সম্পাদকীয়

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২
সম্পাদকীয়

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই, খবর শুনে আরাম!’
হ্যাঁ, অবনঠাকুর খবর শুনতেন লোকের মুখে। শুনে শুনেই নিয়ে নিতের দিন-দুনিয়ার খবর।
সাহাদের বাড়ি থেকে রোজ সকালে চলে আসতেন পুন্নবাবু। দোতলার দক্ষিণের বারান্দায় যখন তিনি এসে বসতেন, তখন বিশ্বম্ভর বেয়ারা হুঁকো এনে দিয়ে যেত। পুন্নবাবু এক হাতে নিতেন হুঁকো, অন্য হাতে ধরতেন খবরের কাগজ। তিনিই ছিলেন এই বাড়ির প্রথম খবর পড়ুয়া। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গবাসী কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমনস্ট্রেটর। গাছপালা সম্পর্কে দারুণ উৎসাহ ছিল তাঁর। সে সময় অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। পুন্নবাবু কাগজ পড়ার পর একে একে বাড়ির অন্যরা কাগজ পড়ত। আর তখন সকালবেলাতেই সব খবর মুখে মুখে আলোচিত হতো। অবনঠাকুর ছবি আঁকা থেকে চোখ না তুলেই কাগজে ছাপা খবরগুলো জেনে ফেলতেন। নিজের আর পড়তে হতো না।
এই খবরের কাগজেই উঠল কলকাতার আকাশে প্রথম প্লেন ওড়ার খবরটি। সেই খবর পুন্নবাবুই দিয়েছিলেন অবনঠাকুরকে। তখন বাড়িজুড়ে সে কী উত্তেজনা সবার! উড়োজাহাজ তো কেউ চোখে দেখেনি আগে, দেখেছে তার ছবি। তাই উত্তেজনা না হয়ে উপায় আছে?
সেই উড়োজাহাজ উড়ে যাবে মাথার ওপর দিয়ে, সে কি সহজ কথা!
খবরটা দু-তিনবার পড়া হলো। কখন প্লেন আসবে, কোথায় গিয়ে নামবে, তা যেন সবার মুখস্থ হয়ে গেল।
তারপর যখন সময় ঘনিয়ে এল, তখন বাড়ির সবাই গিয়ে উঠল ছাদে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা! হঠাৎ ছোট্ট বিন্দুর মতো কিছু উড়তে দেখা গেল উত্তর আকাশে। তারপর ক্রমেই বড় হতে হতে গোঁ গোঁ করতে করতে মাথার ওপর দিয়ে পালাল টু-সিটারটা।
সূত্র: মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, দক্ষিণের বারান্দা, পৃষ্ঠা ১০০-১০২

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই
২১ জানুয়ারি ২০২৩
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই
২১ জানুয়ারি ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই
২১ জানুয়ারি ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর খবরের কাগজ পড়তেন না। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সবাই খবরের কাগজ পড়তেন, কেউ বেশি, কেউ কম। কিন্তু অবনঠাকুর সেটা ছুঁতেন না। কেন পড়তেন না, সে কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘খবর কি পড়তে হয়? খবর পড়ে আরাম নেই
২১ জানুয়ারি ২০২৩
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
১৮ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে