Ajker Patrika

পানি যখন ওয়াটার, মাথার ভেতর হাওয়া কার

রজত কান্তি রায়, ঢাকা
পানি যখন ওয়াটার, মাথার ভেতর হাওয়া কার

‘সেই সময় উপস্থিত হইলেন তিনি। তাহার পর কী হইতে যে কী হইয়া গেল!’ 
পুরোনো দিনের জেমস বন্ড মার্কা বাংলা উপন্যাসে এ রকম বর্ণনা পাওয়া যায়। জুজুৎসুর প্যাঁচে নায়ক যখন খলনায়ককে পরাস্ত করে নায়িকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়, তার বর্ণনায় লেখকেরা এমন বাক্য জুড়ে দিতেন। বাংলা ভাষা প্রশ্নে আমাদের অবস্থাও এখন ‘কী হইতে যে কী হইয়া গেল!’ 

চারদিকে জুজুৎসুর ভীষণ দাপট চলছে। এখন পানির বোতলের মোড়কে লেখা থাকে ড্রিংকিং ওয়াটার। সেটা আবার বাংলায়। এফএম রেডিওর দাপট কিছুটা কমেছে বলে রেডিও জকিদের ‘বাংলিশ ভাষা’ এখন খানিক কম শোনা যায়। কিন্তু সে বাংলিশ ভাষায় কথা বলার প্রবণতা এখন চলে গেছে ‘ফেসবুক লাইভ’ শিল্পীদের মুখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রায় পুরোটাই বাংলিশের দখলে। এখন কিছুটা কমলেও দেখা যায় ইংরেজি হরফে বাংলা লেখা। এই অদ্ভুত ভাষাটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয় ‘মুরাদ টাকলা ভাষা’। সে এক অত্যাশ্চর্য জিনিস বটে! 

বিদেশি ভাষা, বিশেষত ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করার বিপক্ষে নই আমি। সে ক্ষেত্রে পুরোপুরি ইংরেজি ভাষাটা ব্যবহার করা ভালো। কিঞ্চিৎ বাংলা কিঞ্চিৎ ইংরেজি শব্দ মিশিয়ে কিম্ভূত বাংলা বলা বা লেখা নয়। তাতে নিজেদের স্মার্ট ভাবলেও সেটা হওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সব সময় মায়ের কাছে শোনা একটি গল্প আমার মনে পড়ে। গল্পটি এ রকম, 

ছেলে শহরে থেকে পয়সা পকেটে ভড়ে বাড়ি ফিরেছেন। রাতের বেলা মা পরম যত্নে খাবারদাবার রান্না করে ছেলেকে খাওয়াচ্ছেন। হঠাৎ ছেলের খাদ্যনালিতে আটকে গেল খাবার। সে এক বিষম অবস্থা! ছেলে বিস্ফোরিত চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলছেন, ওয়াটার। মা সে শব্দের অর্থ জানেন না। ছেলে বলছেন, ওয়াটার, ওয়াটার। মা তাকিয়ে আছেন শুধু। অবশেষে ছেলে ‘ওয়াটার’র অভাবে মারাই গেলেন। পরদিন মা কাঁদছেন আর বলছেন, ‘ওয়াটার ওয়াটার করিয়া/জাদু গেল মরিয়া।/কায় (কে) জানে ওয়াটার মানে পানি!’ 

গল্পটি মর্মান্তিক, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই প্রবণতার কারণে বাংলা ভাষা যে অবস্থায় আছে, তাতে তার অবস্থা সত্যি সংগিন। প্রশ্ন হলো, পুরো ভাষাটারই অবস্থা কি এ রকম? উত্তর হলো, না। বলা চলে, প্রমিত বাংলা ভাষার অবস্থা সংগিন। ‘প্রমিত’ ভাষার বিপরীতে একটি আঞ্চলিক ভাষার অস্তিত্ব আহমদ রফিক। ছবি: উইকিপিডিয়াথাকে। যেমন থাকে ‘সুশাসন’ শব্দটির বিপরীতে ‘অপশাসন’ বা ‘দুঃশাসন’ শব্দটি। ভাষার ক্ষেত্রে সেটি বহাল তবিয়তে আছে আমাদের মননে, বইয়ে, সাহিত্যে, সবখানেই। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী কিংবা রংপুর এমন বড় বড় অঞ্চলগুলোর ভাষার নিজস্বতা আছে। এই ‘নিজস্বতা’কে আমরা বলি আঞ্চলিকতা। আমরা যখন যে ‘কেন্দ্রে’ থাকি তখন আমরা তার ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করি। এই কেন্দ্রটি সব সময় ঢাকা নয়। ধরুন, রাজশাহীর কোনো ছাত্র যদি সিলেট যান লেখাপড়া করতে, তিনি সিলেটের ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করবেন স্বাভাবিক ভাবে। আবার রংপুর অঞ্চলের ছাত্ররা একই কারণে ঢাকা বা রাজশাহীর ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন। কারণ সেগুলোই তখন কেন্দ্র। এই বিষয়টি যদি বিবেচনায় রাখা যায়, দেখবেন ভাষার ক্ষমতার রাজনীতিটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে চোখের সামনে। এই রাজনীতির কারণে আমাদের পানির বোতলগুলোর মোড়কে এখন বাংলায় লেখা হচ্ছে ড্রিংকিং ওয়াটার! কিংবা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য ওষুধের পাতায় ইংরেজি নাম ও নির্দেশনা। এখানে একদিকে যেমন সংখ্যা গরিষ্ঠকে অস্বীকার করা হচ্ছে, তেমনি ভাষাটির দারিদ্র্য ভীষণভাবে বেরিয়ে আসছে। অথচ আমরা ভাষার দিক থেকে কোনো অর্থেই দরিদ্র নই। 

গতকাল কথা হচ্ছিল ভাষা সৈনিক আহমদ রফিকের সঙ্গে। জানতে চাইলাম, প্রমিত ভাষার শব্দ ভান্ডার বাড়ানোর জন্য তথাকথিত আঞ্চলিক ভাষাগুলো থেকে শব্দ নেওয়া যায় কি না, যখন বিদেশি ভাষার শব্দ আমরা গ্রহণ করছি। তিনি স্পষ্টভাবে জানালেন, ‘যেকোনো ধরনের সংযোজন ভাষাকে সমৃদ্ধ করে যদি সেটা (প্রমিত) ভাষার ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়। অর্থাৎ ভাষার শক্তি, সামর্থ্য বা তার অবস্থানকে গোড়ায় নষ্ট না করে।’ বেশ অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্যের মূল সুর হলো, সতর্কভাবে আঞ্চলিক ভাষার শব্দ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এখানে যিনি সে কাজটি করছেন তাঁকে দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মনে করেন আহমদ রফিক। 

শুধু ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, সে দায়িত্বটি সবার আছে, সবক্ষেত্রে। শুধু শব্দতেই কি ভাষা বেঁচে থাকে? প্রবাদ–প্রবচন, অনুপ্রাস ইত্যাদি বিষয়গুলোও তো জরুরি বাংলা ভাষার জন্য। আমরা ইতিমধ্যে প্রবাদ–প্রবচনকে প্রায় হারিয়েই ফেলেছি ব্যবহারিক দিক থেকে। এখন বাক্যে ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’ কিংবা ‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’ অথবা ‘ধুন্ধুমার কাণ্ড’ ইত্যাদির মতো সুপ্রযুক্ত প্রবাদের ব্যবহার প্রায় বিলুপ্ত। সন্দেহ হয়, প্রবাদ বলে যে একটি বিষয় আছে আমাদের ভাষায়, সেটি কি আদৌ আমরা জানি? 

আমাদের গ্রামের নাম ফুলটুঙ্গি, ঘুম, মহিষবাথান, কলসিন্দুর, আমাদের নদীর নাম রজত রেখা, মধুমতি, গোমতি, শঙ্খ, আমাদের বাড়ির নাম সাঁঝের মায়া, ক্ষণিকা, দামিনী দালান আরও কত কী! এত শ্রুতিমধুর, এত সুন্দর সব শব্দ আমাদের ভাষায়। অথচ একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, বাংলা ভাষা আর টিকবে না। সত্যি–ই কি তাই? আঠারো কোটি মানুষের মুখের ভাষা উবে যাবে পৃথিবী থেকে? নাকি আমরা বলতে চাইছি, শিক্ষিত, ভাগ্যান্বেষী মানুষ আর বাংলা ভাষা ব্যবহার করবেন না? এটি ঠিক ভাবে বোঝা জরুরি। নইলে পানি ওয়াটার হয়ে যেতেই থাকবে আর আমরা ভাবতেই থাকব, ‘মাথায় কে হাওয়া দিছে গো মামুর বুটা’? এই ‘মামুর বুটা’ অথবা ‘আবে হোন’ বললে নিউরনে যে অনুরণন ওঠে সেটা কি হারিয়ে যেতে পারে?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বধ্যভূমি ৭১

সম্পাদকীয়
বধ্যভূমি ৭১

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রহনপুর গণকবর

সম্পাদকীয়
রহনপুর গণকবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

সম্পাদকীয়
ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।

আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।

বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।

তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।

সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।

তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত