সম্পাদকীয়
এমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি। ‘কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ’-এর কিছু বিবরণ আছে।
আমি অনেক প্রবন্ধ লেখেছি, সাহিত্য সমালোচনা করেছি, অকপটে আমার মতামত প্রকাশ করেছি। তাই এমএ ক্লাসে উঠতে না উঠতেই আমার অনেক শত্রু তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর এখন তো তাদের অভাব নেই। আমার একটি প্রবন্ধের জন্য খুব খেপেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। যেহেতু আমি তাঁর কবিতাকে ঠিক কবিতা বলে স্বীকার করিনি। শহীদ কাদরীর ‘উত্তরাধিকার’-এ আমিই প্রথম আলোচনা লিখেছিলাম, বেশ দীর্ঘ সমালোচনা, বেরিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান লেখক সংঘের ‘পরিক্রম’ পত্রিকায়। অনেক প্রশংসা করেছিলাম, তবে একটু সমালোচনাও ছিল, তাতেই খেপে গিয়েছিলেন কাদরী।
এমএ পরীক্ষা দেওয়ার পর টাকাপয়সার দরকার হলো, কেননা তখন বৃত্তি বন্ধ হয়ে গেছে। ইত্তেফাকের দাদাভাইকে ব্যাপারটি বললাম।...তিনি আমাকে সাহিত্যের পাতায় প্রতি সংখ্যায় কিছু লিখতে বললেন। আমি ‘জর্নাল’ নামে একটি কলাম লেখা শুরু করলাম। ওটি ছিল পুরোপুরি সাহিত্য নিয়ে লেখা কলাম। খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। শত্রুও সৃষ্টি হয়েছিল অনেক। তখন ‘ললনা’ নামে নারীদের একটা সাপ্তাহিক বেরোতো, তাতে নারীদের ছদ্মনামে সাধারণত লিখত পুরুষ লেখকেরাই। সেখানে ‘লুনা অরবিটা’ নামে একজন নিয়মিতভাবে আমাকে গালাগালি দিত। ওই ‘লুনা অরবিটা’ কে, তা আমি পরে জেনেছিলাম। ওই লুনা অরবিটারা এখন প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেছে...
সূত্র: এই বাঙলার সক্রেটিস, জামাল উদ্দিন ও শরীফা বুলবুল সম্পাদিত, পৃষ্ঠা-৪২-৪৩
এমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি। ‘কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ’-এর কিছু বিবরণ আছে।
আমি অনেক প্রবন্ধ লেখেছি, সাহিত্য সমালোচনা করেছি, অকপটে আমার মতামত প্রকাশ করেছি। তাই এমএ ক্লাসে উঠতে না উঠতেই আমার অনেক শত্রু তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর এখন তো তাদের অভাব নেই। আমার একটি প্রবন্ধের জন্য খুব খেপেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। যেহেতু আমি তাঁর কবিতাকে ঠিক কবিতা বলে স্বীকার করিনি। শহীদ কাদরীর ‘উত্তরাধিকার’-এ আমিই প্রথম আলোচনা লিখেছিলাম, বেশ দীর্ঘ সমালোচনা, বেরিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান লেখক সংঘের ‘পরিক্রম’ পত্রিকায়। অনেক প্রশংসা করেছিলাম, তবে একটু সমালোচনাও ছিল, তাতেই খেপে গিয়েছিলেন কাদরী।
এমএ পরীক্ষা দেওয়ার পর টাকাপয়সার দরকার হলো, কেননা তখন বৃত্তি বন্ধ হয়ে গেছে। ইত্তেফাকের দাদাভাইকে ব্যাপারটি বললাম।...তিনি আমাকে সাহিত্যের পাতায় প্রতি সংখ্যায় কিছু লিখতে বললেন। আমি ‘জর্নাল’ নামে একটি কলাম লেখা শুরু করলাম। ওটি ছিল পুরোপুরি সাহিত্য নিয়ে লেখা কলাম। খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। শত্রুও সৃষ্টি হয়েছিল অনেক। তখন ‘ললনা’ নামে নারীদের একটা সাপ্তাহিক বেরোতো, তাতে নারীদের ছদ্মনামে সাধারণত লিখত পুরুষ লেখকেরাই। সেখানে ‘লুনা অরবিটা’ নামে একজন নিয়মিতভাবে আমাকে গালাগালি দিত। ওই ‘লুনা অরবিটা’ কে, তা আমি পরে জেনেছিলাম। ওই লুনা অরবিটারা এখন প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেছে...
সূত্র: এই বাঙলার সক্রেটিস, জামাল উদ্দিন ও শরীফা বুলবুল সম্পাদিত, পৃষ্ঠা-৪২-৪৩
আনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
২ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৪ দিন আগেরাজধানীর লালবাগে খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদের ভেতরে এখনো ফারসি ভাষার যে শিলালিপিটি আছে, তাতে পাওয়া তথ্যমতে, ঢাকার প্রধান বিচারক কাজী ইবাদুল্লাহের আদেশে আতিশখানা এলাকায় হিজরি ১১১৬ সালে খান মোহাম্মদ নির্মাণ করেন এই মসজিদটি।
৫ দিন আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে এখন যে স্টেডিয়ামটি রয়েছে সেটির বয়স ৭১ বছর। যখন ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ছিল, সেই ১৯৫৪ সালে নির্মাণ করা হয় অন্যতম প্রাচীন এই ক্রীড়া স্থাপনা। এর আগে এখানে ছিল ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মাঠ। শুরুতে এটি ঢাকা স্টেডিয়াম হিসেবেই পরিচিতি পায়।
৭ দিন আগে