সম্পাদকীয়
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও তিনি বহু ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। নাটক ছিল তাঁর প্রথম প্রেম আর দ্বিতীয় প্রেম ছিল সাহিত্য। একই সঙ্গে তিনি নাট্য নির্দেশক, নাটক রচনা, মঞ্চ অভিনেতা, কবি, আবৃত্তিকার, সম্পাদক ও নাট্যসংগঠক ছিলেন। তিনি ও নির্মল আচার্য মিলে ১৯৬১ সালে ‘এক্ষণ’ নামে একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। মননশীল পাঠকেরা এই পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন। পত্রিকার নামকরণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারে অভিনয় করা ছিল তাঁর প্রথম ভালো লাগার জায়গা। পেশাদার নাট্যজীবন তিনি শুরু করেছিলেন কলকাতার স্টার থিয়েটারে ১৯৬৩ সালে, ‘তাপসী’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
এরপর তিনি সিটি কলেজে পড়ার সময় সাহিত্যিক এবং অধ্যাপক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসেন। টেনিদার স্রষ্টা তাঁকে পরামর্শ দেন নাটকে অভিনয় করার জন্য। এ প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর অভিনয় জীবনের পেছনে ছিল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় ভূমিকা। কৃষ্ণনগরের সেন্ট জোনস বিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
এরপর স্বনামধন্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রবেশ। অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘অপরাজিত’র জন্য অপু চরিত্রের অভিনয়শিল্পী খুঁজছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর সহকারী নিত্যানন্দ দত্তের সঙ্গে সৌমিত্রের বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুর সঙ্গে সেই চলচ্চিত্রের জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে চরিত্রের সঙ্গে তাঁর বয়স না মেলায় সেবার তিনি বাদ পড়ে যান। কিন্তু সত্যজিৎ রায় তাঁকে মনে রেখেছিলেন। এরপর ১৯৫৯ সালে নির্মিত অপু ট্রিলজির শেষ চলচ্চিত্র ‘অপুর সংসার’-এ তরুণ অপুর চরিত্রের জন্য সৌমিত্রকে বেছে নিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি মারা যান। চলচ্চিত্র জগতের এই দিকপাল মানুষটি ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও তিনি বহু ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। নাটক ছিল তাঁর প্রথম প্রেম আর দ্বিতীয় প্রেম ছিল সাহিত্য। একই সঙ্গে তিনি নাট্য নির্দেশক, নাটক রচনা, মঞ্চ অভিনেতা, কবি, আবৃত্তিকার, সম্পাদক ও নাট্যসংগঠক ছিলেন। তিনি ও নির্মল আচার্য মিলে ১৯৬১ সালে ‘এক্ষণ’ নামে একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। মননশীল পাঠকেরা এই পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন। পত্রিকার নামকরণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারে অভিনয় করা ছিল তাঁর প্রথম ভালো লাগার জায়গা। পেশাদার নাট্যজীবন তিনি শুরু করেছিলেন কলকাতার স্টার থিয়েটারে ১৯৬৩ সালে, ‘তাপসী’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
এরপর তিনি সিটি কলেজে পড়ার সময় সাহিত্যিক এবং অধ্যাপক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসেন। টেনিদার স্রষ্টা তাঁকে পরামর্শ দেন নাটকে অভিনয় করার জন্য। এ প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর অভিনয় জীবনের পেছনে ছিল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় ভূমিকা। কৃষ্ণনগরের সেন্ট জোনস বিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
এরপর স্বনামধন্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রবেশ। অপু ট্রিলজির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘অপরাজিত’র জন্য অপু চরিত্রের অভিনয়শিল্পী খুঁজছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর সহকারী নিত্যানন্দ দত্তের সঙ্গে সৌমিত্রের বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুর সঙ্গে সেই চলচ্চিত্রের জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে চরিত্রের সঙ্গে তাঁর বয়স না মেলায় সেবার তিনি বাদ পড়ে যান। কিন্তু সত্যজিৎ রায় তাঁকে মনে রেখেছিলেন। এরপর ১৯৫৯ সালে নির্মিত অপু ট্রিলজির শেষ চলচ্চিত্র ‘অপুর সংসার’-এ তরুণ অপুর চরিত্রের জন্য সৌমিত্রকে বেছে নিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়।
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি মারা যান। চলচ্চিত্র জগতের এই দিকপাল মানুষটি ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
১৮ ঘণ্টা আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
২ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
২ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
৩ দিন আগে