সম্পাদকীয়
আব্দুল জব্বার খান এ দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার উত্তর মসদগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। আসামের ধুবড়িতে তাঁর বাবা পাটের ব্যবসা করতেন। সেখানেই শৈশবে তিনি স্কুলে ভর্তি হন। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জড়িয়ে পড়েন নাটকের সঙ্গে। নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন।
১৯৪৯ সালে তাঁর পরিবার ঢাকায় স্থায়ীভাবে চলে আসে। ঢাকায় এসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘কমলাপুর ড্রামাটিক অ্যাসোসিয়েশন’। এই সংগঠনের উদ্যোগে তিনি টিপু সুলতান ও আলীবর্দী খান নাটক মঞ্চায়ন করেন।
১৯৫৬ সালে তাঁর রচিত নাটক ‘ডাকাত’-এর গল্প অবলম্বনে তৈরি করেন ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রটিই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্মিত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনার সঙ্গে এর মূল চরিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। প্রদর্শনী নিয়ে একটু ঝামেলা হয়। চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ শুটিংয়ের কাজ ঢাকায় হলেও, তা এখানে দেখার অনুমতি মেলেনি। তাই প্রথম প্রদর্শনী হয় লাহোরে। ঢাকার পরিবেশকেরা ছবিটি মুক্তি দিতে রাজি হননি। তখন পাকিস্তান ফিল্ম ট্রাস্ট ও পাকিস্তান ফিল্ম সার্ভিস ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্ব নেয়। ঢাকার রূপমহলে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর একে একে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘বনসারি’, ‘কাঁচ কাটা হীরা’, ‘খেলারাম’ প্রভৃতি সিনেমা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও পরিবেশনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরিবোর্ড, অনুদান কমিটি, সেন্সর বোর্ড, ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ষাটের দশকের প্রথম ভাগে গঠিত পাকিস্তান পরিচালক সমিতির অন্যতম সংগঠকও ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
আমাদের চলচ্চিত্র জগতের প্রথম পরিচালক খ্যাত এই মানুষটি ১৯৯৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আব্দুল জব্বার খান এ দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার উত্তর মসদগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। আসামের ধুবড়িতে তাঁর বাবা পাটের ব্যবসা করতেন। সেখানেই শৈশবে তিনি স্কুলে ভর্তি হন। মাধ্যমিকে পড়ার সময় জড়িয়ে পড়েন নাটকের সঙ্গে। নবম-দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন।
১৯৪৯ সালে তাঁর পরিবার ঢাকায় স্থায়ীভাবে চলে আসে। ঢাকায় এসে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘কমলাপুর ড্রামাটিক অ্যাসোসিয়েশন’। এই সংগঠনের উদ্যোগে তিনি টিপু সুলতান ও আলীবর্দী খান নাটক মঞ্চায়ন করেন।
১৯৫৬ সালে তাঁর রচিত নাটক ‘ডাকাত’-এর গল্প অবলম্বনে তৈরি করেন ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রটিই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্মিত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনার সঙ্গে এর মূল চরিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। প্রদর্শনী নিয়ে একটু ঝামেলা হয়। চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ শুটিংয়ের কাজ ঢাকায় হলেও, তা এখানে দেখার অনুমতি মেলেনি। তাই প্রথম প্রদর্শনী হয় লাহোরে। ঢাকার পরিবেশকেরা ছবিটি মুক্তি দিতে রাজি হননি। তখন পাকিস্তান ফিল্ম ট্রাস্ট ও পাকিস্তান ফিল্ম সার্ভিস ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্ব নেয়। ঢাকার রূপমহলে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর একে একে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘জোয়ার এলো’, ‘নাচঘর’, ‘বনসারি’, ‘কাঁচ কাটা হীরা’, ‘খেলারাম’ প্রভৃতি সিনেমা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও পরিবেশনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরিবোর্ড, অনুদান কমিটি, সেন্সর বোর্ড, ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ষাটের দশকের প্রথম ভাগে গঠিত পাকিস্তান পরিচালক সমিতির অন্যতম সংগঠকও ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
আমাদের চলচ্চিত্র জগতের প্রথম পরিচালক খ্যাত এই মানুষটি ১৯৯৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১৬ ঘণ্টা আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে