Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ৩২
শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দিবসটি উপলক্ষে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা, অনুভূতি ও প্রত্যাশার কথা।বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে হবে
অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে গিয়ে যাঁরা আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বর্তমানে স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি। তবু এ দেশের তরুণদের মাঝে অন্য জাতি বা দেশ থেকে ধার করে আনা সংস্কৃতি ও ভাষা লালন করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। এ চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর চিন্তার দাসে পরিণত হয়ে উঠছি। হারিয়ে ফেলছি নিজেদের স্বকীয়তা। তাই বিজয়ের মাসে একটাই চাওয়া—দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে হবে এবং জাতিগত হীনম্মন্যতাবোধ থেকে বেরিয়ে আত্মপরিচয়ের খোঁজ করতে হবে। 

মো. জাহেদ হোসেন
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়আদিবা-নওমীসাফল্যের ৫২ বছর
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের মাঝে। নানা সফলতার মধ্য দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে প্রিয় এই দেশ। মেট্রোরেল ব্যবস্থায় বিশ্বের ৩৬তম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ পথ হিসেবে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নিজ খরচে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। চট্টগ্রামে নির্মিত দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর। ভবিষ্যতে বন্দরটি এই অঞ্চলের বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। এভাবে উত্তরোত্তর সাফল্যের মধ্য দিয়ে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব পরিসরে এই বিজয় যেন ঠিক একাত্তরে অর্জিত বিজয়েরই অনুপ্রেরণা। 

আদিবা নওমী
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়মো. খশরু আহসানমুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঠিক তালিকা চাই
আমাদের চারপাশে অনেক মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে রিকশাচালক, শ্রমিক, জেলে কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অথচ তাঁদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পরে এ তালিকা সম্পর্কে তাঁরা খুব একটা জানতেন না। এমনকি এখনো তেমন ধারণা নেই। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন বেঁচে নেই। বেঁচে আছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকে কষ্টে দিন পার করছেন। এমনও হয়েছে, হঠাৎ রিকশাচালকের মুখে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের কথা শুনে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। বিজয়ের মাসে প্রত্যাশা, তালিকার বাইরে থাকা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের অন্তিম মুহূর্তে প্রাপ্য সম্মান পাবেন। 

মো. খশরু আহসান
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়তারানা তানজিনা মিতুবিজয়ের উল্লাসে চাপা না পড়ুক শহীদের ত্যাগ
বিজয়ের ৫২ বছর পূর্ণ হলো। বিজয় মানে উল্লাস। তবে সেই উল্লাসে শহীদের বুক থেকে ঝরা তাজা রক্তের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পেয়েছি এক লাল-সবুজের পতাকা। সে পতাকার ছায়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হয়ে উঠুক বাংলাদেশ। এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পথে। স্বাধীনতা বা বিজয় আমাদের মধ্যে যে স্পৃহা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, সেই স্পৃহাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এ যাত্রায় আমাদের ভূমিকা অনেক। আমরা তরুণেরাই পারি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। দেশ গড়ার এ স্বপ্নযাত্রায় যেন সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে এগিয়ে যেতে পারি, এটাই প্রত্যাশা। 

তারানা তানজিনা মিতু
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামএস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও স্বপ্নপূরণ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে আমাদের দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিলিয়ে দিতে হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। অসংখ্য ত্যাগের বিনিময়ে পরাধীনতার শিকল ভেঙে অবশেষে অর্জিত হয়েছিল সবুজ শ্যামল এই প্রকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা। কিন্তু এই পতাকার মান কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি? বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন কি ধরা দিয়েছে? বিজয় দিবসে সেই স্বপ্নপূরণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের বিজয় নিশান ছিল বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে লালিত স্বপ্নবীজ। সেই স্বপ্নবীজ পরিচর্যা করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্ম হিসেবে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের হতে হবে বদ্ধপরিকর। 

এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ 
শিক্ষার্থী, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়মো. মোজাম্মেল হোসেন শাহাদাতবিজয় ৭১ অসংখ্য নিপীড়নের জবাব
সব ক্ষেত্রেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। এই অঞ্চলের মানুষদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো না। অধিকার আদায়ের জন্য ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত হতো আমার দেশের মানুষ। বিজয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাই শোষণ, নিপীড়ন, অত্যাচারের জবাবে রক্ত দিতেও কার্পণ্য করেননি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অবসান হয় সেই শোষণ ও নিপীড়নের। প্রতিষ্ঠিত হয় এক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’। ৫২ বছর পেরিয়ে বিজয়ের পতাকা আজও উড়ছে অবিরাম ধারায়। বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। 

মো. মোজাম্মেল হোসেন শাহাদাত
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (নার্সিং)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

সম্পাদকীয়
সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।

অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।

তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।

কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।

সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।

পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমাদের অর্জন অনেক

সম্পাদকীয়
আমাদের অর্জন অনেক

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।

এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।

সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত