সম্পাদকীয়
অনেক অনেক বছর আগে এক বুড়ি ছিলেন, অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী। তিনি কি শুধুই বুড়ি ছিলেন? সম্ভবত একজন গুরু, কিংবা এক অশান্ত শিশু। আমি এই গল্পটি শুনেছিলাম বা অনেকটা এ রকম কিছু একটা অনেক লোকগাথাতেই উল্লেখ ছিল। অনেকটা এ রকম, ‘একদা এক ছিল বুড়ি। অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী।’ গল্পের যে সংস্করণটি আমি জানি, সেখানে বুড়ি ব্যক্তিটি একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মেয়ে। যিনি কিনা শহর থেকে দূরে ছোট্ট একটি বাড়িতে বাস করতেন। তাঁর বিচক্ষণতার কথা সবাই জানতেন। তিনি আইন যথাযথভাবে রক্ষার পক্ষে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশীদের থেকে দূরে দূরে থাকলেও, আচরণে ছিলেন ভীষণ নম্র।
একদিন কয়েকজন তরুণ বুড়ির সঙ্গে দেখা করতে আসে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এটা প্রমাণ করা যে বুড়ির অন্তর্দৃষ্টি বলে কিছু নেই এবং সবটাই তাঁর ভণ্ডামি। তাদের পরিকল্পনাটা ছিল খুব সাধারণ। তাদের নিজেদের প্রতি পুরো বিশ্বাস ছিল যে বুড়ির বাসায় ঢুকে একটি মাত্র প্রশ্ন করেই তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে ফেলতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, একদিন তারা বুড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তাদের ভেতর থেকে একজন প্রশ্ন করল, ‘আমার হাতে একটা পাখি, বলুন তো, এটা জীবিত নাকি মৃত?’
বুড়ি উত্তর করেন না। তিনি অন্ধ, অতিথিদেরই দেখতে পান না, হাতে কী আছে তা তো দূরের কথা।...তবে তিনি কেবল তাদের আগমনের উদ্দেশ্যটা জানেন।
বুড়ির এই দীর্ঘ নীরবতায় তরুণদের পক্ষে হাসি ধরে রাখা বেশ কষ্টকর হচ্ছিল। অবশেষে তিনি শান্ত কিন্তু দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, ‘আমি জানি না, তোমরা যে পাখিটাকে ধরে আছ, সেটা জীবিত না মৃত, কিন্তু আমি যেটা জানি সেটা হলো, এটা তোমরা ধরে রেখেছ। এটা তোমাদের হাতেই রয়েছে।’
তাঁর উত্তরের অর্থ হলো—যদি এটা মৃত হয়ে থাকে, তবে তোমরা সেটাকে সেভাবেই পাবে কিংবা হতে পারে তোমরাই এটাকে মেরেছ। এটা জীবিত থাকবে কি না, সেটা তোমাদের সিদ্ধান্ত। যা-ই ঘটুক না কেন সব দায়দায়িত্ব তোমাদের।
আমেরিকান সাহিত্যিক টনি মরিসন ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
অনেক অনেক বছর আগে এক বুড়ি ছিলেন, অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী। তিনি কি শুধুই বুড়ি ছিলেন? সম্ভবত একজন গুরু, কিংবা এক অশান্ত শিশু। আমি এই গল্পটি শুনেছিলাম বা অনেকটা এ রকম কিছু একটা অনেক লোকগাথাতেই উল্লেখ ছিল। অনেকটা এ রকম, ‘একদা এক ছিল বুড়ি। অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী।’ গল্পের যে সংস্করণটি আমি জানি, সেখানে বুড়ি ব্যক্তিটি একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মেয়ে। যিনি কিনা শহর থেকে দূরে ছোট্ট একটি বাড়িতে বাস করতেন। তাঁর বিচক্ষণতার কথা সবাই জানতেন। তিনি আইন যথাযথভাবে রক্ষার পক্ষে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতিবেশীদের থেকে দূরে দূরে থাকলেও, আচরণে ছিলেন ভীষণ নম্র।
একদিন কয়েকজন তরুণ বুড়ির সঙ্গে দেখা করতে আসে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এটা প্রমাণ করা যে বুড়ির অন্তর্দৃষ্টি বলে কিছু নেই এবং সবটাই তাঁর ভণ্ডামি। তাদের পরিকল্পনাটা ছিল খুব সাধারণ। তাদের নিজেদের প্রতি পুরো বিশ্বাস ছিল যে বুড়ির বাসায় ঢুকে একটি মাত্র প্রশ্ন করেই তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে ফেলতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, একদিন তারা বুড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তাদের ভেতর থেকে একজন প্রশ্ন করল, ‘আমার হাতে একটা পাখি, বলুন তো, এটা জীবিত নাকি মৃত?’
বুড়ি উত্তর করেন না। তিনি অন্ধ, অতিথিদেরই দেখতে পান না, হাতে কী আছে তা তো দূরের কথা।...তবে তিনি কেবল তাদের আগমনের উদ্দেশ্যটা জানেন।
বুড়ির এই দীর্ঘ নীরবতায় তরুণদের পক্ষে হাসি ধরে রাখা বেশ কষ্টকর হচ্ছিল। অবশেষে তিনি শান্ত কিন্তু দৃঢ়কণ্ঠে বললেন, ‘আমি জানি না, তোমরা যে পাখিটাকে ধরে আছ, সেটা জীবিত না মৃত, কিন্তু আমি যেটা জানি সেটা হলো, এটা তোমরা ধরে রেখেছ। এটা তোমাদের হাতেই রয়েছে।’
তাঁর উত্তরের অর্থ হলো—যদি এটা মৃত হয়ে থাকে, তবে তোমরা সেটাকে সেভাবেই পাবে কিংবা হতে পারে তোমরাই এটাকে মেরেছ। এটা জীবিত থাকবে কি না, সেটা তোমাদের সিদ্ধান্ত। যা-ই ঘটুক না কেন সব দায়দায়িত্ব তোমাদের।
আমেরিকান সাহিত্যিক টনি মরিসন ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৬ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
৭ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
২০ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
২২ দিন আগে