১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর জন্ম নেওয়া শিল্পী পাবলো পিকাসোর আঁকা গোয়ের্নিকা নিয়েই আজ কথা হবে। বিশাল ক্যানভাসে আঁকা এই শিল্পকর্ম আজ মানবতার পক্ষে, ধ্বংসের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় প্রতিবাদ।
১৯৩৭ সালের ২৬ এপ্রিল এমন এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল, যা মানবেতিহাস কখনো ভুলবে না। স্পেনের স্বৈরাচার ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর অনুরোধে জার্মানি আর ইতালি যৌথভাবে আক্রমণ চালিয়েছিল স্পেনের গোয়ের্নিকা গ্রামে। গ্রামটি ছিল স্পেনের বাস্ক প্রদেশে। সেদিন ছিল সোমবার, ছিল হাটের দিন। প্রাচীন সভ্যতার বহু নিদর্শন ছিল এই গ্রামে। বিকেলটা ছিল আনন্দের। আশপাশের গ্রাম থেকেও হাটে এসেছিল মানুষ। ঠিক সে রকম একটা সময়ে শুরু হলো বোমা বর্ষণ। প্রথম দফায় বোমা হামলা শেষ হলে সবাই ভাবল, এ যাত্রায় বাঁচা গেল। কিন্তু এটা আসলে ছিল বিরতি। এরপর শুরু হলো কার্পেট বোম্বিং। টানা তিন ঘণ্টা চলল সেই হামলা। ২২ টন বোমা বর্ষণ হয়েছিল সেদিন। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নারী, শিশু ও নিরস্ত্র মানুষ।
টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক জন স্টিয়ার এই বোমা হামলার দুদিন পর গোয়ের্নিকায় এসেছিলেন। সে সময় স্পেনে চলছিল গৃহযুদ্ধ। জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া হিসেবে নাৎসিদের শক্তি পরীক্ষার জন্য এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন। টাইমসে বিষয়টি নিয়ে লেখা বের হলো। পিকাসোর চোখে পড়েছিল পত্রিকাটি। তখন তিনি স্পেনের প্রজাতন্ত্রী সরকারের হয়ে একটি ছবি আঁকার চেষ্টা করছিলেন। সে কাজ এগোচ্ছিল না। স্বদেশ আক্রান্ত হয়েছে, এই সংবাদে জ্বলে উঠলেন পিকাসো। ১৯৩৭ সালের ১১ মে শুরু করলেন বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকা। ছবিটি ছিল কিউবিস্ট রীতিতে। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে তিনি আঁকা শেষ করেছিলেন।
রঙে আঁকেননি ছবিটি। ছবিটি কালো, ধূসর আর সাদা। আর সব রং যেন শুষে নিয়েছে হত্যাকাণ্ড। সৈনিকের বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ষাঁড়, মুরগি, তলোয়ার, উদভ্রান্ত ঘোড়া, ছোট ফুল আর একাধিক নারী। প্রতিটি চরিত্রই এখানে ক্লিষ্ট। হাহাকার আর মৃত্যুই যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে সেখানে।
সূত্র: পাবলো রুইস পিকাসো ডট রু
১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর জন্ম নেওয়া শিল্পী পাবলো পিকাসোর আঁকা গোয়ের্নিকা নিয়েই আজ কথা হবে। বিশাল ক্যানভাসে আঁকা এই শিল্পকর্ম আজ মানবতার পক্ষে, ধ্বংসের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় প্রতিবাদ।
১৯৩৭ সালের ২৬ এপ্রিল এমন এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল, যা মানবেতিহাস কখনো ভুলবে না। স্পেনের স্বৈরাচার ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর অনুরোধে জার্মানি আর ইতালি যৌথভাবে আক্রমণ চালিয়েছিল স্পেনের গোয়ের্নিকা গ্রামে। গ্রামটি ছিল স্পেনের বাস্ক প্রদেশে। সেদিন ছিল সোমবার, ছিল হাটের দিন। প্রাচীন সভ্যতার বহু নিদর্শন ছিল এই গ্রামে। বিকেলটা ছিল আনন্দের। আশপাশের গ্রাম থেকেও হাটে এসেছিল মানুষ। ঠিক সে রকম একটা সময়ে শুরু হলো বোমা বর্ষণ। প্রথম দফায় বোমা হামলা শেষ হলে সবাই ভাবল, এ যাত্রায় বাঁচা গেল। কিন্তু এটা আসলে ছিল বিরতি। এরপর শুরু হলো কার্পেট বোম্বিং। টানা তিন ঘণ্টা চলল সেই হামলা। ২২ টন বোমা বর্ষণ হয়েছিল সেদিন। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নারী, শিশু ও নিরস্ত্র মানুষ।
টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক জন স্টিয়ার এই বোমা হামলার দুদিন পর গোয়ের্নিকায় এসেছিলেন। সে সময় স্পেনে চলছিল গৃহযুদ্ধ। জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া হিসেবে নাৎসিদের শক্তি পরীক্ষার জন্য এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন। টাইমসে বিষয়টি নিয়ে লেখা বের হলো। পিকাসোর চোখে পড়েছিল পত্রিকাটি। তখন তিনি স্পেনের প্রজাতন্ত্রী সরকারের হয়ে একটি ছবি আঁকার চেষ্টা করছিলেন। সে কাজ এগোচ্ছিল না। স্বদেশ আক্রান্ত হয়েছে, এই সংবাদে জ্বলে উঠলেন পিকাসো। ১৯৩৭ সালের ১১ মে শুরু করলেন বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকা। ছবিটি ছিল কিউবিস্ট রীতিতে। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে তিনি আঁকা শেষ করেছিলেন।
রঙে আঁকেননি ছবিটি। ছবিটি কালো, ধূসর আর সাদা। আর সব রং যেন শুষে নিয়েছে হত্যাকাণ্ড। সৈনিকের বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, ষাঁড়, মুরগি, তলোয়ার, উদভ্রান্ত ঘোড়া, ছোট ফুল আর একাধিক নারী। প্রতিটি চরিত্রই এখানে ক্লিষ্ট। হাহাকার আর মৃত্যুই যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে সেখানে।
সূত্র: পাবলো রুইস পিকাসো ডট রু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৫ ঘণ্টা আগেশক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১ দিন আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগে