সম্পাদকীয়
গুরু মুভিজের ব্যানারে ‘লহু পুকারেগা’ নামে একটি সিনেমা হচ্ছে। তার মূল ভূমিকায় সুনীল দত্ত। সংগীত পরিচালনা করছেন মামা-ভাগনে সোনিক-ওমি। যে গানটি মান্না দে গাইবেন, তার কথাগুলো হচ্ছে, ‘ইয়ে হিঁচকি শরাব কি নেহি, কিসিনে মুঝে ইয়াদ কিয়া হ্যায়!’
খুবই দুঃখের গানটি। হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছে নায়ক। বলছে, মদ খেয়েছি বলে হেঁচকি উঠছে না, আমার ভাই আমাকে স্মরণ করছে বলেই এই হেঁচকি!’
রাজি তো হলেন মান্না দে। হঠাৎ করেই শুরু হলো দাঁতে ব্যথা। মান্না বললেন, রেকর্ডিং কিছুদিন পিছিয়ে দিতে কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে গানটা করিয়ে নিতে। কিন্তু তাঁরা কোনোটা করতেই রাজি হলেন না।
রিহার্সাল শুরু হলো। লবঙ্গের তেল দিয়ে দাঁতের ব্যথা কমিয়ে মহড়া করছেন মান্না। দেখা গেল, কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যথা একটু কম। কিন্তু যেদিন রেকর্ডিং, তার আগের রাত থেকেই ফিরে এল সৃষ্টিছাড়া দাঁতব্যথা। অসহ্য যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতেই পারলেন না মান্না। রেকর্ডিং শুরু হলে তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে যেতে থাকল মান্নার মুখাবয়ব। বহু কষ্ট করে তিনি উচ্চারণ করছিলেন শব্দগুলো। তখন রেকর্ডিং বন্ধ করে দিলে বহু টাকা গচ্চা দিতে হবে প্রযোজককে। তাই সেদিকে না গিয়ে গাইতে থাকলেন মান্না। ব্যথায় চোখ ফেটে কান্না এল। মুখ একটু নড়লেই যন্ত্রণা!
একসময় শেষ হলো গান। চারদিকে শ্মশানের নীরবতা। ভড়কে গেলেন মান্না দে। ভাবলেন, গানে ভুল হয়েছে কোথাও। কিন্তু সবাই যে মান্নার চোখে জল দেখে নিথর হয়ে রয়েছে, সেটা বুঝলেন অনেক পরে। সংগীত পরিচালক মি. সোনিক এসে বললেন, ‘বাহ, দাদা! কামাল কর দেয়া। আপকো আঁখোমে আঁসু। কিতনে রো রাহি হ্যায় আপ, আহা আহা!’
মান্না দে আসল রহস্য ফাঁস করেননি মুখ নড়াচড়া করে যন্ত্রণা বাড়ানোর ভয়ে। তিনি অনেক পরে ঘটনাটা লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে। আজ মান্না দের মৃত্যুদিনে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৬৬-১৬৭
গুরু মুভিজের ব্যানারে ‘লহু পুকারেগা’ নামে একটি সিনেমা হচ্ছে। তার মূল ভূমিকায় সুনীল দত্ত। সংগীত পরিচালনা করছেন মামা-ভাগনে সোনিক-ওমি। যে গানটি মান্না দে গাইবেন, তার কথাগুলো হচ্ছে, ‘ইয়ে হিঁচকি শরাব কি নেহি, কিসিনে মুঝে ইয়াদ কিয়া হ্যায়!’
খুবই দুঃখের গানটি। হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছে নায়ক। বলছে, মদ খেয়েছি বলে হেঁচকি উঠছে না, আমার ভাই আমাকে স্মরণ করছে বলেই এই হেঁচকি!’
রাজি তো হলেন মান্না দে। হঠাৎ করেই শুরু হলো দাঁতে ব্যথা। মান্না বললেন, রেকর্ডিং কিছুদিন পিছিয়ে দিতে কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে গানটা করিয়ে নিতে। কিন্তু তাঁরা কোনোটা করতেই রাজি হলেন না।
রিহার্সাল শুরু হলো। লবঙ্গের তেল দিয়ে দাঁতের ব্যথা কমিয়ে মহড়া করছেন মান্না। দেখা গেল, কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যথা একটু কম। কিন্তু যেদিন রেকর্ডিং, তার আগের রাত থেকেই ফিরে এল সৃষ্টিছাড়া দাঁতব্যথা। অসহ্য যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতেই পারলেন না মান্না। রেকর্ডিং শুরু হলে তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে যেতে থাকল মান্নার মুখাবয়ব। বহু কষ্ট করে তিনি উচ্চারণ করছিলেন শব্দগুলো। তখন রেকর্ডিং বন্ধ করে দিলে বহু টাকা গচ্চা দিতে হবে প্রযোজককে। তাই সেদিকে না গিয়ে গাইতে থাকলেন মান্না। ব্যথায় চোখ ফেটে কান্না এল। মুখ একটু নড়লেই যন্ত্রণা!
একসময় শেষ হলো গান। চারদিকে শ্মশানের নীরবতা। ভড়কে গেলেন মান্না দে। ভাবলেন, গানে ভুল হয়েছে কোথাও। কিন্তু সবাই যে মান্নার চোখে জল দেখে নিথর হয়ে রয়েছে, সেটা বুঝলেন অনেক পরে। সংগীত পরিচালক মি. সোনিক এসে বললেন, ‘বাহ, দাদা! কামাল কর দেয়া। আপকো আঁখোমে আঁসু। কিতনে রো রাহি হ্যায় আপ, আহা আহা!’
মান্না দে আসল রহস্য ফাঁস করেননি মুখ নড়াচড়া করে যন্ত্রণা বাড়ানোর ভয়ে। তিনি অনেক পরে ঘটনাটা লিখেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে। আজ মান্না দের মৃত্যুদিনে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৬৬-১৬৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে
৫ ঘণ্টা আগেশক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহড়ু গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে দাদামশায়ের কাছে বড় হন। গ্রামে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
১ দিন আগেআহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
২ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ দিন আগে