বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়

সম্পাদকীয়
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭: ৪৯

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি কৌতুকমিশ্রিত গল্পের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। নামের মিল থাকলেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আর তিনি কিন্তু আলাদা ব্যক্তি।

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের বিহারের দ্বারভাঙা জেলার পাণ্ডুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বারভাঙা রাজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, রিপন কলেজ থেকে আইএ এবং পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। তিনি কর্মজীবনে বৈচিত্র্যময় পেশা গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা, ধনী পরিবারে গৃহশিক্ষকতা, দ্বারভাঙা-মহারাজের একান্ত সচিব এবং ‘ইন্ডিয়ান নেশন’ পত্রিকার ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শিক্ষকতা করার পাশাপাশি লেখালেখি শুরু করেন বিভূতিভূষণ। এরপর ১৯৪২ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত করেন। লেখক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৩২২ বঙ্গাব্দের ‘প্রবাসী’ পত্রিকার আষাঢ় সংখ্যায় প্রকাশিত ‘অবিচার’ গল্পটির মধ্য দিয়ে। তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘নীলাঙ্গুরীয়’, কৌতুকধর্মী গল্পের বই ‘বরযাত্রী’। ‘বরযাত্রী’র ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে গুপ্ত সেই সময়ের পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় চরিত্র ছিল। কৌতুক রসের এ রকম বই বাংলা সাহিত্যে বেশি নেই। কৌতুকধর্মী তাঁর আরও বিখ্যাত সৃষ্টি ‘রানু’ সিরিজের গল্পগুলো।

বিভূতিভূষণ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লিখে গেছেন। ৯২ বছর বয়সেও তিনি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর সবশেষ উপন্যাস ‘সেই তীর্থে বরদ বঙ্গে’। শিশু-কিশোরদের জন্যও তিনি লিখেছেন। তিনি ‘ব ভ ম’ এবং ‘কশ্চিৎ প্রৌঢ়’ ছদ্মনামে লেখালেখি করেছেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘সর্গাদপী গরীয়সী’, ‘দুয়ার হতে অদূরে’, ‘কুশীপ্রাঙ্গণের চিঠি’, ‘একই পথের দুই প্রান্তে’, ‘অযাত্রার জয়যাত্রা’, ‘কৈলাশের পাঠরানী’, ‘দুষ্টুলক্ষ্মীদের গল্প’, ‘পোনুর চিঠি’, ‘কিশোর রচনাসম্ভার’ প্রভৃতি। লিখেছেন আত্মজীবনী—‘জীবন তীর্থ’।

১৯৮৭ সালের ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত