাবক হয়ে দেখভাল করতেন এই তরুণদের।
শরীর আর ভালো হয়নি তখন মহাদেব সাহার। তাই সেকেন্ড ইয়ারের কোনো এক সময়ে তিনি ঢাকা ছেড়ে যান। এর পরই তো বগুড়া কলেজ।
দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন পড়াশোনা শেষে। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে। পূর্বদেশ পত্রিকায় চাকরি নিয়ে।
সূত্র: কাজল ঘোষ সম্পাদিত ‘স্মৃতির ঢাকা’, পৃষ্ঠা ২০৩-২০৪
কবি মহাদেব সাহা বগুড়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি কলেজের পড়া শুরু করেছিলেন ঢাকাতেই। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে মফস্বল থেকে এসে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা কলেজে। আগামসিহ লেনে ছিল হিন্দু ছাত্রদের হোস্টেল। ভাঙাচোরা জীর্ণ এক জমিদারবাড়ি ছিল সেটি। একটা কুয়ো ছিল। সেই কুয়ো থেকে দড়িবাঁধা বালতি দিয়ে পানি তুলে গোসল করতে হতো। কনকনে শীতের দিনে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হতো।
সেই হোস্টেলে ছিল না কোনো ডাইনিং। রান্নাঘরের সামনে বারান্দায় বসে খেতে হতো। পুরান ঢাকায় তখন অনেক গাছপালা। বুড়িগঙ্গাও বিশাল, টলটলে তার পানি। আর সদরঘাট? নয়নাভিরাম! সদরঘাটে ছিল রূপমহল সিনেমা হল। দিনের বেলায় বা সন্ধ্যায় কখনো কখনো সেই সিনেমা হলে সিনেমা দেখা হতো। কলেজে যাওয়ার জন্য ছিল মুড়ির টিন বাস।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তখন সদ্য তৈরি হওয়া ঝকঝকে নিউমার্কেট। একই মার্কেটে সবকিছু পাওয়া যায়, এর চেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার আর কী হতে পারে! এক গেট দিয়ে নিউমার্কেটে ঢুকে পথ হারিয়ে ফেলতেন মহাদেব সাহা। কোন দরজা দিয়ে বের হয়েছেন, মাথা চুলকেও তা বের করতে পারতেন না।
কিন্তু ঢাকা শহর তখন মহাদেব সাহাকে ঠিকভাবে গ্রহণ করেনি।
এখানে থাকতে থাকতেই একসময় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হলেন তিনি। প্রথমে নেওয়া হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, তারপর মিটফোর্ড হাসপাতালে। হোস্টেলের আশপাশে যে নারীরা থাকতেন, তাঁরা হোস্টেলের ছেলেদের খোঁজখবর রাখতেন। বাবা-মাকে ফেলে আসা এই তরুণদের প্রতি তাঁদের মায়া ছিল বহমান। হিন্দু-মুসলমাননির্বিশেষে নারীরা অভিভাবক হয়ে দেখভাল করতেন এই তরুণদের।
শরীর আর ভালো হয়নি তখন মহাদেব সাহার। তাই সেকেন্ড ইয়ারের কোনো এক সময়ে তিনি ঢাকা ছেড়ে যান। এর পরই তো বগুড়া কলেজ।
দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন পড়াশোনা শেষে। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে। পূর্বদেশ পত্রিকায় চাকরি নিয়ে।
সূত্র: কাজল ঘোষ সম্পাদিত ‘স্মৃতির ঢাকা’, পৃষ্ঠা ২০৩-২০৪
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগে