সম্পাদকীয়
একবার এক স্কুল পরিদর্শনে গেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সে এক অজপাড়াগাঁ। স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ একটা আনন্দমুখর সময় কাটছে তাঁর। এ সময় একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ এসে বললেন, ‘আজ আপনি আমাদের বাড়িতে দুপুরের আহার করবেন।’
বিদ্যাসাগর তাঁকে না করতে পারলেন না। নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন।
দুপুরে সেই বাড়িতে গেলেন। পরমযত্নে খাবারগুলো তুলে দেওয়া হলো বিদ্যাসাগরের পাতে। খেতে বসে প্রতিটি পদের প্রশংসা করতে লাগলেন তিনি। বলতে লাগলেন, ‘অপূর্ব হয়েছে।’ খুব খুশি হলেন মধ্যবিত্ত এই গৃহস্থ।
এ সময় সেই গ্রামেরই একজন বিত্তশালী মানুষ সে বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি এবার বিদ্যাসাগরকে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানালেন। তারপর বাড়ি গিয়ে চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় তৈরি করতে বললেন। খুব বড় এক ভোজ হবে। বিদ্যাসাগর এলেন সেই বাড়িতে। বিশাল আয়োজন দেখলেন। খেতে বসলেন। বিত্তশালী ব্যক্তিটি রান্নার প্রশংসা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। বিদ্যাসাগর এক মনে খেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু রান্নার প্রশংসা করছেন না।
মনমরা বিত্তশালী ব্যক্তিটি এবার প্রশ্ন করলেন বিদ্যাসাগরকে, ‘রান্না কেমন হয়েছে, বললেন না তো!’
বিদ্যাসাগরের ততক্ষণে খাওয়া শেষ হয়েছে। তিনি মুখ ধুতে ধুতে কুলকুচি করতে করতে বললেন, ‘রান্না ভালোই হয়েছে, তবে ময়ান কম হয়েছে।’
ভদ্রলোক বুঝতে পারলেন না, এখানে ময়ান এল কোত্থেকে। তাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিসের ময়ান?’
মুখ মুছে হাসতে হাসতে বিদ্যাসাগর বললেন, ‘মনের ময়ান।’
ভদ্রলোকের কাছে পরিষ্কার হলো সমস্যাটা। বেশি খরচ করে দামি দামি সব পদের খাদ্যসম্ভার হাজির করা হয়েছিল বিদ্যাসাগরের সামনে, কিন্তু তাতে ‘দেখিয়ে দেওয়া’র একটা ভাব ছিল। সেটাই পছন্দ হয়নি বিদ্যাসাগরের। সাদামাটা খাদ্য যতটা তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া যায়, বড়লোকি খাদ্যে সেই তৃপ্তি আসে না।
সূত্র: অংশুমান চক্রবর্তী, বঙ্গ মনীষীদের রঙ্গ রসিকতা, পৃষ্ঠা ১৬-১৭
একবার এক স্কুল পরিদর্শনে গেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সে এক অজপাড়াগাঁ। স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ একটা আনন্দমুখর সময় কাটছে তাঁর। এ সময় একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ এসে বললেন, ‘আজ আপনি আমাদের বাড়িতে দুপুরের আহার করবেন।’
বিদ্যাসাগর তাঁকে না করতে পারলেন না। নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন।
দুপুরে সেই বাড়িতে গেলেন। পরমযত্নে খাবারগুলো তুলে দেওয়া হলো বিদ্যাসাগরের পাতে। খেতে বসে প্রতিটি পদের প্রশংসা করতে লাগলেন তিনি। বলতে লাগলেন, ‘অপূর্ব হয়েছে।’ খুব খুশি হলেন মধ্যবিত্ত এই গৃহস্থ।
এ সময় সেই গ্রামেরই একজন বিত্তশালী মানুষ সে বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি এবার বিদ্যাসাগরকে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানালেন। তারপর বাড়ি গিয়ে চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় তৈরি করতে বললেন। খুব বড় এক ভোজ হবে। বিদ্যাসাগর এলেন সেই বাড়িতে। বিশাল আয়োজন দেখলেন। খেতে বসলেন। বিত্তশালী ব্যক্তিটি রান্নার প্রশংসা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। বিদ্যাসাগর এক মনে খেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু রান্নার প্রশংসা করছেন না।
মনমরা বিত্তশালী ব্যক্তিটি এবার প্রশ্ন করলেন বিদ্যাসাগরকে, ‘রান্না কেমন হয়েছে, বললেন না তো!’
বিদ্যাসাগরের ততক্ষণে খাওয়া শেষ হয়েছে। তিনি মুখ ধুতে ধুতে কুলকুচি করতে করতে বললেন, ‘রান্না ভালোই হয়েছে, তবে ময়ান কম হয়েছে।’
ভদ্রলোক বুঝতে পারলেন না, এখানে ময়ান এল কোত্থেকে। তাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিসের ময়ান?’
মুখ মুছে হাসতে হাসতে বিদ্যাসাগর বললেন, ‘মনের ময়ান।’
ভদ্রলোকের কাছে পরিষ্কার হলো সমস্যাটা। বেশি খরচ করে দামি দামি সব পদের খাদ্যসম্ভার হাজির করা হয়েছিল বিদ্যাসাগরের সামনে, কিন্তু তাতে ‘দেখিয়ে দেওয়া’র একটা ভাব ছিল। সেটাই পছন্দ হয়নি বিদ্যাসাগরের। সাদামাটা খাদ্য যতটা তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া যায়, বড়লোকি খাদ্যে সেই তৃপ্তি আসে না।
সূত্র: অংশুমান চক্রবর্তী, বঙ্গ মনীষীদের রঙ্গ রসিকতা, পৃষ্ঠা ১৬-১৭
অঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
১ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
২ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
৩ দিন আগে