অশোক কুমার
অশোক কুমার কী করে চলচ্চিত্রাভিনেতা হলেন, সে গল্পটি খুবই মজার। একটি ছবির নায়ক ছিলেন নাজমুল হাসান। নায়িকা দেবিকা রানী। শুটিং শুরু হতেই নায়ক নায়িকাকে নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই হাওয়া হয়ে গেলেন। ছবির তো বারোটা বাজল। দেবিকা ছিলেন বোম্বে টকিজের স্বত্বাধিকারী হিমাংশু রায়ের স্ত্রী।
তবে কিছুদিনের মধ্যেই দেবিকা রানীর বোধোদয় হলো, তিনি ফিরে এলেন। হিমাংশু বাবুও তাঁকে ফিরিয়ে নিলেন। এবার প্রশ্ন হলো, নায়কের চরিত্রে অভিনয় করবে কে? সে সময় বিএসসি পাস করে এক বছর কলকাতায় ওকালতি পড়ে অশোক কুমারের জায়গা হয়েছিল বোম্বে টকিজের ল্যাবরেটরিতে। তিনি কাজ শিখছিলেন বিনা পয়সায়। অল্প-স্বল্প গান-বাজনাও ছিল রক্তে।
অশোকের আত্মীয় এস মুখার্জি ছিলেন বোম্বে টকিজের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী। তিনিই একদিন নায়ক হিসেবে অশোকের নাম প্রস্তাব করলেন। হিমাংশু রায় রাজি হলেন, বললেন ক্যামেরা টেস্ট করাতে।
জার্মান ক্যামেরার সামনে টেস্ট হলো। জার্মান পরিচালক ক্লান্স অস্টন অবশ্য অশোকের স্ক্রিন টেস্টে খুশি হলেন না। কিন্তু হিমাংশু রায় তাঁর কথাকে পাত্তা দিলেন না। তিনি নিলেন অশোককে। বেশ কয়েকটি ছবি করে ফেললেন অশোক। বয়স তখন বাইশ। অশোক কুমারের ভক্তসংখ্যা বেড়ে গেল। অশোক কিন্তু এই তারকাখ্যাতি উপভোগ করতেন না। তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। খেপে যেতেন।
ল্যাবরেটরির বহির্বিভাগে কাজ করার সময় অশোক পেতেন পঁচাত্তর টাকা। তাতেই দিব্যি রাজার হালে থাকতেন। এরপর বেতন বেড়ে দেড় শ টাকা হলো। অশোক খুশি। তারপর যখন আড়াই শ টাকা হলো, অশোক হতবাক! অশোক একদিন সাদত হাসান মান্টোকে বলেছিলেন, ‘বাই গড মান্টো! আমার অবস্থা তখন এমন হয়েছিল, তোমাকে আর কী বলব। ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে যখন আড়াই শ টাকা হাতে নিচ্ছিলাম, তখন উত্তেজনায় রীতিমতো হাত কাঁপছিল।
সূত্র: সাদত হাসান মান্টো, গাঞ্জে ফেরেশতে, পৃষ্ঠা: ১৯-২১
অশোক কুমার কী করে চলচ্চিত্রাভিনেতা হলেন, সে গল্পটি খুবই মজার। একটি ছবির নায়ক ছিলেন নাজমুল হাসান। নায়িকা দেবিকা রানী। শুটিং শুরু হতেই নায়ক নায়িকাকে নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই হাওয়া হয়ে গেলেন। ছবির তো বারোটা বাজল। দেবিকা ছিলেন বোম্বে টকিজের স্বত্বাধিকারী হিমাংশু রায়ের স্ত্রী।
তবে কিছুদিনের মধ্যেই দেবিকা রানীর বোধোদয় হলো, তিনি ফিরে এলেন। হিমাংশু বাবুও তাঁকে ফিরিয়ে নিলেন। এবার প্রশ্ন হলো, নায়কের চরিত্রে অভিনয় করবে কে? সে সময় বিএসসি পাস করে এক বছর কলকাতায় ওকালতি পড়ে অশোক কুমারের জায়গা হয়েছিল বোম্বে টকিজের ল্যাবরেটরিতে। তিনি কাজ শিখছিলেন বিনা পয়সায়। অল্প-স্বল্প গান-বাজনাও ছিল রক্তে।
অশোকের আত্মীয় এস মুখার্জি ছিলেন বোম্বে টকিজের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী। তিনিই একদিন নায়ক হিসেবে অশোকের নাম প্রস্তাব করলেন। হিমাংশু রায় রাজি হলেন, বললেন ক্যামেরা টেস্ট করাতে।
জার্মান ক্যামেরার সামনে টেস্ট হলো। জার্মান পরিচালক ক্লান্স অস্টন অবশ্য অশোকের স্ক্রিন টেস্টে খুশি হলেন না। কিন্তু হিমাংশু রায় তাঁর কথাকে পাত্তা দিলেন না। তিনি নিলেন অশোককে। বেশ কয়েকটি ছবি করে ফেললেন অশোক। বয়স তখন বাইশ। অশোক কুমারের ভক্তসংখ্যা বেড়ে গেল। অশোক কিন্তু এই তারকাখ্যাতি উপভোগ করতেন না। তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। খেপে যেতেন।
ল্যাবরেটরির বহির্বিভাগে কাজ করার সময় অশোক পেতেন পঁচাত্তর টাকা। তাতেই দিব্যি রাজার হালে থাকতেন। এরপর বেতন বেড়ে দেড় শ টাকা হলো। অশোক খুশি। তারপর যখন আড়াই শ টাকা হলো, অশোক হতবাক! অশোক একদিন সাদত হাসান মান্টোকে বলেছিলেন, ‘বাই গড মান্টো! আমার অবস্থা তখন এমন হয়েছিল, তোমাকে আর কী বলব। ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে যখন আড়াই শ টাকা হাতে নিচ্ছিলাম, তখন উত্তেজনায় রীতিমতো হাত কাঁপছিল।
সূত্র: সাদত হাসান মান্টো, গাঞ্জে ফেরেশতে, পৃষ্ঠা: ১৯-২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৬ ঘণ্টা আগেশক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১ দিন আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগে