সম্পাদকীয়
সুচিত্রা-উত্তমের ‘সপ্তপদী’ সিনেমাটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। খ্রিষ্টান মেয়ে রিনা ব্রাউনের চরিত্রে অভিনয় করে সুচিত্রা কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রপাড়া। অজয় কর পরিচালিত ছবিটি তৈরি হয়েছিল তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই ছবির সংগীত পরিচালক।
সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার পর একদিন বন্ধু গোপালকৃষ্ণকে ডেকে সুচিত্রা বললেন, ‘সপ্তপদীর রিনা ব্রাউনকে তোমার মনে পড়ে?’
গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘নিশ্চয়ই পড়ে।’
সুচিত্রা বললেন, ‘রিনা ব্রাউনকে তুমি পেতে না।’
এরপর আর কথা নেই। কেন এ প্রসঙ্গ, সেটা বোঝাও শক্ত। পরে গোপালকৃষ্ণ শরণাপন্ন হলেন ছায়াবাণী পিকচার্সের অসিত বাবুর। তিনি বললেন, ‘সপ্তপদী’ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৬০ সালে। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করেই সুচিত্রা সেন হাওয়া হয়ে যান। খোঁজ খোঁজ খোঁজ। শেষে দেখা গেল তিনি হঠাৎ পালিয়ে গিয়েছিলেন ‘বোম্বাই কা বাবা’ সিনেমাটি করার জন্য। কোনো একটা ব্যাপারে সপ্তপদীর টিমের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল সুচিত্রার। তাই শুটিং দলের সবার মাথায় হাত! অবশেষে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মীমাংসা হলে ফিরে এসে ‘সপ্তপদী’তে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে।
বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে স্মৃতিকথা লিখতে বলেছেন গোপালকৃষ্ণ। বলেছেন, ‘লেখো, রমা।’ সুচিত্রা বলেছেন, ‘লিখতে হলে তো কলম দরকার। তুমি আমায় কলম দাও।’
গোপালকৃষ্ণ ভালো কলমে লিখতেন। সে রকম কলম দিয়েছেন একটার পর একটা। গোটা পঁচিশেক কলম দেওয়ার পর গোপালকৃষ্ণ বুঝলেন, সুচিত্রাকে দিয়ে আর লেখানো সম্ভব নয়। সুচিত্রা বললেন, ‘কলম তো দিলে, কাগজ?’
সে কাগজও এল। কিন্তু লেখা হলো না। গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘এবার লেখো। আমি পরশু এসে লেখাটা নিয়ে যাব।’
কিন্তু কোথায় লেখা? কাগজে একটা ছবি এঁকে রেখেছেন শুধু। এরপর বলেছেন, ‘জীবনের কথা বলতে গেলে তো বহু রাসকেলের কথা এসে যাবে। তাদের কথা কী লিখব, বলো তো?’
সূত্র: গোপালকৃষ্ণ রায়, আনন্দলোক, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪
সুচিত্রা-উত্তমের ‘সপ্তপদী’ সিনেমাটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। খ্রিষ্টান মেয়ে রিনা ব্রাউনের চরিত্রে অভিনয় করে সুচিত্রা কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রপাড়া। অজয় কর পরিচালিত ছবিটি তৈরি হয়েছিল তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছিলেন এই ছবির সংগীত পরিচালক।
সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার পর একদিন বন্ধু গোপালকৃষ্ণকে ডেকে সুচিত্রা বললেন, ‘সপ্তপদীর রিনা ব্রাউনকে তোমার মনে পড়ে?’
গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘নিশ্চয়ই পড়ে।’
সুচিত্রা বললেন, ‘রিনা ব্রাউনকে তুমি পেতে না।’
এরপর আর কথা নেই। কেন এ প্রসঙ্গ, সেটা বোঝাও শক্ত। পরে গোপালকৃষ্ণ শরণাপন্ন হলেন ছায়াবাণী পিকচার্সের অসিত বাবুর। তিনি বললেন, ‘সপ্তপদী’ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৬০ সালে। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করেই সুচিত্রা সেন হাওয়া হয়ে যান। খোঁজ খোঁজ খোঁজ। শেষে দেখা গেল তিনি হঠাৎ পালিয়ে গিয়েছিলেন ‘বোম্বাই কা বাবা’ সিনেমাটি করার জন্য। কোনো একটা ব্যাপারে সপ্তপদীর টিমের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল সুচিত্রার। তাই শুটিং দলের সবার মাথায় হাত! অবশেষে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মীমাংসা হলে ফিরে এসে ‘সপ্তপদী’তে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে।
বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে স্মৃতিকথা লিখতে বলেছেন গোপালকৃষ্ণ। বলেছেন, ‘লেখো, রমা।’ সুচিত্রা বলেছেন, ‘লিখতে হলে তো কলম দরকার। তুমি আমায় কলম দাও।’
গোপালকৃষ্ণ ভালো কলমে লিখতেন। সে রকম কলম দিয়েছেন একটার পর একটা। গোটা পঁচিশেক কলম দেওয়ার পর গোপালকৃষ্ণ বুঝলেন, সুচিত্রাকে দিয়ে আর লেখানো সম্ভব নয়। সুচিত্রা বললেন, ‘কলম তো দিলে, কাগজ?’
সে কাগজও এল। কিন্তু লেখা হলো না। গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘এবার লেখো। আমি পরশু এসে লেখাটা নিয়ে যাব।’
কিন্তু কোথায় লেখা? কাগজে একটা ছবি এঁকে রেখেছেন শুধু। এরপর বলেছেন, ‘জীবনের কথা বলতে গেলে তো বহু রাসকেলের কথা এসে যাবে। তাদের কথা কী লিখব, বলো তো?’
সূত্র: গোপালকৃষ্ণ রায়, আনন্দলোক, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
২ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৩ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৫ দিন আগে