সম্পাদকীয়
‘মনোলীনা’ ছিল প্রতিভা বসুর প্রথম উপন্যাস। এটি লেখা হয়েছিল বসুমতী সাহিত্য মন্দিরের সুবোধ মজুমদারের অনুরোধে। অনুরোধটা অবশ্য ছিল এ রকম—বুদ্ধদেব বসু আর প্রতিভা বসু দুজন মিলে লিখলেন একটি প্রেমের উপন্যাস। অর্থাৎ প্রতিভা বসুর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, বুদ্ধদেবের সঙ্গে প্রতিভার নামটাও থাকবে। আর আসলে তো পুরোটাই লিখে দেবেন বুদ্ধদেব, তেমনটাই ছিল সুবোধ মজুমদারের ধারণা।
কিন্তু সেই সময়টা ছিল বৈরী। সন্তানের জন্ম হয়েছে, তার পেছনে সময় দিতে হচ্ছে। আর বুদ্ধদেব ব্যস্ত নিজের কাজে। প্রতিভা তখন মায়ের কাছে এসেছেন ঢাকায়। বুদ্ধদেবকে ফিরে যেতে হয়েছে কলকাতায়। এ রকম একটা সময়ে প্রস্তাবটা এসেছিল। যেহেতু এই দুর্দিনে টাকাপয়সা পাওয়া যাবে, তাই বুদ্ধদেব বললেন, ‘যা মনে হয় লেখো, যতটুকু পারো লেখো, কষ্ট করে কিচ্ছু কোরো না। আমি এত ব্যস্ত যে কিছুতেই হাত দিতে পারছি না। অথচ টাকার প্রয়োজনে সম্মত না হয়েও পারছি না।’
বুদ্ধদেবের অনুরোধটা ভালো লাগল প্রতিভার। তিনি লিখতে বসলেন। যত দিনে কলকাতায় ফিরে এলেন, তত দিনে বই লেখা প্রায় শেষ। সেই পাণ্ডুলিপি পড়ে বুদ্ধদেব প্রশংসার সাগরে ভাসিয়ে দিলেন প্রতিভাকে। বললেন, ‘তুমি তো শেষ করে এনেছ বইটা। তোমার লেখায় আমি কোথায় আমার লেখা ঢোকাব? বরং আর একটা বই লেখা যাবে, যেটা সত্যি সত্যি অর্ধেক তোমার, অর্ধেক আমার।’
কিন্তু এই বই ছাপবে কে? বইটির বিষয়বস্তু ছিল বিবাহিত মেয়ের স্বামী বর্তমানেও প্রেমে পড়ে পুনর্বিবাহ। শেষ পর্যন্ত বইটি ছাপা হয়েছিল বুদ্ধদেব বসুর কবিতা ভবন প্রকাশনা সংস্থা থেকে। কবিতা পত্রিকার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের এই প্রকাশনা সংস্থাও ছিল। বলা ভালো, এই প্রতিষ্ঠান থেকেই জীবনানন্দ দাশের ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’, সময় সেনের ‘কয়েকটি কবিতা’ বের হয়েছিল।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১
‘মনোলীনা’ ছিল প্রতিভা বসুর প্রথম উপন্যাস। এটি লেখা হয়েছিল বসুমতী সাহিত্য মন্দিরের সুবোধ মজুমদারের অনুরোধে। অনুরোধটা অবশ্য ছিল এ রকম—বুদ্ধদেব বসু আর প্রতিভা বসু দুজন মিলে লিখলেন একটি প্রেমের উপন্যাস। অর্থাৎ প্রতিভা বসুর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, বুদ্ধদেবের সঙ্গে প্রতিভার নামটাও থাকবে। আর আসলে তো পুরোটাই লিখে দেবেন বুদ্ধদেব, তেমনটাই ছিল সুবোধ মজুমদারের ধারণা।
কিন্তু সেই সময়টা ছিল বৈরী। সন্তানের জন্ম হয়েছে, তার পেছনে সময় দিতে হচ্ছে। আর বুদ্ধদেব ব্যস্ত নিজের কাজে। প্রতিভা তখন মায়ের কাছে এসেছেন ঢাকায়। বুদ্ধদেবকে ফিরে যেতে হয়েছে কলকাতায়। এ রকম একটা সময়ে প্রস্তাবটা এসেছিল। যেহেতু এই দুর্দিনে টাকাপয়সা পাওয়া যাবে, তাই বুদ্ধদেব বললেন, ‘যা মনে হয় লেখো, যতটুকু পারো লেখো, কষ্ট করে কিচ্ছু কোরো না। আমি এত ব্যস্ত যে কিছুতেই হাত দিতে পারছি না। অথচ টাকার প্রয়োজনে সম্মত না হয়েও পারছি না।’
বুদ্ধদেবের অনুরোধটা ভালো লাগল প্রতিভার। তিনি লিখতে বসলেন। যত দিনে কলকাতায় ফিরে এলেন, তত দিনে বই লেখা প্রায় শেষ। সেই পাণ্ডুলিপি পড়ে বুদ্ধদেব প্রশংসার সাগরে ভাসিয়ে দিলেন প্রতিভাকে। বললেন, ‘তুমি তো শেষ করে এনেছ বইটা। তোমার লেখায় আমি কোথায় আমার লেখা ঢোকাব? বরং আর একটা বই লেখা যাবে, যেটা সত্যি সত্যি অর্ধেক তোমার, অর্ধেক আমার।’
কিন্তু এই বই ছাপবে কে? বইটির বিষয়বস্তু ছিল বিবাহিত মেয়ের স্বামী বর্তমানেও প্রেমে পড়ে পুনর্বিবাহ। শেষ পর্যন্ত বইটি ছাপা হয়েছিল বুদ্ধদেব বসুর কবিতা ভবন প্রকাশনা সংস্থা থেকে। কবিতা পত্রিকার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের এই প্রকাশনা সংস্থাও ছিল। বলা ভালো, এই প্রতিষ্ঠান থেকেই জীবনানন্দ দাশের ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’, সময় সেনের ‘কয়েকটি কবিতা’ বের হয়েছিল।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৫ ঘণ্টা আগেশক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১ দিন আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগে