সম্পাদকীয়
কমরেড মুজফ্ফর আহমদ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর জন্ম ১৮৮৯ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে। তিনি সন্দ্বীপের কারগিল হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এরপর নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা চলে যান। হুগলি মহসিন কলেজে তিনি দু-তিন মাস আইএ ক্লাসে পড়াশোনা করেন। পরে বঙ্গবাসী কলেজেও কিছুকাল পড়াশোনা করেন।
কলেজ ছাড়ার পর বাংলা সরকারের অনুবাদ দপ্তরে কিছুদিন উর্দু থেকে ইংরেজি অনুবাদকের কাজ করেন। জীবিকার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চাকরি নিতে বাধ্য হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাবে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৮-১৯ সালে তিনি ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা সমিতি’তে যোগদান করেন। এদের প্রকাশিত ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এই পত্রিকার সূত্রেই মুজফ্ফর আহমদের সঙ্গে কবি নজরুল ইসলামের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমৃত্যু তা বজায় ছিল।
১৯২১ সালের শুরুতে দেশত্যাগী ভারতীয় মোহাজীর বিপ্লবীদের নিয়ে মধ্য এশিয়ার তাসখন্দে এবং পরে মস্কো শহরে ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। বাংলায় তিনি ছিলেন প্রথম পার্টির সদস্য।
একদিকে প্রচণ্ড অর্ধাহার, অনাহার, দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, অন্যদিকে সর্বক্ষণ পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে প্রচার চালানোর কঠিন কাজ তাঁকে করতে হয়। থাকারও কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থান ছিল না। এই সময় তাঁর একমাত্র ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন কমরেড আব্দুল হালিম।
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘ধূমকেতু’ এবং পরে ‘লাঙল’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। এরপর লাঙলের নাম পরিবর্তন করে প্রকাশিত হয় ‘গণবাণী’। এই পত্রিকার মূল দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তিনি রাজনৈতিক কারণে জেলে বন্দী ছিলেন। তাঁর দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই হলো ‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ এবং ‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’।
মানবদরদি এই মানুষটি ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
কমরেড মুজফ্ফর আহমদ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর জন্ম ১৮৮৯ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে। তিনি সন্দ্বীপের কারগিল হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এরপর নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা চলে যান। হুগলি মহসিন কলেজে তিনি দু-তিন মাস আইএ ক্লাসে পড়াশোনা করেন। পরে বঙ্গবাসী কলেজেও কিছুকাল পড়াশোনা করেন।
কলেজ ছাড়ার পর বাংলা সরকারের অনুবাদ দপ্তরে কিছুদিন উর্দু থেকে ইংরেজি অনুবাদকের কাজ করেন। জীবিকার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চাকরি নিতে বাধ্য হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাবে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৮-১৯ সালে তিনি ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা সমিতি’তে যোগদান করেন। এদের প্রকাশিত ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এই পত্রিকার সূত্রেই মুজফ্ফর আহমদের সঙ্গে কবি নজরুল ইসলামের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমৃত্যু তা বজায় ছিল।
১৯২১ সালের শুরুতে দেশত্যাগী ভারতীয় মোহাজীর বিপ্লবীদের নিয়ে মধ্য এশিয়ার তাসখন্দে এবং পরে মস্কো শহরে ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। বাংলায় তিনি ছিলেন প্রথম পার্টির সদস্য।
একদিকে প্রচণ্ড অর্ধাহার, অনাহার, দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, অন্যদিকে সর্বক্ষণ পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে প্রচার চালানোর কঠিন কাজ তাঁকে করতে হয়। থাকারও কোনো নির্দিষ্ট বাসস্থান ছিল না। এই সময় তাঁর একমাত্র ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন কমরেড আব্দুল হালিম।
১৯২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘ধূমকেতু’ এবং পরে ‘লাঙল’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। এরপর লাঙলের নাম পরিবর্তন করে প্রকাশিত হয় ‘গণবাণী’। এই পত্রিকার মূল দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তিনি রাজনৈতিক কারণে জেলে বন্দী ছিলেন। তাঁর দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই হলো ‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ এবং ‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’।
মানবদরদি এই মানুষটি ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
২ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
৩ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৫ দিন আগে